পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শব্বকথা : বাঙ্গালা ব্যাকরণ X • S. উচ্চারণ ধরিলে ঐরুপ খণ্ডীকরণের হেতু না পাওয়া যাইতে পারে। কিন্তু অর্থ ধরিয়া মূল অনুসন্ধান করিতে গেলে ঐরুপে ভাঙ্গা আবশ্বক, তাহা প্রতিপন্ন হইবে। ব্যোমকেশ বাবু যে সকল নুতন প্রত্যয়ের উদাহরণ দিয়াছেন, অর্থ ধরিয়া বিচার করিলে দেখা যাইবে, ইহার মধ্যে অনেকগুলিই ঐরুপ বিশ্লেষণcषांशT । ज शां झे ८ 5ो फु i ३, ७झे छूझे विश्वञ्च श्रम ल श } ८ 5ो छु । ७झे দুই বিশেষণ পদে ই-কার যোগে উৎপন্ন ; এখানে প্রত্যয় ই ; অ ! ই নহে। কিন্তু বা ছা ই = বাছ+ আ +ই , বা ছ ধাতু হইতে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বা ছ 1; স্বার্থে বা ছা ই । আবার ঢ া ক ! ই = ঢ 1 ক 1+ই ( ঢাকাতে উৎপন্ন ) ; এখানে ই প্রত্যয়ের অন্য অর্থ। ব্যোমকেশ "বাবুর দত্ত দৃষ্টান্তগুলি অনেক স্থলে এইরূপ বিশ্লেষণসাপেক্ষ । .বাঙ্গলা ব্যাকরণ সাহিত্য-পরিষৎ কর্তৃক বাঙ্গালা ব্যাকরণ আলোচনার ফলে সাহিত্য-সমাজে অনেকের মনে একটা আতঙ্কের সঞ্চার হইয়াছে। অনেকে ভাবিতেছেন, বুঝি বা বাঙ্গালা ভাষার বিশুদ্ধিনাশই এক দল লেখকের অভিপ্রায় । বাঙ্গালী-ব্যাকরণঘটিত কয়েকটি প্রবন্ধ পরিষৎ-সভায় পঠিত বা পরিষৎ-পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছে । সাহিত্য-পরিষদের দুই জন সহকারী সভাপতি, মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ও শ্রযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অগ্রণী হইয়৷ এই আলোচনা আরম্ভ করিয়াছেন । রবীন্দ্রনাথের লিখিত প্রবন্ধগুলিতে চলিত বাঙ্গালা শব্দগুলির সংগ্ৰহ ও আলোচনা হইয়াছে। এই শ্রেণীর শব্দের একটি তালিকা, যাহা বিদ্যাসাগর মহাশয় সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, তাহা পত্রিকায় বাহির হইয়াছে। পত্রিকা-সম্পাদক নগেন্দ্র বাবুও এই শ্রেণীর শব্দ সংগ্রহের জন্য পাঠকগণকে আহবান করিয়াছেন। এই সকল শব্দের অধিকাংশই চলিত ভাষায় অর্থাৎ কথাবাৰ্ত্তার ভাষায় ব্যবহৃত হয়। তাহাদের অনেকেরই সাধুভাযায় অর্থাৎ সাহিত্যের ভাষায় সম্প্রতি স্থান নাই। হয়ত তাহাদের মধ্যে অনেক শব্দ এরূপ আছে, যাহা প্রকৃতই slang, অর্থাৎ ভদ্রসমাজে কথাবাৰ্ত্তায় বর্জনীয়। এই সকল অসাধু শব্দের আলোচনা প্রতিকর হয় নাই । সাহিত্য-পরিষদের বর্তমান সম্পাদক ব্যাকরণবিষয়ে অব্যবসায়ী ; উপস্থিত বিতণ্ডায় আমার কোন কথা বলিবার ইচ্ছা ছিল না ; কিন্তু যখন ‘সাহিত্য-পরিষৎপত্রিকা’ এই আন্দোলন উপস্থিতির জন্য বিশেষতঃ দায়ী, তখন পরিষৎ-সম্পাদকেরও আত্মসমর্থন স্বরূপে কিছু বলা আবশ্যক বোধ করিতেছি। পরিষৎ-পত্রিকার দ্বারা যদি ভাষার বিশুদ্ধিহানি বা সৌষ্ঠবহানি ঘটিবার সম্ভাবনা থাকে, তাহ হইলে পত্রিকার সেই দোষ মার্জনীয় হইবে না। অতএব যখন এরূপ একটা আতঙ্ক উপস্থিত হইয়াছে, তখন তাহার কোন মূল আছে কি না দেখা আবশ্বক, এবং যদি মূল থাকে, সৰ্ব্বতোভাবে তাহার উৎপাটন বাঞ্ছনীয়। সৌভাগ্যক্রমে এই আতঙ্কের কোনই মূল নাই। বাদী ও প্রতিবাদী যাহারা