পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪৩

১ম পঞ্চিকা ঃ ১ম অধ্যায় ] ঐতরেয় ব্রাহ্মণ »ግ এইরূপ জ্ঞানের প্রশংসা—“সৰ্ব্বে সাং কুরুতে।” যে এই প্রকার জানি ৷ বিরাটু ( ছন্দ ) দুইটিকে [সংযfজ্য ] করে, [ সে ] সকল ছন্দের বীর্য্য (সামর্থ্য ) অবরোধ ( অাকর্ষণ ) করে, সকল ছন্দের বীর্য্য ভোগ করে, সকল ছন্দের সাযুজ্য, সারূপ্য [ ও ] সালোক্য লাভ করে, অম্লভক্ষণসমর্থ (নীরোগ) ও অন্নপতি ( বহুবিধ ভক্ষ্য বস্তুর অধীশ্বর ) হয়, [ ও ] প্রজার ( পুত্রাদির ) সহিত অন্ন ভোগ করে । সকল ছন্দ অর্থে এ স্থলে উঞ্চিক, গায়ত্রী, ডিষ্ট্রপ, অনুষ্ঠুপ ও বিরাট্ ছন্দ। ৰে উক্ত বিরাট ছন্দের সামর্থ্য জানে, সে সেই সকল ছন্দের অভিমানী দেবতার সহিত সহচরত্ব, তুল্য রূপত্ব ও এক স্থানে নিবাস লাভ করে । এই হেতু বিরাট্ ছন্দকে BBBBS BBBB BBBB BBB BB BBBS BBSBBBSBBB S ইত্যেতে।" সেই হেতু “প্রেদ্ধে। অগ্নে, “ইমে। অগ্নে” এই বিরাট্ ছন্দ দুইটিকে [সংযাজ্য। ] করিবে । স্বি ইরুভের সংষাজ্য। বিধানের পর দীক্ষিতকে সত্যকথ। বলিতে উপদেশ হইতেছে —“প্ত তং •• বদিতব্যং" বংস, দীক্ষা ঋত, দীক্ষা সত্য, সেই হেতু দীক্ষিত সত্যই বলিবে । ঋত অর্থে সত্যচিস্তা, সত্য অর্থে সত্যকথা । কিন্তু সকলে ইহাতে সমর্থ হয় না, যথা—‘‘অথো • ইতি’ পক্ষাস্তরে ( ব্রহ্ম Iাদীরা ] নিশ্চয়ই বলেন, কোন মহন্ত সকল [ কথা ] সত্য বলিতে সমর্থ ? দেবগণই সত্যতৎপর, মকুন্তীগণ অনু ততৎপর। তৎপক্ষে ব্যবস্থা—“বিচক্ষণবতীং বদেৎ” বিচক্ষণ | এই চতুরক্ষর মন্ত্র ]-বিশিষ্ট বাক্য বলিবে। দেবদত্ত বিচক্ষণ । জল আনি, রামচন্দ্র বিচক্ষণ ! চন্দ্র দেখ, এইরূপ বাক্য প্রয়োগ করিবে । বিচক্ষণ, এই মন্ত্র দ্বারা সত্য কথনের ফল কিরূপে হয়, দেখান হইতেছে, যথা—“চক্ষুৰ্ব্বৈ .পশুতে’ চক্ষুই বিচক্ষণ, যে হেতু ইহাদ্বারা বিশেষরূপে দেখা যায়। দর্শনার্থক চক্ষিঙ, ধাতু হইতে “বিচক্ষণ” এই শব্দটি উৎপন্ন ; বিশেষরূপে বস্তুনির্ণ ইহার দ্বারা হয় ; “বি পশুতীতি বিচক্ষণম,”—অর্থ নেত্র ; অতএব চক্ষু ও বিচক্ষণ, এই দুইটি শব্দ একপর্য্যায়। হউক একপর্য্যায় শক, তথাপি তন্দ্রর সভ্য প্রপুরণ কেন হইবে ? তদুত্তর—“এতদ্ধ ••ষচ্ছষ্ণু” এই ] যে চক্ষু, ইহাই মন্থস্থ্যগণে সত্য [ রূপে ] নিহিত । প্রমাণুসমূহের মধ্যে প্রত্যক্ষই শ্রেষ্ঠ ; প্রত্যক্ষ প্রমাণের ও সত্যজ্ঞানের সাধন ૨