8 রামেন্দ্র মুন্দর রচনাসমগ্র অধ্বযুর আদেশানুসারে হোতা সপ্তদশ সামিধেনী ( অগ্নিসমিছনের অর্থাৎ অগ্নি প্রজালনের ২৪ ) ঋকৃমন্ত্র পাঠ করিবে। প্রকৃতি-ঘজ্ঞে প্রযুক্ত পঞ্চদশ সামিধেনী ঋবের মধ্যে ধাধ্যানামক আরও দুইটি ঋক্ বসাইয়া সপ্তদশ মন্ত্র হইবে। সপ্তদশসংখ্যাক সামিধেনীর প্রশংসা, যথা—“সপ্তদশোr প্রজাপতিঃ” প্রজাপতি সপ্তদশ [ -অবয়বাত্মক ] [ কেন না ] মাস বারটি ; হেমস্ত ও শিশির ঋতুকে সমান (এক ঋতু বলিয়) ধরিলে ঋতু পাচটি ; [ দ্বাদশ মাস ও পঞ্চ ঋতুর যোগে উৎপন্ন ] সেই সমগ্র কfল সংবৎসর ; এবং সংবৎসর প্রজাপতি । সপ্তদশ সংখ্যাজ্ঞানের প্রশংসা, যথ1—“প্রজাপত্যায়তনাভিঃ•• বেদ” প্রজাপতি ইহাদের [ এই সামিধেনীসমূহের ] আয়তন ( আশ্রয় ) ; এই জন্য যে ইহা (সপ্তদশ মন্ত্রের ব্যবহার ) জানে, সে ইহাদের ( এই মন্ত্রের ) দ্বারা সমৃদ্ধ হয় । সংবৎসররূপী প্রজাপতির সপ্তদশ অবয়ব, সামিধেনীর সংখ্যাও সপ্তদশ ; এই হেতু প্রজাপতি সামিধেনীর আশ্রয়। (১) “এষ বাব প্রথমে যজ্ঞে যজ্ঞানাং যজ্জ্যোতিষ্টোম: ।” (২) সংস্থা—সংস্কার, (গৌতম সং৮)। (৩) প্রকৃতি— যে যজ্ঞের সকল অঙ্গুষ্ঠান প্রত্যক্ষ শ্রতি দ্বারা উপদিষ্ট হয়, তাহার নাম প্রকৃতি । (৪) বিকৃতি—যে যজ্ঞের বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান মাত্র প্রত্যক্ষ শ্রতি দ্বারা উপদিষ্ট হয় তাহাবিকৃতি । (৫) ঋত্বিকৃ– পুরোহিত। (৬) হোতা— যজ্ঞবেদীর উত্তর শ্রেণীর উত্তর দিকে পূর্ব মুখ উপবিষ্ট থাকিয়া, হৃদয়ে বা অঙ্কে পাণি রাখিয়া, সামিধেনী, প্রযাজা, আজ্যভাগ, যাজ্য, অমুবাক্য ও শংযুবাক যে পাঠ করে, তাহাকে “হোতা" কহে । (৭) অধ্বযু-ঋত্বিকৃচতুষ্টয়ের মধ্যে যজমান যাহাকে অগ্নে বরণ করে, এবং আরম্ভ হইতে সমাপ্তি পর্যন্ত্য বৰ্ম্ম যে করে, তাহাকে “অধ্যযুগ” কহে। (৮) ইষ্ট-যজ+ক্তি, যদ্বারা যজন করা হয়। ঋত্বিকৃচতুষ্টয়ের সম্পাদ্য সপত্নীক যজমান কর্তৃক অমৃষ্ঠেয় কর্মের নাম ইষ্টি, দীক্ষণার্থ ইষ্ট, দীক্ষণীয়। ইষ্ট । সেমিযাগের পূৰ্ব্বে অমৃষ্ঠেয় যজ্ঞবিশেষের নাম দীক্ষণীয় ইষ্ট । ( রঘুনন্দন) পরে ঐতরেয় ব্রাহ্মণের ১ অধ্যায়, ২য় খণ্ড দেখ । (৯) যfজ্যা—পরে দেখ, ১ অধ্যায়, ৪ খণ্ড । (১- ) অনুবাক্যা—পরে দেখ, ১ অধ্যায়, ৪ খণ্ড (১১) “অগ্নিমুখং প্রথমে দেবতানাং সঙ্গতানামুত্তমো বিষ্ণুরাণীং ।” অগ্নিরেভু প্রথমং দেবতাভ্যঃ। ( সাং ব্রাং, ১১৯ ) ত্বমগ্নে প্রথমোহঙ্গিরা ঋষির্দেবো দেবানামভবঃ শিবঃ সখা । ( ঋকৃ, ১৩১১)। • গতিরহিত ঋক স্থতিবিশেষ। (তৈং, উপ, ১৮ আনন্দগিরি)। (১২) পুরোডাশ– ইষ্টকৰ্ম্মে দেবতাকে যে পিকৈ হবন করা যায়, উহার নাম পুরোডাশ। চাউলকে চূর্ণ (পিই ) করিয়া মদন্তীনামক তাম্রপাত্রে রাখিয়া জলে ভিজাইয়। পিণ্ডের মত করা হয় ; পরে জাহবনীয় অগ্নিতে উহাকে অৰ্দ্ধ পক্ক করিয়া কুৰ্ম্মাকৃতি করা হয়, তৎপরে উহ।
পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।