পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o রামেন্দ্রম্বন্দর রচনাসমগ্র : তৃতীয় চরণের প্রশংসা –“জাতবেদো-ভবস্তি” “জাতবেদে নিধীমহি” এই মন্ত্রদ্বারা ইহাকে ( প্রণীয়মান জাতবেদা অগ্নিকে ) [ উত্তরবেদির নাভিতে ] নিধান ( স্থাপন ) করা হয়। চতুর্থ চরণের প্রযোজ্যতা—“আগ্নে-ভবতি” “আগ্নে হব্যায় বোঢ়বে” এতদ্বারা [ অগ্নি ] হব্যবহনে উদ্যত হন। পঞ্চম ঋকের পূর্বাৰ্দ্ধ—“আগ্নে বিশ্বেভিঃ..আসায়তি” “আগ্নে বিশ্বেভিঃ স্বনীক দেবৈরূৰ্ণাবস্তং প্রথম: সীদ যোনিম্”১০ এতদ্বারা বিশ্বদেবগণ সহ ইহাকে ( অগ্নিকে ) [ সেই নাভি নামক স্থানে ] স্থাপিত করা হয় । ঐ মন্ত্রাংশের অর্থ—হে স্বনীক ( শোভনসৈন্তযুক্ত ) অগ্নি, বিশ্বদেবগণের সহিত প্রথম (প্রধান ) হইয়। উর্ণাযুক্ত স্থানে (মেঘলোমযুক্ত নাভিস্থানে) অধিষ্ঠিত হও। তৃতীয় ও চতুর্থ চরণের প্রযোজ্যতী—“কুলায়িনং..প্রতিষ্ঠাপয়তি” “কুলায়িনং স্বতবস্তং সবিত্রে” এই (তৃতীয় চরণ ) দ্বারা এই যে সকল পিতুঙ্গারু(খদিরবৃক্ষ)-নিৰ্ম্মিত পরিধি, গুগগুল, উর্ণ ( মেঘলোম ) এবং সুগন্ধি তৃণ ( খসখস্), এই সকলকেই যজ্ঞে কুলায়-(পক্ষীর বাস জন্য নিৰ্ম্মিত নীড় }-স্বরূপ করা হয়। এবং “যজ্ঞং নয় যজমানায় সাধু এই (চতুর্থ চরণ ) দ্বারা যজ্ঞকেই সেখানে সরলভাবে স্থাপন করা হয় । উভয় চরণের অর্থ—সবিতা (প্রেরক অর্থাৎ যজ্ঞের অনুষ্ঠাতা ) যজমানের জন্য কুলায়যুক্ত ও ঘৃতযুক্ত যজ্ঞকে সাধুভাবে আনয়ন ( সম্পাদন ) কর। এস্থলে যজ্ঞকে কুলায়যুক্ত বলা হইয়াছে। পক্ষী কাষ্ঠতৃণাদি আহরণ করিয়া কুলায় নিৰ্ম্মণ করে। উত্তরবেদির নাভিতেও কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত পরিধি, তৃণ, মেঘলোমাদি অস্তীর্ণ করায় উহ। যজ্ঞরূপী অগ্নির কুলায়স্বরূপ হইল। অগ্নিকে ঐখানে স্থাপন করায় ঐ মস্ত্রের সার্থকতা। আহবনীয় স্থানে রক্ষিত কাষ্ঠখণ্ডের নাম পরিধি । যষ্ঠ ঋকের প্রথম চরণ—"সীদ হোতঃ-লাভিঃ” “সীদ হোতঃ স্ব উ লোকে চিকিত্বান”১১ এ স্থলে অগ্নিই দেবগণের হোতা, এবং এই যে উত্তরবেদির নাভি, ইহাই তাহার স্ব (স্বকীয় ) লোক ( স্থান )। মন্ত্রাংশের অর্থ, অহে হোতা ( অগ্নি), বিজ্ঞানবান তুমি স্বকীয় লোকে অবস্থান 夺颈 1 দ্বিতীয় চরণের যজ্ঞ শব্দের তাৎপৰ্য্য—“সাদয়-আশাস্তে ” “সাদয় যজ্ঞং স্বকৃতস্ত যানেী” এই চরণে যজমানই যজ্ঞ ; যজমানের জন্তই এই জাণীৰ প্রার্থনা হয়6। ঐ চরণের অর্থ-বজ্ঞকে ( ষজমানকে ) স্বকৃতগণের ( পুণ্যকৰ্ম্মাদের ) যোনিতে ( স্থানে) স্থাপন কর। ।