পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শব্দকথা : বাঙ্গালা ব্যাকরণ wడి ও আশ্নব্যতা দোষ স্বথাসাধ্য পরিহার করিবে, এবং নিতান্ত অকারণে ভাষাকে অবোধ্য বা দুৰ্ব্বোধ্য করিবে না। আর স্বাহ প্রকৃতই গ্রাম্য অর্থাৎ slang, ভদ্রসমাজ যাহার উচ্চারণে কুষ্ঠিত, যাহা প্রকৃতই অসাধু অশিষ্ট ও অশ্লীল, তাহা সৰ্ব্বতোভাবে বর্জন করিবে। এই নিয়মের প্রতি কোন পক্ষেরই আপত্তি হইবে না। এতটা বাক্যব্যয়ের পর বোধ করি, আমি প্রতিপন্ন করিতে সমর্থ হইয়াছি যে, এতটা বাক্যব্যয়ের কোন প্রয়োজনই ছিল না ; কেন না, যাহা এতটা পরিশ্রমের পর প্রতিপন্ন করা গেল, তাহ সৰ্ব্বরাদিসম্মত সত্য ; তাহাতে কাহারও কোন মতভেদ নাই । বিস্ময়ের বিষয় এই যে, বর্তমান ক্ষেত্রে এ বিষয়ে বাক্যব্যয় একবারে অপ্রাসঙ্গিক । যে মূল বিষয় লইয়া বৰ্ত্তমান বিতগু উপস্থিত হইয়াছে, তাহাতে এই অবাস্তব কথাটার প্রসঙ্গ মাত্র তুলিবার কোন প্রয়োজন ছিল না। কেন না, মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় ও শ্রযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুব মহাশয় বাঙ্গালী ভাষার ব্যাকরণের অভাব দেখিয়া সেই ব্যাকবণ রচনার প্রসঙ্গই উত্থাপিত করিয়াছেন মাত্র। কোন ভাষা ভাল, কোন ভাষা মন্দ, সে প্রসঙ্গই র্তাহার উঠান নাই। শাস্ত্রী মহাশয়ের প্রবন্ধে তাহার ব্যক্তিগত রুচি খাটি বাঙ্গাল শব্দের অমুকুল, এইরূপ একটু আভাস আছে বটে। কিন্তু তাহ ব্যক্তিগত কথা ও অবান্তর কথা । তিনি স্বয়ং খাটি বাঙ্গালায় অনুরাগী হইতে পারেন ও অন্য লেখককে সেই পথ অবলম্বনে উপদেশ দিতে পারেন , অন্যে সে পথ অবলম্বন করিলে তিনি স্বর্থী হইতে পারেন । তজ্জন্য র্তাহার সহিত অন্তের মত না মিলিতে পারে। কিন্তু এই অবাস্তর প্রসঙ্গের বিচারে প্রবৃত্ত হইয়া তাহার উত্থাপিত মূল প্রসঙ্গকে বাগ জালে আচ্ছন্ন করা উচিত নহে। মূল প্রসঙ্গ বাঙ্গালী ব্যাকরণের গঠনপ্রণালী লইয়া ; সাহিত্যের ভাষার গঠনপ্রণালী লইয়া নহে । অন্ততর দ্বন্দ্বী রবীন্দ্রনাথ ভাষার সৌষ্ঠব-বিচারের প্রসঙ্গ আদেী উত্থাপন করেন নাই । ‘সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা’য় তাহার যে কয়েকটি প্রবন্ধ বাহির হইয়াছে, তাহার কোন স্থলে এমন আভাস মাত্র নাই, যাহাতে সংস্কৃতের পক্ষপাতীদের মনে কোনরূপ আঘাত লাগিতে পারে । তিনি বর্তমান ক্ষেত্রে কোন স্থলে বলেন নাই যে, সাহিত্যের ভাষায় সংস্কৃত শব্দ বর্জন করিবে বা সংস্কৃত শব্দের প্রতি বিরাগ দেখাইবে। তিনি স্বয়ং রচনাকালে সংস্কৃত শব্দ প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করিয়া থাকেন। তাহার আধুনিক রচনায়—গষ্ঠ রচনায় ও কবিতা রচনায় সংস্কৃত-শব্দ-বাহুল্য দেখিয়া হয়ত তাহার অনেক বন্ধু ভীত হইয়া থাকিবেন। সে বাহাই হউক, বর্তমান বিবাদক্ষেত্রে, অর্থাৎ ‘সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা’য় ও সাহিত্য-পরিষৎ-সভায় তাহার যে মত এ পর্য্যন্ত প্রবন্ধমধ্যে বা বক্তৃতামধ্যে ব্যক্ত হইয়াছে, তাহার কুত্রাপি এমন কোন অনুরোধ নাই যে, তোমরা সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করিও না বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহারকালে সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়ম পালন করিও না । তিনি কেবল মাত্র কতিপয় বাঙ্গাল শব্দ,—থাটি বাঙ্গালা শব্দ সঙ্কলন করিয়া ‘সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা’য় প্রকাশিত কুরিয়াছেন, এবং ঐ - ميلمسس-rt;