পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-৬ষ্ঠ পঞ্চিক : ২৮শ অধ্যায় ] ঐতরেয় ব্রাহ্মণ రి দুই দুই হুক্ত পাঠ করেন। উহার একটি স্বত্ত মাধ্যদিনের উদ্দিষ্ট ও দ্বিতীয় স্থজ পরবর্তী তৃতীয় সবনের উদিষ্ট মনে করিলে তদ্বারাই তৃতীয় সবনের শস্ত্রপাঠে ফললাভ হইবে। (৪) হোভার শস্ত্র প্রাতঃসবনে আজ্য ও প্ৰউগ, মাধ্যদিনে মরুত্বতীয় ও নিস্কেবল্য ; তৃতীয়ে বৈশ্বদেব ও আগ্নিমারুত ; হোত্ৰকগণের কাহারও দুই শস্ত্রের বিধান নাই। কিন্তু প্রস্থিত যাজ্যার মন্ত্রের ৰিবিধ দেবতা ; এক দেবতা প্রত্যক্ষভাবে মন্ত্রের উদ্দিষ্ট, অন্য দেবতা গৌণ ভাবে সম্বন্ধযুক্ত ( পূর্বে দেখ ) ; এত দ্বারা ঐ ফললাভ হয়। ষষ্ঠ খণ্ড–হোত্রক ও হোত্রাশংসী হোত্ৰক সম্বন্ধে আরও বক্তব্য—“অথtহ..শংসতঃ”। এ বিষয়ে আরও প্রশ্ন আছে,—তিন জন হোত্রকের হোত্ৰ শস্ত্রবিশিষ্ট, তবে অপরের ( হোত্রাশংসীদের ) বৰ্ম্মও কিরূপে স্ত্রবিশিষ্ট বলিয়া গণ্য হয় ? [ উত্তর ] [ হোতার পঠিত ] অাজ্যশস্ত্র আগ্রীগ্ৰেং শস্ত্ররূপে, মরুত্বতীয় শস্ত্র পোতার শস্ত্ররূপে, ধৈশ্বদেবশস্ত্র নেষ্টার শস্ত্ররূপে গণ্য হয় ; এইরূপে র্তাহীদের বর্মও শস্ত্রচিহযুক্ত হইয়া থাকে।১ আরও প্রশ্ন আছে,—অন্ত হোত্রকগণের প্রত্যেকের জন্য একটি মাত্র প্ৰৈষের বিধান আছে ; তবে কেন পোতার জন্য দুইটি প্ৰৈয আর নেষ্টার জন্য দুইটি প্ৰৈয ?২ [উত্তর] ষে সময়ে ঐ গায়ত্রী স্বপর্ণরূপ ধরিয়া সোম আহরণ করিয়াছিলেন, সেই সময়ে তিনি ঐ হোত্ৰকগণের শস্ত্র লোপ করিয়া হোতাকে [ সেই শস্ত্র ] দান করিয়াছিলেন, এবং [ ঐ হোত্ৰকগণকে বলিয়াছিলেন ] তোমরা আহাবপৰ্যন্ত করিতে পাইবে না, যেহেতু তোমরা [ আমার অবস্থা ] জানিতে পার নাই। তখন দেবগণ বলিলেন, এই দুই জনকে ( পোতা ও নেষ্টাকে ) [ প্রৈষমন্ত্ররূপ ] বাক্যদ্বার। বদ্ধিত করিব ; সেই জন্ত তাহার দুই দুই প্রৈয হইল। আর দেবগণ আগ্রীস্ত্রের ক্রিয়াকে ঋকৃমন্ত্রদ্বারা বৰ্ধিত করিয়াছিলেন ; সেই জন্য অগ্নিীঞ্জের যাজ্যায় একটি ঋকৃ অধিক আছে।৩ আরও প্রশ্ন আছে,—মৈত্রাবরণ "হোতা যক্ষৎ,” “হোতা যক্ষৎ" ইত্যাদি প্রৈযমন্ত্রে হোতাকে প্রেষণ করেন, [ ইহা যুক্তিযুক্ত ] ; কিন্তু র্যাহারা হোতা নহেন, হোজাশংসী মাত্র, তাহাদিগকেও কেন "হোতা যক্ষৎ” “cহাতা যক্ষৎ” ইত্যাদি মন্ত্রে প্রেষণ করা হয় ? [ উত্তর ] হোতা প্রাণস্বরূপ, সকল ঋত্বিকৃই প্রাণস্বরূপ ; ঐরুপে [ সকলকে ] প্রেষণ করিলে “প্রাণে যক্ষৎ* *প্রাণে যক্ষৎ” ইহাই বলা হয় ।৪ আরও প্রশ্ন আছে,—উদগাতৃগণের জন্য প্রৈযমন্ত্র আছে কি নাই ? [ উত্তর ] আছে, এই উত্তর দিবে। প্রশাস্তা ( মৈত্রাবরুণ ) জপের পর “স্তুধম্"—স্তোত্র আরম্ভ কয়- [উদগাতাদিগকে ] যে এই কথা বলেন, উহাই তাহদের পক্ষে প্ৰৈধমন্ত্র। আরও প্রশ্ন আছে,–আচ্ছাবাকের প্রবর প্রকৃষ্টভাবে বরণমন্ত্ৰ ] আছে, কি নাই ?