পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় পঞ্চিকা : ৬ষ্ঠ অধ্যায় ] ঐতরেয় ব্রাহ্মণ 、净》 “পরিত্রিবিষ্ট্যধবরং যাত্যগ্নী রীরিব”—ইহার অর্থ এই যে, অগ্নি রণীর মত অধ্বরের (যজ্ঞের ) চতুৰ্দ্দিকে গমন করেন। তৃতীয় ঋকের প্রথম চরণের ব্যাখ্যা—“পরি বাজপতিঃ-পতিঃ” “পরি বাজপতিঃ কবি!” এ স্থলে এই অগ্নিই বাজপতি (অন্নপতি)। তৎপরে অধ্বমুঠ পুনরায় মৈত্রাবরুণকে প্রৈযমন্ত্র দ্বারা আহবান করিবেন এবং অধ্ব প্লেষিত মৈত্রীবরুণ হোতাকে প্রৈষমন্ত্র দ্বারা আহবান করিবেন। অধ্যযু পিঠিত মৈত্রবরুশোদিষ্ট প্রৈবমন্ত্ৰ—“অতঃ..অধ্বযু্যঃ” অনস্তর ( পৰ্য্যগ্নি করণে অল্প চন পাঠের পর ), অহে হোতা, তুমি দেবগণের উদ্দেশে হবির প্রেরণ কর,—এই [ প্রৈষমন্ত্র ] অধ্বষু [ মৈত্রাবরুণকে ] বলিবেন। মৈত্রাবরুণ হোতার সহকারী ; এজন্য এ স্থলে তাহাকে হোতা বলিয়া সম্বোধনে দোষ হইল না। এ বিষয়ে ব্রহ্মবাদীদের আপত্তি পরে দেখ। অনভর অধ্বষু প্রেষিত মৈত্রাবরুণ হোতাকে লক্ষ্য করিয়! যে প্রৈযমন্ত্র বলিবেন, তাহার নাম উপপ্রৈষ, ষ থা— “অজৈৎ-প্রতিপদ্যতে”,

  • অজৈদগ্নিরসনদ্বাজম”—অগ্নির জয় হউক, তিনি বাজ ( অল্প ) দান করুন—মৈত্র'বরুণ [ হোতাকে ] এই উপপ্ৰৈষ বলিবেন ।

অধ্বন্ধু পিঠিত মন্ত্রে হোতাকেই সম্বোধন হইয়াছে ; এ বিষয়ে ব্রহ্মাদীদের আপত্তি “তদাস্থঃ...ইতি” - এ বিষয়ে [ ব্ৰহ্মবাদীরা ] বলেন, যখন অধ্যযু হোতাকেই উপপ্রেষণ করেন, তবে মৈত্রীবরুণকে কেন উপপ্ৰৈষ মন্ত্র বলিতে হয় ? ইহার উত্তর—“মনো বৈ-সম্পাদয়তি” মৈত্রাবরুণই যজ্ঞের মনের স্বরূপ ; হোতা যজ্ঞের বাক, [ -ইন্দ্রিয়- ] স্বরূপ ; বাণিক্রিয় মন কর্তৃক প্রেষিত (প্রেরিত ) হইয়াই কথা কহে । [ লোকে ] অন্যমনস্ক হইয়। ষে বাক্য বলে, সেই বাক্য অস্বরগণের প্রিয়, দেবগণের প্রিয় নহে। সেই নিমিত্ত মৈত্রাবরুণ যে উপপ্রৈষ পাঠ করেন, তাহাতে মনের দ্বারা [ প্রেরিত হইয়াই ] বাক্য বলা হয় ; মন কর্তৃক প্রেরিত সেই বাক্যদ্বারা দেবগণের উদ্দেশে আহুতি সম্পাদন করা হয় । 6) 8; St|S–* |