পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় পঞ্চিকা ঃ ৯ম অধ্যায় ] ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ১২৩ সামর্থ্য )। যে ইহা জানে, সে যজমানকে ঐ সকল দেবতার সাযুজ্য, সামীপ ও সালোক্য প্রাপ্ত করায় ও শ্রেষ্ঠ [ দেবতার ] সাযুজ্য প্রাপ্ত হয় ও শ্রেষ্ঠতাপ্রাপ্ত হয়। পুরোডাশযাগের পর তৎসম্বন্ধী স্বিষ্টকৃৎ যাগের যাজ্য—“হবিরগ্নে-.ষজতীতি”

  • হবিরগ্নে বীহি”—অহে অগ্নি, হব্য ভক্ষণ কর—এই মন্ত্রকে প্রত্যেক সবনে (তিন সবনেই ) পুরোডাশসম্বন্ধী স্বিষ্টরুতের যাজ্য করিবে। অবৎসার (তন্নামক ঋষি ) এই মন্ত্র দ্বারা অগ্নির প্রিয় ধামের সমীপে গিয়াছিলেন ও তিনি পরম লোক জয় করিয়াছিলেন। যে ইহা জানে এবং যে ইহা জানিয়া উক্ত পঞ্চ হব্য দ্বারা নিজের জন্ত যাগ করে, ও পরের অর্থাৎ ৰজমানের জন্ত ] যাগ করে, সে অগ্নির প্রিয় ধামের সমীপে

গমন করে ও পরলোক প্রাপ্ত হয় । (১) যব ভাজিয়া ঘৃতে পাক করিয়া ধান প্রস্তুত হয়। ঐ ভাজা যবের ছাতু স্বতে পাক করিয়া করম্ভ প্রস্তুত হয় । চাউল ভাজিয়া উহার খই ঘৃতে পাক করিয়া পরিবাপ প্রস্তুত হয়। দুগ্ধে দধি মিশাইয়া পয়স্তা প্রস্তুত হয়। চাউলের পিষ্টকের নাম পুরোডাশ। এই পঞ্চহব্যসমন্বিত যজ্ঞের নাম হবিম্পঙক্তি যজ্ঞ । (২) হবিম্পঙক্তির ( পঞ্চ হব্যদানের ) পর হোতা মন্ত্র জপ করেন ; সেই জপের আরম্ভে ঐ পাঁচটি অক্ষর উচ্চারণ করিতে হয়। সম্প্রদায়বিদগণের মতে এক একটি অক্ষর ব্রহ্মের স্বরূপ। স্ব দ্বারা ব্রন্ধের পূজিতত্ব, মৎ দ্বারা প্রহৃষ্টত্ব, পৎ দ্বারা সৰ্ব্বব্যাপিত্ব, বক্‌ দ্বারা সৰ্ব্ববক্তৃত্ব ও দে দ্বারা ফলদাতৃত্ব বুঝায়। সায়ণোদ্ধত বচন— “এতদ্ধেতৃিজপাখ্যস্ত চাদিতোহঙ্করপঞ্চকম। একৈকমক্ষরং চাত্র পরস্ত ব্ৰহ্মণে বপুঃ ॥ স্থ পূজিতং মং প্রহৃষ্টং পৎ সৰ্ব্বব্যাপি তচ বকৃ। সূৰ্ব্বস্ত বত্ব ব্রহ্মৈব দে ফলানাং প্রদাতৃ তৎ ॥” (৩) এ স্থলে চারিটি হব্যের জন্ত চারিটি মন্ত্রমাত্র বলা হইল। পয়স্তাদানের জন্ত পঞ্চম মন্ত্র বলা হইল না। ঐ মন্ত্র শাখাস্তরে আছে। (৪) শরীরের ভরণহেতু বলিয়৷ প্রাণকে ভরত বলা হইল। ভরতের বৃত্তি ভারতী। বাগ দেবতার ও ভারতী দেবতার উদ্দেশে পরিবাপ দেওয়া হইল। নবম অধ্যায় প্রথম খণ্ড—দ্ধিদেবত্য গ্ৰহ তৎপরে প্রাতঃসবনে ঐন্দ্রবায়বাদি অন্যান্য গ্রহ লইয়া সোমাহুতি হয়। তন্মধ্যে ঐক্সবায়বাদি তিনটি দ্বিদেবত্য গ্রহ সম্বন্ধেs অাখ্যায়িকী—“দেবা বৈ---উদজয়ং” পুরাকালে দেবগণ আমি প্রথমে পান করিব, আমি প্রথমে [ পান করিব ], এইরূপ