পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামেন্দ্রকুমার রচনাসমগ্র [ ইন্দ্ৰ ] সত্ররূপ উদয়ে [ সোমরস ] বর্ষণ কর—এই [ চতুর্থ চরণ ] বৃষণ-পদযুক্ত । ষোড়শীর রূপও বৃষণ-যুক্ত ( বর্ষণহেতু বা তৃপ্তিহেতু) ; এবং এই ষে ষোড়শী, উহ। সকল সবন হইতেই নিৰ্ম্মিত। “অপা: পূৰ্ব্বেষাং হরিব: স্বতানাং” এই মন্ত্রকে যে ৰাজ্য। করা হয়, এতদ্বারা সকল সবন হইতেই ষোড়শীকে নিৰ্ম্মাণ করা হয়। যে ইহা জানে, সে সকল সবন হইতেই নিৰ্ম্মিত ষোড়শী দ্বারা সমৃদ্ধ হয় । [ ঐ ধাজ্য মন্ত্রের ] একদশ-অক্ষরযুক্ত প্রত্যেক চরণে মহানামী ঋকের [ অন্তর্গত ] পঞ্চাক্ষরযুক্ত উপসর্গ যোগ করিবে। এই যে ষোড়শী, উহা সকল ছন্দ হইতে নিৰ্ম্মিত। মহানায়ী ঋকের [ অন্তর্গত ] পঞ্চাক্ষর উপসর্গকে যে ধাজ্য মন্ত্রের একাদশক্ষরযুক্ত প্রত্যেক চরণে যোগ করা হয়, এতদ্বারা ষোড়শীকে সকল ছন্দ হইতেই নিৰ্ম্মিত করা হয়। যে ইহা জানে, সে সকল ছন্দ হইতেই নিৰ্ম্মিত ষোড়শী দ্বারা সমৃদ্ধ হয়। (১) ঐতরেয় আরণ্যক মধ্যে চতুর্থ আরণ্যকে “বিদ। মঘবন বিদা গাতুমকু শংসিষোদিশ-” ইত্যাদি নয়টি ঋকৃ উদ্ধৃত হইয়াছে, উহাদের নাম মহানামী ঋকৃ। তন্মধ্যে দ্বিতীয় ঋকে “প্রচেতন” এবং “প্রচেতয়,” তৃতীয় ঋকে “আয়াহি পিব মৎস্ব,” ষষ্ঠ ঋকে “ক্রতুচ্ছন্ন ঋতং বৃহৎ,” অষ্টম ঋকে স্বয় আধেহি নো বসে।” এই পাঁচটি পদ আছে। এই পাঁচটির নাম উপসর্গ। ( আশ্বি. শ্রেী, স্থ, ৬২৯ ) পাচটি উপসর্গে সমুয়ে বত্রিশটি অক্ষর থাকায় উহা একটি জুম্বইভের তুল্য। অবিহত ষোড়শ শস্ত্রে অতিচ্ছন্দ মন্ত্র পাঠের পর এই উপসর্গ কয়টি একত্র করিয়া একটি অঙ্কইপ রূপে পাঠ করিতে হয়। বিহৃত ষোড়শীতে অতিচ্ছন্দ মন্ত্রগুলিতে উপসর্গগুলি যোগ করিয়া পাঠ করিতে হয়। ছয়টি অতিচ্ছন্দ মন্ত্রের মধ্যে “ত্রিকক্রকেষু” ইত্যাদি প্রথম মন্ত্রে চৌষটি অক্ষর থাকায় উহা দুই অল্পষ্টুভের তুল্য, উহাতে উপসৰ্গৰোগের প্রয়োজন নাই। কিন্তু অবশিষ্ট পাচটি অতিচ্ছন্দ মন্ত্রে অক্ষরসংখ্যা অল্প ; কাজেই উহার প্রত্যেকে এক এক উপসর্গ ৰোগ করিয়া অক্ষরসংখ্যা পূরণ করিয়া লইয়া পাঠ করা আবশ্যক। এইরূপে অন্য মন্ত্রে উপস্থষ্ট বা প্রক্ষিপ্ত হয় বলিয়া মহানায়ীর অন্তর্গত উক্ত পদগুলির নাম উপসর্গ। (૨) ન૭ગ૪-૭ I (૭) ન૭૦|r-so I (8) ન૭ગ૪૭->s I (s) ન૭ગ ૧ .િ (৬) ১•৯৬১৩। (৭) তৃতীয় সবনের নিবিদে হৰ্ষবাচক মদ ধাতুবিশিষ্ট পদ আছে। (৮) উল্লিখিত নয়টি মহানামী ঋকের সহিত আর নয়টি মন্ত্রের উক্ত আরণ্যকে উল্লেখ আছে। ফুলপুরণার্থ উহার পাঠ আবশুক ; এই জন্ত উহাদের নাম পুরীষ মন্ত্র। ঐ ময়টি পুরীষ মন্ত্রের প্রথমটিতে “এবাহি এব,” দ্বিতীয়টিতে “এবাহি ইন্দ্র,” যন্ঠে “এব। হি শক্রঃ” এবং রশী হি শক্রঃ” এই চারিটি পঞ্চাক্ষরযুক্ত অংশ আছে ; উহাদিগকেই এস্থলে উপসর্গ বলা হইল। যোড়শী শস্ত্রের ষাজ্যামন্ত্রের প্রত্যেক চরণে একাদশ অক্ষয় ।