পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ পঞ্চিকা ঃ ৩eশ অধ্যায় ] ঐতরেয় ব্রাহ্মণ Q©ፃ কিরূপে যজমানের জন্মলাভ ঘটে ও প্রাণ স্থানরহিত হইয়াও কিরূপে অবস্থিত থাকে ? [ উত্তর ] এই সমস্ত যজ্ঞক্রতু ( যজ্ঞসাধন শিল্পশস্ত্র ) দ্বার স্বজমানকে সংস্কৃত করা হয়। গর্ত (ভ্রণ) যেমন যোনির অভ্যস্তরে ক্রমশঃ সস্তৃত (বদ্ধিত ) হইয়া অবস্থান করে, যজমানও সেইরূপে ব্লহেন। সেই গর্ত অগ্ৰেই ( রেতঃসেককালেই ) একবারে সম্পূর্ণ হয় না ; তাহার এক এক অঙ্গ ক্রমশঃ সভূত হয়। ঐ সমুদয় শিল্পশস্ত্র এক দিনেই পাঠ করা হয়। ইহাতেই ষজ্ঞ সম্পাদিত হয় ও যজমানের জন্মলাভ সম্পাদিত হয়। হোত৷ তৃতীয় সবনে এবয়ামরুৎ পাঠ করেন ; ইহাতে ( সকল শস্ত্রের অনুষ্ঠানে ) যে প্রতিষ্ঠা ঘটে, এত দ্বারা শস্বাস্তে যজমানকে তাহাতেই প্রতিষ্ঠিত করা হয়। (১) নাভানেদিষ্ঠ পাঠে হোতা রেতঃসেক করেন ; তৎপরে মৈত্রাবরণ বtলখিল্যদ্বারা তাঁহাতে প্রাণকল্পনা ও ব্রাহ্মণাচ্ছংসী বৃষাকপি দ্বারা তাহাতে আত্মার কল্পনা করেন । এ স্থলে রেতঃসেক অভাবেও বিরূপে প্রাণের বা আত্মার কল্পনা হইতেছে, এই প্রশ্ন । ষষ্ঠ খণ্ড–কুন্তাপমন্ত্র ব্রাহ্মণাচ্ছংসী বৃষাকপি পাঠের পর কুন্তাপ মন্ত্ৰসকল পাঠ করেন ; তৎসম্বন্ধে বক্তব্য, যথা—“ছন্দসাং বৈ••••••প্রতিষ্ঠায় এব” ষষ্ঠাহে বিহিত ছন্দসকলের রস স্বস্থান অতিক্রম করিয়া ( উচ্ছলিত হইয়া ) আসিয়াছিল। প্রজাপতি ভয় করিলেন, এই ছন্দসকলের রস পরাবৃত্ত না হইয়া লোকসকলকে অতিক্রম করিবে ( প্লাবিত করিবে)। এই মনে করিয়া তিনি সেই রসকে পরবর্তী ছন্দদ্বারা রুদ্ধ করিলেন ; নারাশংসী ঋকৃদ্বারা গায়ত্রীর, রৈভীদ্বারা ত্রিইভের, পারিক্ষিতী দ্বারা জগতীর, কারব্য দ্বারা জগতীর রস রুদ্ধ করিলেন। তখন সেই রস তত্তৎছন্দে পুনরায় স্থাপিত হইল। যে ইহা জানে, তাহার ইষ্টিযাগ রসন্মুক্ত ছন্দে সম্পন্ন হয়, তাহার যজ্ঞ রসযুক্ত ছন্দে বিস্তৃত হয়। নারাশংসী ঋকৃ পাঠ করা হয়। ই প্রজা নর ও বাক্য শংস। এতদ্বারা প্রজাতে বাক্যের স্থাপনা হয় ; সেই জন্য প্রজাসকল জন্মলাভের পর বাক্য কহিয়া থাকে। ষে ইহ জানে, তাহার পক্ষে নারাশংসাই উচিত । ইহা পাঠ করিয়াই দেবগণ ও ঋষিগণ স্বৰ্গলোক গমন করিয়াছিলেন ; সেইরূপ যজমানেরাও ইহা পাঠ করিয়া স্বৰ্গলোক গঠন করেন। এই মন্ত্র বৃষাকপি পাঠের মত প্রতি চরণে বিরাম দিয়া পাঠ করিৰে। ইহ বৃষাকপিয় স্তায় হওয়াতে বৃষাকপির সম্বন্ধযুক্ত। ইহাতে মৃদ্ধ করিবে না, কিন্তু বিশেষরূপে নিনর্স করিবে। ঐ নিৰ্দ্দই উহার নূ্যন্থ। २३