পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য়2পঞ্চিকা ঃ ৮ম অধ্যায় ] ঐতরেয় ব্রাহ্মণ § 32 বহিস্পবমান স্তোত্রই গানের জন্য প্রসপণ ( গমন ) করেন ; সকলে উপবেশন করিলে হোতা তাহাঁদের অনুমন্ত্রণ করেন। হোতা ঐ সময়ে অন্তান্ত ঋত্বিকের সহিত ৰাইবেন কি না, তৎসম্বন্ধে বিচার—“তদাহুঃ • • • •তথ্য স্থাৎ” এ বিষয়ে [ ব্রহ্মবাদীর } প্রশ্ন করেন, [ হোতাও ঐ সঙ্গে ] যাইবেন, কি যাইবেন না ? কেহ কেহ বলেন যে, [ হোতাও ] যাইবেন। এই যে বহিষ্পবমান, ইহা দেবগণের ও মছুষ্যগণের ভক্ষ্য, সেইজন্য ইহার উদ্দেশে সকলেই যাইবেন, ইহাই তাহারা বলেন। কিন্তু [ ঐ ব্রহ্মবাদীদের ] এই মত এই [ প্রসপণ ] বিষয়ে আদরণীয় নহে। { কেন না ] যদি হোতা [ প্রসপণকারী উদগাতার পশ্চাৎ ] গমন করেন, তাহা হইলে ঋকৃকে সামের অনুগামী করা হইবে ॥২ এই সময়ে যদি কেহ সেই হোতাকে বলে, এই হোতা সামগানকারীর (উদগাতার) পশ্চাদগামী হইয়াছে ও উদগাতাতেই [ নিজের ] যশ স্থাপন করিয়াছে ও [ আপনার উচ্চতর ] পদবী হইতে ভ্ৰষ্ট হইয়াছে, এখন এই ব্যক্তি [ আপনার ] পদবী হইতে ভ্ৰষ্ট হুইবে ;—তাহ হইলে অবশ্যই তাহ { স্বপদ হইতে ভ্রংশ ] ঘটিবে। এই জন্য [হোতা] সেইখানে ( স্বস্থানে) উপবিষ্ট হইয়াই [অন্ত ঋত্বিকৃগণের দিকে চাহিয়৷] মন্ত্রপাঠ করিবে । হোতৃপাঠ্য মন্ত্র যথা—“cযা দেবানাং...এবং বেদ” “ষে দেবানমিহ সোমপীথে যজ্ঞে বহিষি বেষ্কাম। তস্তাপি ভক্ষয়ামসি”—এই যজ্ঞে যে বেদি ও যে বহিঃ আছে, তাহাতে দেবগণের যে সোমপীথ ( সোমযাগে ভক্ষণীয় বহিষ্পবমান চরু ) আছে, তাহার অংশ আমরা ভক্ষণ করিব—এই মন্ত্র পাঠ করিলে হোতার আত্মা সোমপীথ ( সোমপান ) হইতে বঞ্চিত হয় না। তৎপরে “মুখমণি মুখং ভূয়ালম"- হে বহিষ্পবমান ], তুমি [ যজ্ঞয় ] মুখ, আমিও মুখ (মুখ্য বা প্রধান ) হইব—এই মন্ত্রে এই যে বহিষ্পবমান, ইহাকেই যজ্ঞের মুখস্বরূপ বলা হয়। যে ইহা জানে, সে আত্মীয় মধ্যে মুখ ( প্রধান ) হয় ও আত্মীয় মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়। মিত্রাবরণের উদ্দেশে সবনীয় সোমরসে পয়স্তা ( দধি ) মিশাইতে হয় ; তৎসম্বন্ধে আখ্যায়িকা—“আম্বরী......নিরকুরুতাম্” অস্থরজাতীয় দীর্ঘজিহী দেবগণের উদ্বেষ্ট প্রাতঃসবন [ জিহাদ্বার। ] লেহন করিয়াছিল ; তদ্বারা ঐ [ সোমরস ] আরও মত্ততাজনক হইয়াছিল। সেই দেবগণ [ মাদকতা নিবারণের উপায় ] জানিতে ইচ্ছা করিয়া মিত্র ও বরুণকে বলিলেন, এই প্রাডঃসবনকে নির্দোষ কর । র্তাহার। (মিত্র ও বরুণ ) বলিলেন, “তাহাই করিব ; তবে আমরা বরপ্রার্থনা করিতেছি ।” { দেবগণ বলিলেন ] “প্রার্থনা কর।” তখন র্তাহারা প্রাতঃসবনে পয়স্তাকেই বয়স্বরূপে প্রার্থনা করিলেন । সেই জন্য এই সেই পয়স্তা ( দধি ) ইহাঙ্গের বরস্বরূপে প্রাধিত হওয়ায় কখনও ইহাদিগকে ত্যাগ করে না। এই হেতু সেই প্রাতঃস্বনে সেই [ দীর্ঘজিহী ] বাহাকে মাদকতাজনক করিয়াছিল, তাহা