পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉》b" রামেজন্বন্দর রচনাসমগ্র উপাংশুহোম ও অন্তর্যামহোমের পর বাক্যত্যাগের বিধান—“প্রাণং যচ্ছ" বেদ” “প্রাণং যচ্ছ স্বাহা ত্ব স্বহৰ সূৰ্য্যায়”—হে শোভনহোম-সম্পাদক [ উপাংশুগ্রহ ], স্বর্ঘ্যের উদ্দেশে সম্যকৃভাবে তোমার হোম করিতেছি, তুমি [ যজমানে ] প্রাণ দান কর—এই বলিয়া উপাংশুগ্রহের উদ্দেশে মন্ত্র [ অনুচ্চস্বরে ] পাঠ করিবে ও “প্রাণ প্রাণং মে যচ্ছ”—হে প্রাণ, আমাকে প্রাণ দাও-এই মন্ত্রে তাহার উদ্দেশে শ্বাস গ্রহণ করিবে। “অপানং যচ্ছ স্বাহা ত্বা স্বহব স্থৰ্য্যায়”—এই বলিয়া অন্তর্যামের উদ্দেশে মন্ত্র [ অনুচ্চস্বরে ] পাঠ করিবে ও “অপানাপানং মে যচ্ছ” এই মন্ত্রে তাহার উদ্দেশে শ্বাস ত্যাগ করিবে। [ তদনন্তর ] “ব্যানায় ত্বা”—ব্যানবায়ুর জন্য তোমাকে স্পর্শ করিতেছি ]—এই বলিয়া উপাংশু-সবন (তন্নামক ) পাষাণকে স্পর্শ করিয়া বাক্য ত্যাগ করিবে (উচ্চস্বরে কথা কহিবে )। এই উপাংশুলবনই আত্মা। এতদ্বারা ( ঐ পাষাণস্পর্শ দ্বারা ) হোতা আত্মাতেই ( শরীরেই) প্রাণ স্থাপিত করিয়া পূর্ণায়ু লাভ করিয়া বাক্য ত্যাগ করেন। তাহাতে পূর্ণ আয়ু লাভ ঘটে। যে ইহা জানে, সে পূর্ণ আয়ু প্রাপ্ত হয়। (১) সোমধাগের শেষ দিনে সোমলত হইতে সোমরস নিষ্কান্ত করিয়া ঐ রস আহুতি দেওয়া হয় ও উহা ঋত্বিকের ও যজমান পান করেন । ইহাই সেমিধাগের প্রধান অনুষ্ঠান। ইহার নাম লবন। দিবসের মধ্যে তিন বার সবন হয়—প্রতিঃসবন, মাধ্যদিনসবন ও তৃতীয় সবন । অভিযুত সোমরসের নাম গ্রহ। যে পাত্রে সোমরস রক্ষিত হয়, তাহাকেও গ্রহ বলে। যে পাত্রে সোমরস লইয়া পান করা হয়, উহী চমস। প্রাতঃসবনে নিম্নোক্ত গ্রহের ব্যবহার আছে। উপাংশু, অন্তর্ধাম, ঐন্দ্রবীয়ব, মৈত্রাবরণ, আশ্বিন, শুক্র, মন্থী, দ্বাদশ ঋতুগ্রহ, ঐন্দ্রায়, বৈশ্বদেব ও উকৃথ্য। (২) সোমাভিযবের জন্য অর্থাৎ জলসিক্ত সোম কুটিয়। তাহা হইতে রস নিষ্কাশনের জন্য যে পাষাণখণ্ড ব্যবহার হয়, সেই পাষাণের উল্লেখ হইতেছে। উপাংশুহোমের অর্থাৎ উপাংশুগ্ৰহ হইতে অস্থিতির নিমিত্ত সোমরস নিষ্কাশনের জন্ত যে পাষাণখণ্ড ব্যবহৃত হয়, তাহার নাম উপাংশুসবনপাষাণ । চতুর্থ খণ্ড—বহিষ্পবমান স্তোত্র উপাংশুহোম ও অন্তর্যামহোমের পর অভিযুত সোমরস ঐক্সবায়বাদি গ্রহে হোমের জন্ত রাখা হয়। তৎপরে অধ্বষু , প্রস্তোতা, প্রতিহর্তা, উদগাতা ও ব্রহ্মা, এই পাচ জন ঋত্বিক ও তৎপরে যজমান ক্রমান্বয়ে হাত ধরাধরি করিয়া চত্বাল অভিমুখে