পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় পঞ্চিকা ঃ ৬ষ্ঠ অধ্যায় ] ঐতরেয় ব্রাহ্মণ । ԵՑ “দেবয় বিপ্র উদিয়ত্তি বাচম” এই চরণ দ্বারা ইহাকে দেবগণের নিকটেই নিবেদিত ( বিজ্ঞাপিত ) করা হয়। সমস্ত ঋকের অর্থ, [ এই যুপ ] জাত (নিত্য প্রাকুভূত ) থাকিয়া এবং সকল দিনের মধ্যে যজ্ঞদিনের স্বদিনত (মঙ্গলজনকতা ) সম্পাদনের জন্য সমর্য (মহাযুক্ত) বিদখে ( যজ্ঞদেশে ) বৰ্দ্ধমান থাকিয়া জাত হয় (বর্তমান থাকে ) ; ধীর ( ধীমান) ব্যক্তিরা ইহাকে ( কৰ্ম্মের নিমিত্তভূত এই যুপকে ) মনীষা ( বুদ্ধি ) দ্বারা পবিত্র করেন এবং বিপ্রগণ ( ব্রাহ্মণ ঋত্বিকের ) দেবোদিষ্ট বাক্য উচ্চারণ করেন। সপ্তম ঋকৃ দ্বারা অনুবচন সমাপ্তি—“যুবা-পরিদধাতি” “যুব স্ববাসাঃ পরিবীত আগাং”৮ এই শেষ ঋক্ দ্বার। [ অনুবচন পাঠ ] সমাপ্ত করা হয়। এই প্রথম চরণে যুপকে যুবা ও স্ববাসাঃ বলা হইল, তাহার তাৎপৰ্য্য “প্রাণে। বৈ-পরিবৃত্ত : প্রাণই যুব ও প্রাণই ] স্বন্দর-বস্থধারী ; কেন না, এই সেই প্রাণ শরীর দ্বারা পরিবৃত ( বেষ্টিত ) ৷ প্রাণের বাদ্ধব্য নাই, এই জন্য প্রাণ যুবা ; এবং শরীর বস্ত্রের মত উহাকে বেষ্টন করিয়া আছে, এই জন্য উহা বস্থধারী। ঐ মন্ত্রের যুপের ঐ দুই বিশেষণ থাকায় যুপকে প্রাণস্বরূপ বলা হইল। দ্বিতীয় চরণ—"স উ•••জায়মানঃ” “স উ শ্রেয়ান ভবতি জায়মানঃ” এতদ্বারা সেই যুপ জাত (স্থাপিত ) হইয়। ক্রমশঃ উৎকৃষ্ট হয়। অর্থাৎ ঘৃতাঞ্জনাদি দ্বারা ক্রমশঃ কৰ্ম্মানুষ্ঠানপক্ষে উৎকর্ষ লাভ করে। তৃতীয় ও চতুর্থ চরণ—"তং ধীরাম...উন্নয়স্তি” “তং ধীরামঃ কবয় উন্নয়স্তি স্বাধ্যে মনসা দেবয়ন্তঃ” এই স্থলে র্যাহারা অনূচান (পণ্ডিত ), তাহারাই কবি ; তাহারাই এই যুপের উন্নয়ন করেন। সমস্ত ঋকের অর্থ—এই যুপ পরিবীত (রশনাৰেষ্টিত হইয়া) স্বন্দর বস্ত্রধারী যুবার মত আসিয়াছেন। তিনি জাত হইয়া ক্রমশঃ ( কৰ্ম্ম সাধন বিষয়ে ) উৎকৃষ্ট হইয়াছেন। মনের দ্বার। দেবযজনেচ্ছ স্বধী ও ধীর কবিগণ র্তাহাকে উন্নয়ন করেন। উক্ত সাতটি মন্ত্রের প্রথম মন্ত্র যুপকে স্বত মাখাইবার সময়, পরের পাঁচটি যুপকে উত্তোলনের সময় ও শেষ মন্ত্রটি যুপে রশনাবেষ্টনের সময় পাঠ করা হয়। উক্ত মন্ত্রসংখ্যার প্রশংসা—“ভা এতাঃ- অবিসংসাধু” ; . . এই সেই রূপসমৃদ্ধ সাতটি ঋক্ পাঠ করিবে। যাহা রূপসমৃদ্ধ, তাহা যজ্ঞের পক্ষে সমৃদ্ধ, কেন না, ঐ ঋক্ ক্রিয়মাণ কৰ্ম্মকেই পূর্ণভাবে উল্লেখ করে। তন্মধ্যে প্রথম ঋক্ তিন বার ও শেষ ঋক্ তিন বার পাঠ করিবে। তাহা হইলে তাহারা এগারটি