পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ খণ্ড—বষট কার বযটুকার সম্বন্ধে পুনরায় বিচার—“বজে বা কুৰ্ব্বস্তি” এই যে বধটকার, ইহা বজ্রস্বরূপ । যাহাতে দ্বেষ করা যায়, তাহাকে চিন্তী করিয়া বষটুকার করিলে তাহারই প্রতি সেই বজ্রের নিক্ষেপ ঘটে। “ষটু” এই [ অস্ত্যভাগ ] দ্বারা বযটুকার হয়। ঋতু ছয়টি ; এত দ্বারা ঋতুসকলকেই সমর্থ করা হয়, ঋতুসকলকেই প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ঋতুসকল প্রতিষ্ঠিত হইলে এই যাহ। কিছু আছে, তাহ সমস্তই তাহার পশ্চাৎ প্রতিষ্ঠিত হয়। যে ইহা জানে, সেও প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে বিদের পুত্র হিরণ্যদ্বৎ ( তন্নামক ঋষি ) বলিয়াছেন,—এই বর্ষাকার দ্বারা এই ছয়টি প্রতিষ্ঠিত করা হয় ; দু্যলোক অন্তরিক্ষে, অস্তরিক্ষ পৃথিবীতে, পৃথিবী অপসমূহে, অপসমূহ সত্যে, সত্য ব্রহ্মে ( বেদে ), ব্ৰহ্ম তপস্তায় প্রতিষ্ঠিত হয় ; তখন প্রতিষ্ঠাস্বরূপ এই সকলই প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এই যাহ। কিছু আছে, তাহ সমস্তই তাহার পশ্চাৎ প্রতিষ্ঠিত হয় ; যে ইহা জানে, সেও প্রতিষ্ঠিত হয় । “বেীং টু” এই বলিয়৷ বৰ টুকার হয়। উনিই ( ঐ আদিত্যই ) বেী', আর ঋতুসমূহ ‘ষট্ (ছয়); এতদ্বারা তাহাকেই (আদিত্যকেই) ঋতু-সমূহে নিহিত করা হয় ও ঋতুসমূহেই প্রতিষ্ঠিত করা হয়। এই হোতা দেবগণের উদ্দেশে যেরূপ প্রেতিষ্ঠা সম্পাদন ] করেন, দেবগণও তাহার উদ্দেশে সেইরূপ করেন। (১) বষটুকারের দুই ভাগ—“বোঁ” আর "টু”। সপ্তম খণ্ড–-বষট কার বষটুকারের অবাস্তরভেদ, যথা—“ত্রয়ো বৈ•••য এবং বেদ” বযটুকার ত্রিবিধ—বজ, ধামচ্ছৎ ও রিক্ত । সেই হোতা উচ্চস্বরে ও বলের সহিত যে বযটুকার করেন, তাহার নাম বজ্র। যে সেই হোতার হস্তব্য হয়, তাহার হত্যার জন্য দ্বেধকারী শক্রর উদ্দেশে ঐ বজ্ৰ নিক্ষিপ্ত হয় ; সেই জন্য শক্রযুক্ত যজমানকর্তৃক সেই বষটুকার প্রযোজ্য। অাৰায়-যাহ সমান স্বরে উচ্চারিত, [ যাজ্যাম স্ত্র হইতে ] অবিচ্ছিন্ন ও যাহার [ যাজ্য ] ঋকৃপরিত্যক্ত হয় নাই, সেই বষটুকার ধামচ্ছৎ ১ প্রজাগণ ও পশুগণ সেই বযটুকারের নিকটে উপস্থিত থাকে ; সেই জন্য প্রজাকামী ও পশুকামী যজমানকর্তৃক সেই বযটুকার প্রযোজ্য।