পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ খণ্ড–নিস্কেবল্য শস্ত্র আখ্যায়িকাস্তে নিস্কেবল্য শস্ত্রের যাজ্যাবিধান, যথা—“তে দেবা...অত্রাকুৰ্ব্বন্‌” সেই দেবগণ বলিলেন, ঐ যে ইন্দ্রের প্রেয়সী বাবাতাম পত্নী, তাহার নাম প্রসিহা, তাহার নিকটেই আমাদের ইচ্ছা জানাই। তাহাই হউক, এই বলিয়া তাহার। র্তাহার নিকট ইচ্ছা জানাইলেন। তিনি ইহঁাদিগকে বলিলেন, [ কল্য ] প্রাতঃকালে তোমাদিগকে প্রত্যুত্তর দিব। কেন না, স্ত্রী পতির নিকট জানিতে ইচ্ছা করে এবং রাত্রিকালেই পতির নিকট জানিতে ইচ্ছা করে। দেবগণ [ পরদিন ] প্রাতঃকালে তাহার নিকট গিয়াছিলেন। তিনি প্রত্যুত্তরে এই মন্ত্র বলিলেন – “যদ্বাবান পুরুতমং পুরাঘাড়া বৃত্ৰহেন্দ্রে নামান্যপ্রাঃ । অচেতি প্রাসহস্পতিস্তবিষ্মান যদীমুখসি কৰ্ত্তব করতৎ”ং —পুরাঘাট (পুরাতন পুরুষমধ্যে সহিষ্ণু) বৃত্মঘাতী ইন্দ্র পুরুভম ( প্রভূত ) বস্তু পাইয়াছিলেন ও নামে [ চারি কি ] পূর্ণ করিয়াছিলেন ; সেই প্রাসহস্পতি ( প্রবলগণের পতি ) ও তুবিম্মান ( বহু ধনবান্‌) ইন্দ্র দেবগণের অভীষ্ট জানিয়াছিলেন ; আমরা যাহা করিতে চাহি, তাহা ইন্দ্র করিয়াছেন। এই মন্ত্রে ইন্দ্রই প্রাসহস্পতি ও তুবিষ্মান শেষ চরণে ] যাহা আমরা করিতে চাহি, তাহাই তিনি করিবেন, ইহাই বাবাত দেবগণকে বলিয়াছিলেন। সেই দেবগণ বলিলেন, আমাদের [ হিতকারিণী ] এই প্রাণহা এই শস্ত্রে কিছুই পান নাই ; এখন ইহাতে ইহার [ ভাগ ] রন্থক। তাহাই হউক বলিয়া তাহারা এই নিস্কেবল্য ] শস্ত্রে সেই বাবাতারও ভাগ বিধান করিয়াছিলেন। সেই জন্ত “ষদ্বাবান পুরুতমং পুরাষাট,” ইত্যাদি মন্ত্র এই শস্ত্রে পঠিত হয়। এই যে প্রাসহ নামে ইন্দ্রের প্রেয়সী বাবাত পত্নী, ইনিই সেন,৩ এবং ক-নামক প্রজাপতি ইহার (ইক্সপত্নীর ) শ্বশুর ॥৪ ষে [ যুদ্ধার্থী ব্যক্তি ইচ্ছা করে, অামার সেনা জয়লাভ করুক, সে ঐ সেনার অৰ্দ্ধভাগ অতিক্রম করিয়া [ ভূমিতে ] দাড়াইয়৷ একগাছি তৃণ উভয় দিকে (গোড়ায় ও আগায় ) ছিড়িয়া অন্ত (শত্রুপক্ষীয় ) সেনার অভিমুখে “প্ৰাগহে কন্তু পশুতি”— অয়ি প্রাসহে, [ তোমার শ্বশুর ] ক ( প্রজাপতি ) তোমাকে দেখিতেছেন—এই মন্ত্রে নিক্ষেপ করিবেন। পুত্রবধু ধেমন শ্বশুরকে লজ্জা করিয়া নিলীন (লুঙ্কায়িত ) হয়, সেইরূপ যে স্থলে ইহা জানিয় একগাছি তৃণকে উভয় দিকে ছিড়িয়া “প্রাসহে কত্ব পশুতি” এই মন্ত্রে অন্ত সেনার অভিমুখে নিক্ষেপ করা হয়, সে স্থলে সেই সেনাও ভঙ্গ शूिंश्व निशौन छ्च । نصلى الله عليه وسلم ইজ [ তখন ] সেই দেবগণকে বলিয়াছিলেন, তোমাদেরও এই শস্ত্ৰে ভাগ