পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম খণ্ড—হুতশেষ ভোজন দীক্ষণীয়াদি ইষ্টিতে ক্ষত্রিয় যজমানের পক্ষে যজমানভাগ ভক্ষণের কিরূপ ব্যবস্থ৷ হইবে, তালুর মীমাংসা, যথা—“অথাতো-নেয়াৎ” অনন্তর এই কারণে যজমানভাগ সম্বন্ধে প্রশ্ন হয় যে, ক্ষত্ৰিয় ৰজমান [ ব্রাহ্মণ যজমানের মত ] যজমানভাগ ভক্ষণ করিবেন, কি ভক্ষণ করিবেন না ? যদি ভক্ষণ করেন, তাহা হইলে অহুতাদের হুত-ভোজনে পাপ জন্মিবে, আর যদি ভক্ষণ না করেন, তাহা হইলে আত্মাকে (আপনাকে ) যজ্ঞ হইতে বিচ্ছিন্ন করা হইবে ; কেন না, যজমানভাগ স্বজ্ঞস্বরূপ ॥১ { কেহ ইহার উত্তরে বলেন ) সেই যজমানভাগ কোন ব্রাহ্মণে সমর্পণ করিবে । কেন না, এই ষে ব্ৰহ্ম (ব্রাহ্মণত্ব), ইহা ক্ষত্রিয়ের পুরোহিতের স্থান ; এই যে পুরোহিত, তিনি ক্ষত্রিয়ের অৰ্দ্ধাত্মা ( অৰ্দ্ধশরীর) স্বরূপ : [ ঐরূপ করিলে ] ক্ষত্রিয় কর্তৃক প্রত্যক্ষভাবে [ হতশেষ ] ভক্ষণ করা হইবে না, অথচ পরোক্ষভাবে [ অন্য দ্বার। ] ভক্ষণে ভক্ষণের ফল লাভ হইবে। এই যে ব্ৰহ্ম ( ব্রাহ্মণ ), ইনি প্রত্যক্ষ যজ্ঞস্বরূপ ; সমস্ত যজ্ঞ ব্রহ্মেতেই প্রতিষ্ঠিত, যজমান যজ্ঞে প্রতিষ্ঠিত ; এই হেতু ঐরুপ করিলে, জলে জল ও অগ্নিতে অগ্নি সমর্পণের ন্যায় যজ্ঞেই যজ্ঞ সমৰ্পণ করা হয় ; [ ব্রাহ্মণভক্ষিত হোমন্ত্রব্য ] ব্রাহ্মণেই মিশিয়া যায়, উহা আর ক্ষয়িকে হিংসা করিতে পারে না ; এই জন্য ঐ যজমানভাগ ব্রাহ্মণেই সমর্পণ করিবে । অন্যের মতে, ঐ যজমানভাগ “প্রজাপতেবিভান্নাম লোকস্তম্মিংস্থা দুধামি সহ যজমানেন স্বাহ৷”—প্রজাপতির বিভান নামে যে লোক আছে, সেই স্থানে যজমানের সহিত তোমাকে ( অর্থাৎ হোমদ্রব্যকে ) স্থাপন করিতেছি, স্বাহা—এই মন্ত্রে অগ্নিতে আহুতি দেওয়া উচিত। কিন্তু ঐক্কপ করিবে না। যজমানভাগ (হোমশেষ ) যজমানস্বরূপ ; ঐরুপ করিলে যজমানকেই অগ্নিতে অর্পণ করা হইবে। যদি কেহ আসিয়৷ সেই হোমকর্তাকে বলে, তুমি যজমানকে অগ্নিতে অর্পণ করিয়াছ, অগ্নি ইহার প্রাণ সম্যকৃরূপে দগ্ধ করিবে ও যজমানের মৃত্যু ঘটিবে, তাহা হইলে অবশ্য সেইরূপই ঘটবে। অতএব সে ইচ্ছাও করিবে না। (১) যজ্ঞের হবিঃশেষ ধজমানকে ভক্ষণ করিতে হয়, নতুবা যজ্ঞের ফলপ্রাপ্তি ঘটে না, যজ্ঞ হইতে আত্মাকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু ক্ষত্রিয় ও বৈশ্বের পক্ষে হতভোজন নিষিদ্ধ, তাহ পূৰ্ব্বে এই অধ্যায়ের প্রথম খণ্ডেই বলা হইয়াছে। পূৰ্ব্বে দেখ1.