পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩২ রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র এক চরণের পর জন্য স্থক্তের মস্ত্রের এক চরণ, কখনও বা এক সুক্তের মন্ত্রের অৰ্দ্ধাংশের পর অন্ত সুক্তের মন্ত্রের অৰ্দ্ধাংশ, কখনও এক সুক্তের এক ঋকের পর অন্য স্থক্তের এক ঋক বসাইয়া বিহতি সম্পাদিত হয়। কখনও বা দুই স্থত্ত যথাক্রয়ে না পড়িয়া বিপরীতক্রমে পড়িয়াও বিহৃতির সাধন চলিতে পারে। এ স্থলে বালখিল্য পাঠে ব্যবস্থা হইল যে, উক্ত আট স্থক্তের প্রথম জোড়ায় চরণের পর চরণ, দ্বিতীয় জোড়ায় অৰ্দ্ধখকের পর অৰ্দ্ধখক, তৃতীয় জোড়ায় ঋকের পর ঋকৃ বসাইয়া বিহৃতি সম্পাদিত হইবে। এইরূপ বিহতির নাম অতিমর্শ। চতুর্থ জোড়ায় সপ্তম স্থক্তের পর অষ্টম না পড়িয়া বিপরীতক্রমে অর্থাৎ অষ্টমের পর সপ্তম পড়িলেই বিহতি হইবে। প্রথম যুক্তদ্বয়ে চরণের পর চরণ, দ্বিতীয় স্থত্ত দ্বয়ে প্রতি অৰ্দ্ধখকের পর অৰ্দ্ধঋকৃ ও তৃতীয় কুক্তদ্বয়ে ঋকের পর ঋকৃ বসাইলে যে বিহৃতি সাধিত হয় ও এ স্থলে যাহার বিধান হইল, এই অতিমৰ্শ বিহৃতির নাম হৌণ্ডিন বিহৃতি ; হুশুিনাখ্য ঋষির অঙ্কুমত বলিয়া ইহার নাম হেণ্ডিন। তদ্ভিন্ন মহাবালভিৎ নামক ঋষির আকুমত অন্তরূপ অতিমশ বিহৃতি অাছে। পূর্ববর্তী উনত্রিংশ অধ্যায়ের অষ্টম খণ্ডে বালখিল্যস্বত্ত পাঠের ব্যবস্থায় সেই মহাবালভিৎ বিহৃতির বিধান হইয়াছে। উহাতে প্রথম তিন জোড়া বালখিল্যস্থক্তের চারি বার অাবৃত্তি করিতে হয়। প্রথম বারে চরণের পর চরণ, দ্বিতীয় বারে অৰ্দ্ধ ঋকের পর অৰ্দ্ধ ঋকৃ, তৃতীয় বারে ঋকের পর ঋক্ বসাইয়া বিস্তুতি হয়। ঐৰূপে বিহৃতি সম্পাদন দ্বারা প্রগাথ নিম্পন্ন করিয়া শেই প্রগাথের পর একপদ ঋকৃ বা মহানামী ঋকের অষ্টাক্ষর পদ বসাইতে হয়। প্রগাথের পর একপদী প্রক্ষেপ করিলে ঐ প্রগাথ বাক্যকৃটে পরিণত হয়। বাক্যকৃটে পরিণত হইলে বালখিল্যমন্ত্র বজ্রস্বরূপ শক্তিশালী হইয়৷ থাকে। চতুর্থ বার আবৃত্তিকালে বিহৃতি সম্পাদন আবশ্বক হয় না, অথবা তৎপরে একপদীও বসাইতে হয় না। উদাহরণ দ্বারা এই বিহৃতি সম্পাদনের তাৎপর্ষ্য স্পষ্ট হইবে। প্রথম জোড়া অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় বালখিল্যস্থক্তের প্রত্যেকের প্রথম দুই মন্ত্র লওয়া যাউক – প্রথম সূক্ত X २ প্রথম মন্ত্র -অভি প্র বঃ স্বরাধসং, ইন্দ্রমর্চ যথা বিদে । °C) 8 যো জরিতৃভ্যে মৰব। পুরুবস্থঃ, সহস্ৰেণেব শিক্ষতি ।

  • (R وية

দ্বিতীয় মন্ত্র-শতানীকে প্র জিগাতি ধৃষ্ণুয়া, হস্তি বৃত্ৰাণি দাণ্ডষে। a Եր গিয়েরিব প্র রস অস্ত পিছিয়ে, দন্ত্ৰাণি পুরুভোজনঃ ॥