পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম পঞ্চিকা ঃ ২য় অধ্যায় ] ঐতরেয় ব্রাহ্মণ S গ্রপূর্বক ই ধাতু ইহতে “প্রায়ণীয়" শব্দ নিম্পন্ন ; প্রায়ন্তি অনেন-প্রকৃষ্টরূপে গমন করে (স্বৰ্গে ) যদ্বারা, তাহার নাম প্রায়ণীয়। অনস্তর প্রায়ণীয় এবং উদয়নীয়, উভয় কৰ্ম্মের প্রশংসা—“প্রাণো---প্রতিপ্রজ্ঞাত্যৈ” প্রাণ (বায়ু) প্রায়ণীয়, উদান উদয়নীয়, সমান ( বায়ু ) হোতা ; প্রাণ ও উদান উভয়ে সমান ( অভিন্ন) ; [ উক্ত কৰ্ম্মস্বয় দ্বারা ] প্রাণের সামর্থ্য জন্মে, [ এবং ] প্রাণের [ বিষয়ে ] জ্ঞান জন্মে । প্ৰ-শব সাম্য হেতু প্রাণ বায়ু প্রায়ণীয় ; উৎ শক সাম্য হেতু উদান বায়ু উদয়নীয় ; একই দেহে অবস্থিতি হেতু উভয় বায়ু সমান ( অভিন্ন ) ; আবার প্রায়ণীয় ও উদয়নীয় উভয় কৰ্ম্মে একই ব্যক্তি যাজ্য ও অঙ্কুবাক্য পাঠ করিয়া হোতার কার্ষ্য করেন বলিয়া উভয় কৰ্ম্ম ও সমান ; হোতাও সমান (একই ব্যক্তি ) ; এই হেতু সমান বায়ুই হোতা। উভয় কৰ্ম্ম দ্বারা দেহস্থ বায়ুসকল কাৰ্য্যক্ষম হয়। ও কোনটা প্রাণ, কোনটা উদান, এইরূপ জ্ঞান জন্মে। যজ্ঞে দেবতাবিশেষের আখ্যায়িকী—“যজ্ঞো হ্যস্তাঃ” যজ্ঞ ( সোমযাগাভিমানি-দেবতা) দেবগণের নিকট হইতে চলিয়। গিয়াছিলেন ; [ তখন ] সেই দেবগণ কোনও ( যজ্ঞাদি ) করিতে পারিতেন না এবং জানিতে পারিতেন না । [ তৎপরে ] তাহারা অদিতিকে বলিলেন, তোমার প্রসাদে আমরা এই যজ্ঞকে প্রকৃষ্টরূপে জানিব ; তিনি ( অদিতি ) বঙ্গিলেন, তাহাই হউক ; [ কিন্তু ] সেই [ আমি অদিতি ] তোমাদের নিকটে বরপ্রার্থনা করিতেছি । [ দেবগণ কহিলেন ] প্রার্থনা কর ; তিনি ( অদিতি ) এই বর চাহিলেন— যজ্ঞ সকল ( সোমধাগাদি ) মৎপ্রায়ণ ( আমাকে লইয়া আরব্ধ ) হউক এবং মহৃদয়ন ( আমাকে লইয়া অবসান ) হউক । [ দেবগণ কহিলেন ] তাহাই হুইবে । যে হেতু [ চরু ] ইহার ( অদিতির ) বর দ্বারা প্রাথিত হইয়াছিল, সেই হেতু প্রায়ণীয় চরু ( যজ্ঞারম্ভের ইষ্টিতে প্রদত্ত চরু ) ও উদয়নীয় চরু ( যজ্ঞসমাপ্তির ইষ্টিতে প্রদত্ত চরু ) অদিতি * দেবতার ( অংশ ) । “মৎপ্রায়ণ”—অর্থ মদুপক্রম, “মহূদয়ন” অর্থ– মদবসান। তৈত্তিরীয় শ্রুতিতে এই উপাখ্যান সমর্থিত হইয়াছে। সোমষাগের প্রারম্ভে প্রায়ণীয়া ইষ্ট ও সমাপ্তিতে উদয়নীয়া ইষ্ট বৰ্ত্তব্য। অদিতির অপর বর—“অথো, সবিদ্ৰোদীচীমিতি” পুনশ্চ [ অদিতি ] এই বর চাহিয়াছিলেন, [ হে দেবগণ ] আমা দ্বারা পুৰ্ব্বদিকৃ, অগ্নি দ্বারা দক্ষিণ, সোম দ্বাবা পশ্চিম ও সবিতা দ্বারা উত্তরদিকৃ প্রকৃষ্টরূপে জান। যজ্ঞের অস্থসন্ধানে বহু দেশ ভ্রমণ করিয়া দেবগণের দিগভ্ৰম ঘটিলে অদিতি বলেন, অদিত্যাদি চায়ি দেবতার অধিষ্ঠান দ্বারা চারি দিকৃ জানিতে পরিবে ; প্রায়ণীয় ও উদয়নীয় চর দ্বারা সেই সেই নির্দিষ্ট দিকে সেই সেই দিনের অধিষ্ঠাত্রী দেবতার ছোম কৰ্ত্তব্য। তন্মধ্যে প্রথম যজ্ঞবিধান “পখ্যাং যজতি” ।