পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যজ্ঞ-কথা : সোমষাগ ప్రి'; সংহিতার নবম মণ্ডলটাই ইহার স্তুতিগীতে পরিপূর্ণ-ঋকুসংহিতা ব্যাপিয়া ইহার প্রশংসাবাক্য ছড়াইয়া আছে। ঋষিগণ পরস্পর স্পৰ্দ্ধার সহিত ইহার গুণ গান করিতেছেন ; বাক্যে তাহা কুলাইতেছে না । এই অমর্ত্য দেব, এই চিরনবীন শিশু, এই জ্যোতিৰ্ম্ময় গন্ধৰ্ব্ব, আকাশের উৰ্দ্ধভাগে অবস্থিত ছিলেন ; সেখান হইতে জগৎ নিরীক্ষণ করিতেছিলেন ; ইহার শুভ্ৰ তেজ দীপ্তি পাইতেছিল ; দু্যলোক ও ভূলোককে জ্যোতিৰ্ম্ময় করিয়া দীপ্তি পাইতেছিল। ইনি স্তম্ভের মত দু্যলোককে ধারণ করিয়া আছেন, তিনি ভূলোককে দু্যলোকের সহিত যুক্ত করিয়াছেন ; তিনি সপ্ত সিন্ধু হইতে ছালোক পৰ্য্যস্ত ঘিরিয়া আছেন। এই নবীন যুবা বিশ্বজয়ের জন্য জন্মিয়াছেন, ইনি দিব্যরূপে রূপবান, ইনি নরের প্রতি কৃপাবান, ইনি জগতের আয়ুঃস্বরূপ। দিবোদাসপুত্র প্রতনি বলিতেছেন, ইনি দেবগণমধ্যে ব্রহ্মা, বিপ্রগণমধ্যে ঋষি, মৃগগণমধ্যে মহিষ, গৃধ্ৰুগণমধ্যে শুেন পক্ষী। ইনি "ঋতস্ত গোপা”—সত্যের রক্ষাকৰ্ত্তা। ইনি বিদ্বান ; উৰ্দ্ধ হইতে ইনি বিশ্বভবনে দৃষ্টি করেন। ঋতম্ভ তন্তুবিতত: পবিত্রে, আ জিহবায়া অগ্রে বরুণস্য মায়য়া”—ইহারই মায়াবলে বরুণদেবের জিহবাগ্রে সত্যধৰ্ম্মের তন্তুস্থত্র পবিত্রোপরি বিস্তৃত রহিয়াছে। ঋষি কশ্যপের সহিত আমরাও র্তাহাকে সম্বোধন করিয়া বলিতে পারি— ঋতং বদন ঋতদ্যুম্ন সত্যং বদন সত্যকৰ্ম্মন শ্রদ্ধাং বদন সোমরাজন ধাত্রা সোম পরিষ্কৃত: | ইন্দ্রায়েন্দো পরিস্রব ॥ হে ঋতছ্যম, তুমি ঋত বাক্য বলিয়া থাক ; হে সত্যকৰ্ম্ম, তুমি সত্যবাক্য বলিয়৷ থাক ; হে সোম রাজা, তুমি শ্রদ্ধাবাক্য বলিয়া থাক ; ধাতা কর্তৃক পরিষ্কৃত হইয়া ইন্দ্রের জন্য তুমি ক্ষরিত হও । সত্যমুগ্রস্ত বৃহত: সং স্ৰবন্তি সংস্রবাঃ, সং যত্তি রসিনো রসাঃ পুনানো ব্রহ্মণ হরে । ইন্দ্রায়েন্দো পরিস্রব ॥ সত্য তুমি উগ্র ; তুমি বৃহৎ ; তুমি রসস্বরূপ : তোমার রসধারা সৰ্ব্বত্র মিলিত হইতেছে ; অহে হরি, ব্রহ্মবাক্যে পূত হইয়া তুমি ইন্দ্রের জন্য ক্ষরিত হও। যত্রাচুকামং চরণং ত্রিনাকে ত্রিদিবে দিবঃ, লোক যত্র জ্যোতিষ্মন্তঃ তত্ৰ মামমৃতং কুধি । ইন্দ্রায়েনো পরিস্রব । উৰ্দ্ধস্থিত সেই তৃতীয় নাকে, সেই তৃতীয় ছুলোকে, যেখানে যথাকাম মুক্তভাবে