পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ዓ8 রামেন্দ্রস্বন্দর রচনাসমগ্র পারে। উহার ভক্ষণে তোমার বংশে যে সস্তান জন্মিবে, সে বৈশুতুল্য হইয়া অপরকে শুদ্ধ দান করিবে, অপরের অধীন হইবে, অপরের ইচ্ছাক্রমে তিরস্কাৰ্য্য হইবে। ফলে ক্ষত্রিয় যখন পাপ করে, তখন তাহার বংশে বৈশুকল্প সস্তান জন্মিতে পারে ; তাহার দ্বিতীয় বা তৃতীয় পুরুষ বৈখত্ব লাভ করিয়া বৈশুবৃত্তিতে জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিবে।

  • আর যদি জল আনা হয়, এই জল ত শূত্রের ভক্ষ্য ; উহাতে শূত্রের প্রতি জন্মিতে পারে; উহার ভক্ষণে তোমার বংশে যে সস্তান জন্মিবে, সে শূদ্রতুল্য হইয়া অপরের অনুজ্ঞায় বাধ্য হইবে, অপরের ইচ্ছায় উঠবে বসিবে, অপরের ইচ্ছামত বধ্য হইবে। ক্ষত্রিয় যখন পাপ করেন, তখন তাহার বংশে শূদ্ৰকল্প সস্তান জন্মিতে পারে, উহার দ্বিতীয় বা তৃতীয় পুরুষ শূদ্রত্ব লাভ করিয়া শূদ্রবৃত্তিতে জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিবে।”

(১) সায়ণ “বধ্য” শব্দের অর্থ করিয়াছেন, “কুপিতেন স্বামিন ভাড্যঃ” চতুর্থ খণ্ড–ভক্ষ্যনিরূপণ "অহে রাজা, এই ষে তিনটি ভক্ষ্যের কথা বলা হইল, ক্ষত্রিয় যজমান, ইহার ইচ্ছা করিবেন না। তবে তাহার নিজের ভক্ষ্য কি ? স্তগ্রোধ ( বট ) বৃক্ষের অবরোধ- ( শাখালম্বী মূল ) এবং উচ্চুম্বর, অশ্বখ ও প্লক্ষবৃক্ষের ফল। এই সকলের অভিষব করিবে ও ইহাই ভক্ষণ করিবে ; ক্ষত্রিয়ের পক্ষে ইহাই নিজ ভক্ষ্য। “দেবগণ যে ভূমির উপরে যজ্ঞ করিয়া স্বৰ্গলোকে গিয়াছিলেন, সেই ভূমিতে তাহার। চমসসকল হাজ ( অধোমুখ ) করিয়া রাখিয়াছিলেন ; সেই হাজ চমসসকলই স্তগ্রোধে পরিণত হইয়াছিল। এখনও সেই স্থানে গুগ্রোধকে হাজ বলিয়া থাকে । সেই কুরুক্ষেত্রেই স্তগোধ প্রথমে উৎপন্ন হইয়াছিল ; অন্ত দেশে গুগ্রোধসকল তাহ। হইতেই জন্মিয়াছে। সেই চমসসকল শুকু অর্থাৎ নিম্নমুখে [ অব- Jরোহণ করিয়াছিল, এই জঙ্ক স্তগ্রোহও নিম্নমুখে রোহণ করে ও উহার নামও গুগ্রোহ। স্তগ্রোহ হওয়াতেই উহাদিগকে পরোক্ষভাবে “গুগ্রোধ” নাম দেওয়া হয় ; দেবগণ এইরূপ পরোক্ষ নামই ভালবাসেন ।” (১) অবরোধাঃ শাখাভ্যোহবাঙ মুখতেন প্রয়োহন্তে মূলবিশেষাঃ। পঞ্চম খণ্ড–ক্ষত্রিয়ের ভক্ষ্যনির্দেশ 幣r “সেই চমসমধ্যে যে রস ছিল, তাহ অৰাসুখ (অধোমুখ) হইয়া অবরোধে পরিণত হইয়াছিল। মায় বাহা উৰ্দ্ধমুখে গিয়াছিল, তাহ ফলে পরিণত হইয়াছিল। যে