পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম পঞ্চিকা ঃ ২য় অধ্যায় ] ঐতরেয় ব্রাহ্মণ - ২৩ দিকে জন্মে বলিয়া উহা উত্তরদিকৃরূপী। স্বৰ্গকামীয় আহবনীয় যজ্ঞে প্রষাজ হোম বিধি –“স্বর্গ্যৈবোৰ্দ্ধ ...রাধুেীতি” উৰ্দ্ধণিক স্বর্গ (স্বর্গের পক্ষে হিতকর ) ; [ এই জন্য সে ] সকল দিকেই সমৃদ্ধিযুক্ত হইবে। স্বৰ্গকামী উৰ্দ্ধদিকের ধ্যান করিয়া অtহবনীয় অগ্নিতে প্রধাজ আহুতি দিবে ; স্বর্গলাভ ঘটিলে সকল দিকেই তাহার সমৃদ্ধি ঘটিবে। ইহা জানা আবশ্যক—"সম্যঞ্চে; • বেদ” এই লোকসকল ( ভূ প্রভৃতি তিন লোক ) স্বাহুরূপ ভোগপ্রদ ; যে ইহা জানে ( আহবনীয়মধ্যে হোম জানে ), তাহার জন্য এই লোকসকল স্বাকুরূপ ভোগপ্রদ হইয়া ঐর ( ধনধান্যাদি সম্পত্তির ) জন্য প্রকাশিত হয়। - এইরূপে বিবিধ কাম্য প্রধাজাহুতির বিধান করিয়া প্রায়ণীয় দেবতাগণের প্রশংসা হইতেছে—“পথ্যাং...সম্ভরতি” [ পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে ] পথ্যার যাগ করা হয়। পণ্যার যে যাগ হয়, তাহাতে যাগের প্রারস্তে [ মন্ত্ররূপ ] বাক্যই সম্পাদিত হইয়া থাকে। অগ্ন্যাদি অপর দেবতাচতুষ্টয়ের প্রশংসা—“প্রাণাপান.অদিতিঃ” প্রাণ ও অপান ( বায়ু) [ যথাক্রমে ] অগ্নি ও সোম ; সবিতা প্রসবের ( যজ্ঞকৰ্ম্ম প্রেরণের ) জন্য, অদিতি প্রতিষ্ঠার ( স্থির অবস্থানের ) জন্য [ উপযোগী ] । মুখ নাসিকার বাহিরে সঞ্চারিত উচ্ছ্বাস-রূপী প্রাণবায়ু শরীরে উষ্ণতা জন্মায়, এজন্য অগ্নি প্রাণস্বরূপ ; আর মুখ নাসিক দ্বারা আকৃষ্ট শরীরের মধ্যে সঞ্চারিত অপান বায়ু শরীরে শীতলতা জন্মায়, এ হেতু উহার সৌমত্ব। পুনর্বর পথ্য-দেবতার প্রশংসা— “পথ্যাং - -ময়তি’ [ অন্য দেবতা ত্যাগ করিয়া প্রথমে ] পথ্যারই যাগ করিবে, যে হেতু পথ্যারই যে স্বাগ হয়, তাহাতে [ মন্ত্ররূপ ] ৰাক্যদ্বারা [ ক্রিয়মাণ ] যজ্ঞকে পথ পাওয়ায় । অর্থাৎ তদূর যজ্ঞ যথাবিহিত মার্গে অতুষ্ঠিত হয় । পুনরায় অন্য দেবতাগণের প্রশংসা—“চক্ষুষী...অদিতিঃ” অগ্নি ও সোম দুই চক্ষু: [ -স্বরূপ ] ; সবিত প্রসবের ( যজ্ঞকৰ্ম্ম নিয়োগের ) জন্য, অদিতি প্রতিষ্ঠার জন্য { উপযোগী ] । তেজোময়ত্ব হেতুই অগ্নি ও সোম চক্ষু:স্বরূপ। অগ্নি ও সোম চক্ষুঃস্বরূপ, ইহাতে কি বিশেষ বুঝা যায় —“চক্ষুষা...প্রজানাতি” দেবগণ { অন্তহিত ] যজ্ঞকে চক্ষুদ্বারাই জানিয়াছিলেন ; যাহা জ্বজ্ঞেয়, তাহা চক্ষুদ্বারাই জানা যায় ; এবং সেই হেতু মুগ্ধ ( দিগভ্ৰাস্ত ব্যক্তি ) [ ইতস্ততঃ ] বিচরণ করিয়া যখনই কোন ক্রমে চক্ষুদ্বারা জানিতে পায় ( কোন চিহ্ন দেখিতে পায় ), তখনই [ পথ ] জানিতে পারে।