পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ b ) সৃষ্টি ব্যাপারটাই পুরুষ-যজ্ঞ । বেদপন্থী যজ্ঞকে কিরূপ ব্যাপক অর্থে দেখতেন, এইভাবে রামেন্দ্রসুন্দর তী, ব্যাখ্যা করেছেন। আলোচনার পরবর্তী অংশে পুরুষষজ্ঞের সঙ্গে খ্রীস্টযজ্ঞের সাদৃশ্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এবং খ্ৰীস্টযজ্ঞের তুলনায় বেদপন্থীর পুরুষযজ্ঞের তাৎপর্য যে আরও ব্যাপক, তা প্রতিপন্ন করা হয়েছে। যজ্ঞকথা’র রচনাগুলো লেখা হয়েছিল ঐতরেয় ব্রাহ্মণের ভূমিকা হিসাবে, রামেন্দ্রসুন্দর যখন ঐতরেয় ব্রাহ্মণের অনুবাদ প্রকাশ করেন, তখন বৈদিক যজ্ঞগুলোর তাৎপর্য বিশেষভাবে বোঝাবার জন্যে সেই অনুবাদ-গ্রন্থের একটি বিস্তৃত ভূমিকা লিখে মূল গ্রন্থকে স্পষ্ট করে তোলবার বাসনা তার হয়েছিল। ভূমিকা লেখার কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্যে সেই কাজ শেষ করে যেতে পারেননি তিনি। যতদূর লেখা হয়েছিল, তারই একটা অংশ সিনেট হলে পাঠ করা হয়, এবং তারপর যজ্ঞকথা’ নাম দিয়ে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ।Z •॥ ङिन ॥ আচার্য ত্রিবেদীর উপর যখন ঐতরেয় ব্রাহ্মণ অনুবাদের ভার পড়ল, তখন তিনি এ কাজে এগোলেন সশ্রদ্ধচিত্তে এবং ঐকাস্তিক নিষ্ঠাসহকারে। সুদীর্ঘ আট বৎসরের চেষ্টায় ঐতরেয় ব্রাহ্মণের’ অনুবাদের কাজ শেষ হয়। কাজ আরম্ভ হয়েছিল ১৩১৯ সালে । আর শেষ হল ১৩১৮ সালে। এই স্বদীর্ঘ সময়ের মধ্যে অনুবাদকে নিখুত ও সর্বাঙ্গসুন্দর করার জন্যে তিনি অনেক গ্রন্থের সাহায্য নিয়েছিলেন। আনন্দাশ্রম থেকে প্রকাশিত মূল ঐতরেয় ব্রাহ্মণের অনুবাদ করেছেন রামেন্দ্রম্বন্দর। অনুবাদে সায়ণাচার্যের ব্যাখ্যার অনুসরণ করেছেন। মাটিন হৌগের ইংরেজী অনুবাদ ও মূলগ্রন্থের সাহায্য বিশেষ নেননি। সায়ণের ব্যাখ্যায় সংশয় হলে ইংরেজী অনুবাদ দেখেছেন বটে, কিন্তু সাধারণত: সায়ণাচার্যকেই অনুসরণ করেছেন। এ ছাড়া ঐতরেয় ব্রাহ্মণের বিষয়বস্তুকে সহজ ও বোধগম্য করে তুলবার জন্যে অনুবাদগ্রন্থটিতে প্রচুর টাকার সন্নিবেশ করেছেন। টাকার সাহায্যে কোথাও দুরূহ ও সাংকেতিক প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কোথাও বা করা হয়েছে মূল গ্রন্থের স্বত্র-নিৰ্দেশ। আর গ্রন্থটির পরিশিষ্টে বিভিন্ন পারিভাষিক শব্দের তাৎপর্য বোঝান হয়েছে। টীকা ও পরিশিষ্ট-রচনায় লেখক অন্যান্য ব্রাহ্মণ-গ্রন্থ ও সেইসব ব্রাহ্মণগ্রন্থের অনুযায়ী স্বত্রগ্রন্থের সাহায্য নিয়েছেন। পরিশিষ্ট লেখা হয়েছে প্রধানতঃ সদব্ৰাহ্মণ গ্রন্থের ও তদনুযায়ী কাত্যায়ণীরু শ্রেীতস্থত্রের অবলম্বনে । আচার্য বেবার কর্তৃক শতপথ ব্রাহ্মণের এবং যাঞ্জিকদেবাদিকৃত ব্যাখ্যাসমন্বিত কাত্যায়ন শ্রেীতস্থত্রের যে সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল, পরিশিষ্ট প্রণয়নে লেখক তার সাহায্য নিয়েছেন । বেদের শাখাভেদে ঋত্বিক বা পুরোহিতদের অহষ্ঠানে অরবিস্তুর ভেদ আছে। তাই স্থলবিশেষে লেখক বৌধায়ন এবং আপপ্তত্বপ্রণীত শ্রেীতস্থত্রেরও সাহায্য নিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, ঐতরেয় ব্রাহ্মণ মূলতঃ ঋগ্বেদনির্ভর। অপরাপর বেঙ্গ জয়যায়ী কর্মের উল্লেখ এই ব্রাহ্মণে প্রসঙ্গত অাছে মাত্র। ধর্জুর্বেী বা সামবেী