পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ খণ্ড—অখ্রিগুপ্রেষ অধ্বঘুর্ণ-প্লেষিত মৈত্রবরুণ উক্ত প্রৈষমন্ত্র দ্বারা হোতাকে অনুজ্ঞা করিলে, মৈত্রাবরুণ-প্রেবিত হোতা আবার অখ্রি গু-প্রৈষদ্বারা পশুবধকৰ্ত্তাকে অনুজ্ঞ করেন। অখ্রি গু শব্দের অর্থ পশুবিশসন-( বধ )-কৰ্ত্ত দেবতা। এ স্থলে পশুহত্যাকারী মনুষের প্রতি উক্ত প্রৈষমন্ত্র প্রযুক্ত হয়। উক্ত অখ্রি গু-প্রৈষমন্ত্রের প্রথমাংশ, যথা—“দ্বৈব্যাঃ. इंउTiइ” “অহে দেবরূপী শমিতৃগণ ( পশুহত্যাকারিগণ ), [ পশুবধ ] কর ; আর মনুষ্যরূপী [ শমিতৃগণ, তোমরা ও আরম্ভ কর ]”–এই মন্ত্র হোত। ] পাঠ করিবেন। ঐ মন্ত্রের ব্যাখ্যা—“যে চৈব-সংশাস্তি” র্যাহারা দেবগণমধ্যে শমিতা ( পশুঘাতক ) ও র্যাহার। মকুন্তাগণ মধ্যে শমিতা তাহাদের উভয়কেই এতদ্বার। [ বধ কৰ্ম্মে ] প্রেরণ করা হয়। ঐ মন্ত্রের পরবর্তী অংশ—“উপনয়ত-সমৰ্দ্ধয়তি” মেধপতিদ্বয়ের ( যজ্ঞস্বামী যজমানের ও তৎপত্নীর ) জন্য যজ্ঞকে প্রার্থনা করিয়া “মেধ্য (যজ্ঞে ব্যবহার্ষ্য) দ্বার (উপায় অর্থাৎ পশুহত্যার) অস্থাদি [ যুপের নিকট ] লইয়৷ আইস”—এই বাক্যে পশুই মেধ ও যজমানই মেধপতি ; এতদ্বারা যজমানকেই আপনার মেধদ্বারা (যজ্ঞ ভাগ দ্বারা ) সমৃদ্ধ করা হয় । এ স্থলে মেধপতি শব্দে যজমানকে না বুঝাইয়া যজ্ঞপতি দেবতাকেও বুঝাইতে পারে, যথা—“অথে খলু-স্থিতম্” এ বিষয়ে [ ব্রহ্মবাদীর। ] বলেন, যে দেবতার উদ্দেশে পশুর হত্য হয়, তিনিই মেধপতি। তাহ হইলে সেই পশু যদি এক দেবতার উদ্দিষ্ট হয়, তাহ হইলে [ ঐ মন্ত্রে “মেধপতিভ্যাং” না বলিয়। ] “মেধপতয়ে” ইহাই বলিবে ; যদি দুই দেবতার উদ্দিষ্ট হয়, তাহা হইলে “মেধপতি ভ্যাং” বলিবে ; যদি বহুদেবতার উদ্দিষ্ট হয়, তবে “মেধপতিভ্যঃ” বলিবে ; ইহাই স্থির। মন্ত্রের পরবর্তী অংশ বিষয়ে আখ্যায়িকী—“প্রাস্মা.পুরস্তাদ্ধরস্তি” [ “হে শমিতৃগণ ] এই পশুর জন্য অগ্নিকে প্রথমে লইয়া যাও”—এই বাক্যের তাৎপৰ্য্য—[পুরাকালে বধদেশে ] নীয়মান পশু মৃত্যু সম্মুখে দেখিয়াছিল ; সেই পশু দেবগণের পশ্চাৎ যাইতে চাহে নাই ; [ তখন ] দেবগণ তাহাকে বলিলেন, আইস, তোমার.সহিত আমরা স্বর্গে ই যাইব ; সে বলিয়াছিল, তাহাই হউক, (তবে ) তোমাদের মধ্যে একজন আমার সম্মুখে ( অগ্ৰে ) চল ; তাহাই হউক, বলিয়া অগ্নি তাহার অগ্রে গমন করিয়াছিলেন ; সেও তাহার পশ্চাৎ চলিয়াছিল। এই জন্ত বলা হয়, পশুগণ অগ্নিসম্বন্ধী, কেন না, পশু অগ্নির