পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম খণ্ড—আগ্নিমারুত শস্ত্র—প্রজাপতির উপাখ্যান আগ্নিমারুত শস্ত্রের উপক্রমে প্রজাপতির উপাখ্যান, যথা—“প্রজাপতির্বৈ-দেবাঃ” পুরাকালে প্রজাপতি আপন কস্তার উদ্দেশে ধ্যান করিয়াছিলেন। কেহ কেহ বলেন, তিনি ( সেই কন্যা ) ছোঁ: দেবতা ; কেহ বলেন, তিনি উষা। প্রজাপতি ঋগুরূপ ধরিয়া রোহিতরূপিণী" সেই কঙ্কার সহিত সঙ্গত হইয়াছিলেন। দেবগণ তাহাকে দেখিয়া বলিলেন, প্রজাপতি, যাহা কেহ করে নাই, তাহা করিতেছেন ॥৩ এই বলিয়া, যে র্তাহাকে আত্তি ( শাস্তি ) দিতে পারিবে, এমন ব্যক্তির তাহার। অন্বেষণ করিতে লাগিলেন । কিন্তু আপনাদের মধ্যে তেমন ব্যক্তি কাহাকেও দেখিলেন না। তখন তাহদের যে ঘোরতম ( অত্যুগ্র) শরীর ছিল, তাহ তাহার একত্র মিলিত করিলেন। সেই সকল শরীর মিলিত হইয়। এই দেবের উৎপত্তি হইল ; তাহার নাম ভূভবান। যে ব্যক্তি র্তাহার এই নাম জানে সে ভূতি লাভ করে। দেবগণ সেই ভূতবানকে বলিলেন, এই প্রজাপতি, যাহ কেহ করে নাই, তাহ করিয়াছেন, ইহঁাকে [ বাণ দ্বারা ] বিদ্ধ কর। তিনি বলিলেন, তাহাই হউক, তবে আমি তোমাদের নিকট বর চাহিতেছি । [ তাহার। বলিলেন ] বর প্রার্থনা কর । তিনি পশুগণের আধিপত্য বর চাহিলেন। সেই হেতু র্তাহার নাম পশুমান। যে তাহার এই নাম জানে, সে পশুযুক্ত হয়। তখন তিনি প্রজাপতিকে লক্ষ্য করিয়া [ বাণ স্বারা ] তাহাকে বিদ্ধ করিলেন । বিদ্ধ হইয়া তিনি উৰ্দ্ধে উৎপতিত হইলেন। র্তাহাকে ( আকাশস্থ মৃগরূপী প্রজাপতিকে ) লোকে মৃগণ বলিয়া থাকে। আর ঐ যিনি [ মৃগকে বিদ্ধ করিয়াছিলেন ], তিনিই [ আকাশে ] ঐ মৃগব্যাধ ; আর ধিনি রোহিতরূপিণী, তিনি [ আকাশে ] রোহিণী ; আর যাহা ত্রিকাগুযুক্ত? বাণ, তাহাও { আকাশে ] ত্রিকাগু বাণ হইয়া আছে । প্রজাপতির [ রোহিতরূপিণী জুহিতায় ] সিক্ত এই রেতঃ [ স্রোতোরূপে ] ধাবিত হইয়াছিল। তাহা এক সরোবর হইল। সেই দেবগণ বলিলেন, প্রজাপতির এই রেতঃ যেন দোষযুক্ত ( অস্পৃশু ) ন হয়। প্রজাপতির এই রেতঃ “মা দুষং”—দোষযুক্ত না হয় —এই যে তাহারা বলিয়াছিলেন, তাহাতেই সেই রেতঃ "মাদুঘ” [ নামে প্রসিদ্ধ ] হইল । ইহাই মাছুষের মাছুষত্ব। এই ষে মানুষ, ইহারই নাম মাদুষ । মানুষকেই এই পরোক্ষ ( অপ্রচলিত ) নামে ডাকা হয়। দেবগণ পরোক্ষ নামই ভাল বাসেন । (১) ঋ:গু৷ মৃগবিশেষঃ । তথাচাভিধানকার জাহ গোকৰ্ণপৃষভৈণগুয়োহিতাশ্চমরো মৃগ ইতি। (সায়ণ) (২) মূলে অাছে—“রোহিতং ভূতাম"। গায়ণ