পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s ] সমাজ বেদের শাসন মেনে থাকে। আবার বেদপন্থী সমাজের সর্বপ্রধান অনুষ্ঠান হ’ল যজ্ঞ । এই যজ্ঞের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই বেদপন্থী সমাজ প্রতিষ্ঠিত। এই যজ্ঞানুষ্ঠানের তাৎপৰ্য্য না বুঝলে বেদপন্থী সমাজের বৈশিষ্ট্যকে জানা যায় না। এ কারণেই যজ্ঞ-কথার প্রবন্ধগুলোতে বৈদিক যজ্ঞানুষ্ঠানের তাৎপৰ্য্য বিশ্লেষণ করেছেন রামেন্দ্রসুন্দর। M যজ্ঞকথার পরবর্তী প্রবন্ধ ইষ্ট্যিাগ ও পশুযাগ’ উচ্চাঙ্গের দার্শনিক রচনার এক বিশিষ্ট নিদর্শন। যাবতীয় শ্রেীত যজ্ঞকে ইঠিযাগ, পশুযাগ ও সোমযাগ এই তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। এ প্রবন্ধে প্রথমোক্ত দুই শ্রেণীর যজ্ঞ নিয়ে গভীর ও তত্ত্বনিষ্ঠ আলোচনা করা হয়েছে। প্রথম এসেছে ইষ্টযাগের প্রসঙ্গ। আহিতাগ্নি গৃহস্থকে প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় একটি ইষ্ট্যিাগ করতে হত। অন্ততঃ ত্রিশ বছর ধরে করতে হ’ত । অমাবস্যার ইষ্টিযাগের নাম দর্শযাগ এবং পূর্ণিমার ইউযাগের নাম পূর্ণমাস যাগ। আলোচ্য প্রবন্ধে রামেন্দ্রম্বন্দর কেবল পূর্ণমাস-যাগের বিবরণ দিয়েছেন। কারণ, পূর্ণমাস-যাগের অনুষ্ঠানটিকে আয়ত্ত করলেই যাবতীয় ইষ্টযাগের অনুষ্ঠান বোঝা যাবে। পূর্ণমাস-যাগ যাবতীয় ইঠিযাগের প্রকৃতি বা model ; আর আর ইষ্ট্যিাগ এর বিকৃতি। তা ছাড়া পূর্ণমাস যাগের বিধি সকল ইষ্ট্যিাগেই প্রযোজ্য। পূর্ণমাস যাগের বর্ণনা দিতে গিয়ে রামেন্দ্রম্বন্দর প্রধান প্রধান যাগের কথা বলেছেন। তারপর এই যাগের পূর্বে ও পরে যে সকল অপ্রধান যাগ এবং হোম করতে হ’ত, একে একে তাদের বিবরণ দিয়েছেন। প্রসঙ্গতঃ প্রধান ও অপ্রধান যাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কতকগুলো সাধারণ নিয়মেরও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রবন্ধটির পরবর্তী অংশে পশুযাগের বর্ণনা আছে । 'যজ্ঞকথা’র পরবর্তী প্রবন্ধ ‘সোমযাগ’ ১৩২৫ সালের বৈশাখ মাসের সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই প্রবন্ধে আর্যদের অতি প্রাচীন অনুষ্ঠান সোমষাগের অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বেদপন্থী সমাজে নানাবিধ সোমযাগের অনুষ্ঠান ছিল । কোন যজ্ঞ একদিনে, কোন যজ্ঞ একাধিক দিনে, আবার কোন যজ্ঞ বৎসর ধরে অতুষ্ঠিত হ’ত। আলোচ্য প্রবন্ধে কেবল একদিনে সম্পাদ্য সোমযাগের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই শ্রেণীর সোমযাগকে বলা হ’ত জ্যোতিষ্টোম । জ্যোতিষ্টোমের আবার কম করে সাত রকমের ভাগ ছিল । এদের মধ্যে অগ্নিষ্ট্রোমই প্রধান । জীীিষ্ট্রোমের প্রয়োগ-পদ্ধতি জানা থাকলে অন্য সব যজ্ঞের পদ্ধতি সম্বন্ধে ধারুণ জন্মে । এ কারণেই রামেন্দ্রসুন্দর এখানে অগ্নিষ্টোম যজ্ঞ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনা করা হয়েছে ব্রাহ্মণ এবং শ্রেীতস্বত্র উভয় প্রকার গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে। শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ-গ্রন্থের উপর নির্ভর করে সঙ্গত কারণেই লেখক এ আলোচনা করেন নি। কারণ, ব্রাহ্মণগ্রন্থের মধ্যে যজ্ঞের পদ্ধতি যথাযথভাবে পাওয়া যায় না। স্বজ্ঞপদ্ধতি বর্ণনার সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক উপাখ্যান-উপকথা সেখানে রয়েছে। শাটি পদ্ধতির বর্ণনা অাছে শ্রেীতস্বত্র নামক স্মৃতিশাস্ত্রে। আবার শ্রেীতসূত্র রচিত ছয়েছিল ব্রাহ্মণ-গ্রন্থ অবলম্বন করে। আশ্বলায়নের• শ্রেীতসূত্র ঐতরেয় ব্রাহ্মণের উপর ভিত্তি করে লেখা হয় এবং শতপথ ব্রাহ্মণ অবলম্বনে লেখা হয় কাত্যায়নের