পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যজ্ঞ-কথা : যজ্ঞ—অগ্ন্যাধান ও অগ্নিহোত্র ר צ বাহির হইয়াছিলেন। ইউরোপে এবং অন্যান্য দেশে তাহারাই প্রথমে ঘোড়ার আমদানি করেন। ভারতবর্ষে তাহারা অশ্বারোহী হইয়া প্রবেশ করিয়াছিলেন, মনে করা যাইতে পারে। র্তাহাদের গার্হস্থ্য জীবনের আরম্ভস্থচক প্রথম অনুষ্ঠানে হয়ত এই জন্যই ঘোড়৷ আনিতে হইত। আমার এই অনুমানে আপনারা হয়ত হাসিবেন । ইহা নিশ্চয়ই একটা survival । অগ্ন্যাধান ঘোড়ার উপস্থিতির একটা কিছু সার্থকতা অতি পূর্বে ছিল। পরবত্তী কালে তাহার তাৎপৰ্য্য লোকে ভুলিয়া গেল, কিন্তু প্রথাটা থাকিয়া গেল । পুরাতন বৈদিক সাহিত্যে স্থৰ্য্যের সহিত ঘোড়ার তুলনা বহু স্থানে দেখিতে পাওয়া যায়। ম্যাকডোনেল তাহার Vedic Mythologyতে বহু দৃষ্টান্ত দিয়াছেন ; আপনারা দেখিতে পারেন। স্থৰ্য্য বেদপন্থী সমাজের অতি প্রাচীন দেবতা। তিনি ত সাত ঘোড়ার রথে চড়িয়া দিগ্বিজয়ী বীর পুরুষের মত আকাশপথে ভ্রমণ করেন। তিনি নিজেই যেন ঘোড়া। স্থৰ্য্যের অশ্বরূপ বর্ণনা প্রাচীন সাহিত্যে পাওয়া যায়। একবার ত্বষ্ঠার সহিত র্তাহার জামাতা স্থৰ্য্যের ঝগড়া হইয়াছিল। ছায়া এবং সংজ্ঞাঘটত সেই গল্প আপনার জানেন । স্থৰ্য্য সেখানে অশ্বমূত্তি ধরিয়াছিলেন। যাজ্ঞবল্ক্য ঋষির তপস্তায় সস্তুষ্ট হইয়া স্থৰ্য্য যখন ঋষিকে নূতন যজুৰ্ব্বেদ দান করিয়াছিলেন, তখনও তিনি বাজি বা অশ্বরূপে ঋষিকে দেখা দিয়াছিলেন। অগ্ন্যাধান-কৰ্ম্মে ঘোড়াটি প্রথমে পূৰ্ব্বমুখে চলে, তাহার পর আহবনীয়ে উপস্থিত হইয়া পশ্চিম মুখে দাড়ায়, এবং সেখান হইতে ফিরিয়া আসে। অনুমান করা যাইতে পারে যে, এই ঘোড়া সেখানে স্থৰ্য্যেরই কল্পিত প্রতিনিধি, এবং ঘোড়াটির যাতায়াত স্থৰ্য্যেরই দৈনিক আবৰ্ত্তনস্থচক। এই অল্পমানটাও আমি ছাড়িয়া দিলাম, আপনারা ইচ্ছা হয় লইবেন । অগ্ন্যাধানের পর আহবনীয় অগ্নিতে প্রতি দিন অগ্নিহোত্র যাগ করিতে হইত। এই অগ্নিহোত্র যাগ নিত্যকৰ্ম্ম । ইহা না করিলেই নয়। আহবনীয় অগ্নিতে প্রাতে একবার এবং সন্ধ্যায় একবার আহুতি দিতে হইত। প্রাতঃকালে স্থৰ্য্যের উদ্দেশ্যে এবং সন্ধ্যায় অগ্নির উদ্দেশে আহুতি দিতে হইত। ইহাই অগ্নিহোত্র। স্থৰ্য্য এবং অগ্নি উভয়েই জ্যোতিঃস্বরূপ। যেন একই দেবতার দুই মূৰ্ত্তিভেদ । অগ্নির স্থল পৃথিবীলোক, এবং স্থৰ্য্যের স্থল দু্যলোক। এই দুই দেবতাকে আহুতি দিলে সকল দেবতাকেই একরকম তৃপ্ত করা হয় । কেন না, সকল দেবতাই জ্যোতিঃস্বরূপ । এইরূপে স্থৰ্য্যের সহিত অগ্নির সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। অগ্ন্যাধান অনুষ্ঠানে ঘোড়ার পায়ে অগ্নি স্পর্শ করিয়া সেই অগ্নির প্রতিষ্ঠার মূল এইরূপে পাওয়া যাইতে পারে। অগ্নিহোত্রের কথা বলিতে চাহি। অাহিতাগ্নি গৃহস্থ প্রত্যহ সন্ধ্যায় ও প্রাতে শ্রেীত অগ্নিতে অগ্নিহোত্র সম্পাদন করেন। ইহা গৃহস্থের নিজের কাজ। অশক্ত পক্ষে প্রতিনিধি দ্বারা চলিতে পারে। পুত্র, ভ্রাতা, ভাগিনেয়, জামাতা প্রভৃতি প্রতিনিধি হইতে পারে। অধ্বষু দ্বারাও চলিতে পারে। স্বয়ং আহুতি দিলে যে ফল, প্রতিনিধির দ্বারা দিলে ফল তার চেয়ে অল্প। অগ্নিহোত্র সম্পাদনের জন্য গৃহস্থঘরে একটি গাভী থাকিত, তাহার নাম অগ্নিহোত্রী গাভী। প্রাতে এবং সন্ধ্যায় সেই গাভীর দুগ্ধ লইয়া মাটির মালসায় রাখিয়া গাহঁপত্যের আগুনে তপ্ত করিতে হয়। আহুতির জন্য দুইখানি কাঠের হাত দরকার। একখানি ছোট হাতা, তাহার নাম झॉ. (२)-२