পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যজ্ঞ-কথা : ইষ্টষাগ ও পশুষাগ \סס এই ইড়া ভক্ষণের একটা গভীর তাৎপৰ্য্য আছে ; সে তাৎপর্য্যের কথা পরে বিশেষ করিয়া বুঝাইতে হইবে ; নতুবা যজ্ঞের তাৎপৰ্য্যই বুঝান হইবে না। প্রধান ষাগ সমাপ্ত হইল। তৎপরে অনুযাজ। ইষ্টিযাগে অনুষাজের সংখ্যা তিনটি, কিন্তু পশুযাগে অনুযাজের সংখ্যা এগারটি। প্রধাজ যেমন এগারটি, অস্থযাজও তেমনি এগারটি। প্রযাজের দেবতাদের অধিকাংশই অনুযাজেরও দেবতা। দধিমিশ্রিত আজ্য দ্বারা এই এগারটি আহুতি দেওয়া হয়। অধ্বযু আহুতি দেন, আর তাহার সহকারী প্রতিপ্রস্থাত অন্যত্র আগুন জালিয়া পশুমাংস দ্বারা উপযাজ হোম করেন। এই উপযাজ হোম পশুযাগেই আছে, ইষ্টিযাগে নাই। ইহা যাগ নহে, হোম মাত্র । যাগের ও হোমের পার্থক্য আগে বলিয়াছি। যুপের গায়ে স্বরু নামে যে কাষ্ঠখণ্ড বাধা ছিল, তাহা এই সময়ে আগুনে দেওয়া হয়। ইহার পর পত্নীসংঘাজ। ষজমানের পত্নীর পক্ষে ইহা গার্হপত্য অগ্নিতে অমৃষ্ঠেয়। আহুতির দ্রব্য পশুর লাঙ্গুল । ইহাতেই যাগ সমাপ্ত হইল। স্বক্তবাকৃ, শংযুবাকৃ প্রভৃতির পাঠ হইতে যজমানের বিষ্ণুক্রম-প্রক্রমণ এবং ব্ৰতবিসর্জন পৰ্য্যস্ত যাগসমাপ্তিস্থচক কৰ্ম্ম ইষ্ট্যিাগের মতই। পুনরুল্লেখ আবশ্বক নহে। যাবতীয় শ্রেীত যজ্ঞকে ইষ্টিযাগ, পশুযাগ এবং সোমযাগ, এই তিন প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। সোমযাগের কথা আগামী ৰারে বলিব । ইষ্টিষাগ এবং পশুযাগের দুইটি নমুনা দিলাম। ইহাতেই নিশ্চয় আপনাদের ধৈর্য্যচ্যুতি হইয়াছে। ইষ্টষাগের ও পশুযাগের যে নমুনা দিলাম, তাহা শুনিয়া শ্রেীত কর্মের উপর আপনাদের শ্রদ্ধা জন্মিয়াছে কি না, তাহ বলিতে পারি না। আপনাদের শ্রদ্ধা হউক আর না হউক, এক কালে বেদপন্থী সমাজে এই সকল কৰ্ম্ম পরম শ্রদ্ধার সহিত অনুষ্ঠিত হইত। আপনার উপহাস করিয়া বলিবেন, এ সমস্ত অনুষ্ঠানই সম্পূর্ণ irrational ; মানুষের প্রজ্ঞা, মানুষের স্বস্থ বিচারবুদ্ধি, কিছুতেই এ-সকলের সমর্থন করিতে পারে না । তাহা হইতে পারে। ইংরেজীতে যাহাকে রিলিজন বলে, তাহ। সৰ্ব্বতোভাবে Reasonএর এলাকার বাহিরে । সভ্য অসভ্য সকল সমাজের লোকেই এইরূপ অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা রাখে ; প্রভেদ কেবল মাত্রাগত। অতএব যিনি মানবতত্ত্বের আলোচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছেন, তাহাকে মানবপ্রকৃতির এই অংশের আলোচনায় নিবৃত্ত থাকিলে চলিবে না। ইহাকে মানবের দুর্বলতা বলিতে হয় বলুন, কিন্তু ইহাকে পাশবিকতা বলিতে পারিবেন না । কেন না, পশুর মধ্যে এই সকল অনুষ্ঠান নাই। পশুর পক্ষে এ দুর্বলতা নাই। কোনও পশু কোনও রিলিজনের ধার ধারে না । ইহা মানবিকতা বটে, ইহা কখনই পাশবিকতা নহে। দেবতাতত্ত্ব সম্বন্ধে একটা মতের আজকাল খুব প্রাগ্রভাব । উহাকে Animism বলে। পণ্ডিতেরা বলেন, এই Animism হইতে যাবতীয় রিলিজনের উৎপত্তি। অসভ্য লোকে সমস্ত পৃথিবীকে দেবতাময় দেখে। সকল দ্রব্যেরই এক এক জন অধিষ্ঠাত্রী দেবতা আছেন। এই সকল দেবতা স্বস্মশরীরধারী হইলেও মানুষের মতই রাগদ্বেষাদির অধীন। র্তাহাদের ক্ষমতা মানুষের চেয়ে অনেক অধিক। অনেক জাগতিক ঘটনা তাহারাই পরিচালনা করেন। মাকুষের শুভাশুভ অনেক স্থলে تاسیس (ff. (s