পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামেন্দ্রমুন্দর রচনাসমগ্র אל { স্বয়বিশেষে “যজামহে” এই তিঙস্ত রেফাস্ত ) পূর্বক বযটুকারাস্ত অৰ্দ্ধ ঋকে অবসান, একটি ঋক্কে “ধাজ্যা” কহে। যে ঋকের প্রথমার্দ্ধে এক বিরাম, চতুৰ্ম্মাত্র প্রণবাস্ত দ্বিতীয়াদ্ধে দ্বিতীয় বিরাম, দেবতার আকুকূল্যকারী সেই ঋকৃকে “পুরোহহুবাক্যা” বা “অঙ্কুবাক্যা” কহে । তৃতীয় খণ্ড— দীক্ষিতের বিবিধ সংস্কার এইরূপে ইষ্ট, আহুতি, উতি ও হোতৃ শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করিয়া দীক্ষিত যজমানের বিবিধ সংস্কারের প্রস্তাব হইতেছে—“পুনর্বা- দীক্ষয়ুস্তি।” যাহাকে দীক্ষিত করা হইল, তাহাকে পুনরায় ঋত্বিকের গর্ভস্বরূপ করিবেন। গর্ভ শব্বে ভ্রণ বুঝায়। যজমান একবার জন্মকালে মাতৃকুক্ষিতে বাস করিয়াছিলেন ; পুনরায় তাহাকে ভ্রণরূপে ব্যবহার করিয়া বিবিধরুপে সংস্কৃত করিতে হয়। তন্মধ্যে প্রথম সংস্কার যথা-—“অদ্ভিরভিষিঞ্চস্তি ।” জল দ্বারা অভিষেক ( স্নান ) করান হয় ।১ সেই জলের প্রশংসা, যথা—“রেতে বা দীক্ষয়ন্তি ।” জলষ্ট রেতঃ । সেই জন্য ইহাকে (দীক্ষিত যজমানকে ) সরেতস্ক ( রেতোযুক্ত ) করিয়া দীক্ষিত করা হয়। শ্রুতিমতে রেতঃ হইতে জল উৎপন্ন, এ জন্য জলকে রেতঃস্বরূপ বলা যাইতে পারেই । তৎপরে অন্যবিধ সংস্কার যথা—“নবনীতেনাভ্যঞ্জন্তি ।” নবনীত দ্বারা অভ্যক্ত করা হয়। নবনীত ব্যবহারের কারণ, যথা—“আজ্যং’- সমৰ্দ্ধয়ন্তি ।” আজ্য দেবগণের, স্বরভি-স্কৃত মহুযুগণের, আয়ুত পিতৃগণর, নবনীত গর্ভের (ভ্ৰণগণের) ; অতএব নবনীত দ্বারা যে অভ্যঙ্গ করা হয়,তাহাতে র্তাহাকে (ষজমানকে) আপনার [ উচিত, প্রাপ্য ] ভাগের দ্বারাই সমৃদ্ধ করা হয়। আজ্য অর্থে গলিত ঘৃত ; ঘনীভূত অবস্থায় স্থত ; ঈষদগলিত অবস্থায় আয়ুতত। পরে অন্য সংস্কার যথা –“আঞ্চস্তোনম্।” ইহাকে [ চক্ষুতে ] অঞ্চন দেওয়া হয়। অঞ্জনপ্রশংস যথা—“তেজো বা.দীক্ষয়স্তি ।” এই যে অঞ্জন, ইহা অক্ষিদ্বয়ের তেত্ত:স্বরূপ ; সেই হেতু এতদ্বার। ইহাকে ( যজমানকে ) তেজস্বী করিয়া দীক্ষিত করা হয়। পরে অন্য সংস্কার-“একবিংশত্য; পাবক্সস্তি ।” একবিংশতি দর্ডপিঞ্জল ( কুশসমষ্টি ) দ্বারা পবিত্র করা হয়।