পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম পঞ্চিকা ঃ ৩৯শ অধ্যায় ] ॐोडट्द्रग्न उांऋ१ 3e o (১) মূলে আছে “মধ্যতঃ, সায়ণ অর্থ করেন “মাধ্যনিসবনে”। (২) নিৰ নামক আভরণ যাহাদের কণ্ঠে, তাহার। নিষ্ককণ্ঠী। আঢ্যছহিত ধনিক-কন্ত । অঙ্গরাজা দ্বিগ্বিজয়কালে ইহাদিগকে আনিয়াছিলেন ও তন্মধ্যে দশ সহস্ৰ কন্যা আপন পুরোহিতকে দানার্থ দিয়াছিলেন। (৩) স্বয়ং ক্লাস্ত হইয়। ভৃত্যদিগকে আদেশ দিলেন, তোমরা দান কর। নবম খণ্ড— ঐন্দ্র মহাভিষেক এই ঐন্দ্র মহাভিষেক দ্বারা দীর্ঘতম মামতের ভরত দেীষ্মস্তিকে অভিষেক করিয়াছিলেন ; তাহাতেই ভরত দেীষ্মস্তি সৰ্ব্বদিকে পৃথিবীর অস্ত পৰ্য্যস্ত জয় করিয়া বহুসংখ্যক অশ্বমেধ যাগ করিয়াছিলেন। উহা উপলক্ষ্য করিয়া এই শ্লোকগুলি গীত হইয়া থাকে, যথা—[প্রথম শ্লোক] "মঞ্চার নামক দেশে ভরত কৃষ্ণবর্ণ শুক্লদস্ত হিরণ্যশোভিত এক শত-সাত-বদ্ধসংখ্যক মৃগঠ দান করিয়াছিলেন।” [ দ্বিতীয় শ্লোক ] “ছন্মস্তপুত্র ভরত সাচীগুণ নামক অগ্নি চয়ন করিয়াছিলন ; সেইখানে সহস্র ব্রাহ্মণের প্রত্যেক বদ্ধ ( শতকোটি) সংখ্যক গাভী ভাগে পাইয়াছিলেন।” [ তৃতীয় শ্লোক ] “দুষ্মন্তের পুত্র ভরত যমুনার নিকটে আটাত্তরটি ও গঙ্গাতীরে বৃত্ৰয় নামক স্থানে পঞ্চান্নটি অশ্ব [ অশ্বমেধের জন্য ] বাধিয়াছিলেন।” [ চতুর্থ শ্লোক ] “এই দুষ্মন্তপুত্র রাজা [ ঐরূপে ] এক শত তেত্রিশটি মেধা ( ৰাগযোগ্য ) অশ্ব বন্ধনের ফলে [ বিপক্ষ ] রাজার মায়া ( কৌশল ) আপনার বলবত্তর মায়াদ্বারা পরাভূত করিয়াছিলেন।” পঞ্চম শ্লোক ] “মর্ত্য (মনুষ্য) যেমন হস্তদ্ধার ছ্যলোক স্পর্শ করিতে পারে না, সেইরূপ ভরতের কৃত মহাকৰ্ম্ম পূৰ্ব্বে বা পরে পঞ্চমানবের মধ্যেই কোন জন করিতে পারে নাই।” এই ঐন্দ্র মহাভিষেককথা বৃহদ্ভুকৃথ ঋষি দুমুখে পাঞ্চালকেও বলিয়াছিলেন। তাহাতেই দুমুখে পাঞ্চাল রাজা হইয়া এই বিষ্ঠা ( জ্ঞান ) দ্বারা সৰ্ব্বদিকে পৃথিবীর অস্ত পর্য্যস্ত জয় করিয়া পৰ্য্যটন করিয়াছিলেন । এই ঐন্দ্র মহাভিষেকের কথা বাসিঠ সাত্যহব্যই অত্যরাতি জানস্তপিকে? বলিয়াছিলেন, তাহাতেই অত্যরাতি জানস্তপি রাজা হইয়৷ এই বিস্তাদ্বারা সৰ্ব্বদিকে পৃথিবীর অস্ত পৰ্য্যস্ত জয় করিয়া পৰ্য্যটন করিয়াছিলেন । সেই বাসিষ্ঠ সাত্যহুব্য [অত্যরাতিকে] বলিয়াছিলেন, “তুমি [ এই বিস্তাবলে ] সৰ্ব্বদিকে পৃথিবীর অন্ত পর্যন্ত জয় করিয়াছ, আমাকে মহৰ (ঐশ্বৰ্ধ) প্রাপ্ত করাও।” অত্যরাতি জানভূপি বলিলেন, “আহে ব্ৰাহ্মণ, আমি যখন উত্তরকুক । জয় করিব, তুমি তখন এই পৃথিবীর রাজা হইবে, আমি তোমার সেনাপতি হইব ।” ২৬