পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শব্বকথা : কারক-প্রকরণ ゞ〉? আস্ফালন করেন, তাহা হইলে অবজ্ঞাই তাহার পুরস্কার। যে সকল ছাত্রকে ‘সীতার বনবাস’ পড়িতে হয়, অথচ যাহারা সংস্কৃত ব্যাকরণ জানে না, তাহাদের জন্য সংস্কৃত ব্যাকরণের কিঞ্চিৎ অনুবাদ করিয়া দিলে সংস্কৃত পদগুলির ব্যুৎপত্তি তাহারা বুঝিতে পারিবে। এই কারণে এই সকল শিশুপাঠ্য গ্রন্থের উপকারিতা আছে। এইরূপ অ প্র Tি ত হ ত প্রভাব ও আ প ত্য নি বিব েশ ষ শব্দ দুইটি কিরূপে উৎপন্ন হইয়াছে, তাহা সংস্কৃত ব্যাকরণে বহুদিন হইল স্থির হইয়া গিয়াছে। সংস্কৃত ভাষা কিরূপ দূপের সহিত পঞ্চাশটা শব্দকে সমাসবদ্ধ করিয়া একটি পদ নিৰ্ম্মাণ করে, তাহা সংস্কৃত ব্যাকরণে তন্ন তন্ন করিয়া দেখান হইয়াছে। উহা ছাত্রগণকে তর্জমা করিয়া দিলে বিশেষ ক্ষতি দেখি না। সুতরাং শিশুবোধের জন্য সংস্কৃত ব্যাকরণের কয়েকটা পরিচ্ছেদ অনুবাদ করিয়া দিলে গৰ্হিত কাজ হয় না। কিন্তু এ কথাটাও মনে রাখিতে হইবে যে, সংস্কৃত ব্যাকরণের যে অংশের বাঙ্গালায় প্রয়োগ হয় না, বাঙ্গালা ব্যাকরণে তাহারও যেন অমুবাদ করা না হয় । তাহা হইলে বালকদের মতিভ্ৰম জন্মাইতে পারে। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় ইহার প্রচুর দৃষ্টান্ত দিয়াছেন। কিন্তু ‘সীতার বনবাসে'র ঐ বাক্যমধ্যে সংস্কৃত পদগুলি ছাড়া কয়েকটি বাঙ্গাল পদ আছে ; যথা, হ ই য় । এবং করি তে লt fগ লেন । এই কয়টি পদ না থাকিলে বাক্যটি সম্পূর্ণ হইত না। বরং সংস্কৃত পদগুলির স্থানে খাটি বাঙ্গালা পদ বসাইলে উৎকৃষ্ট না হউক, চলনসই বাঙ্গালা হইতে পারিত ; কিন্তু এই থাটি বাঙ্গালা পদগুলির স্থান লইতে পারে, এমন কোন সংস্কৃত পদই নাই। ইহাদিগকে বর্জন করিলে বাক্যটা বাঙ্গালাই হইত না । এই পদগুলির সন্নিবেশই বাঙ্গালার বিশিষ্টত । কিন্তু এই পদগুলি কিরূপে সাধিত হইবে, তাহা কোন সংস্কৃত ব্যাকরণগ্রন্থে নাই । কেন না, এই পদগুলি সংস্কৃতমূলক হইলেও সংস্কৃত নহে। ইহারা খাটি বাঙ্গালার নিজস্ব । ইহাদিগের উপর অন্য কোন ভাষার কোন স্বত্ব নাই। ইহাদিগের গঠনপ্রণালীর বিচার যে শাস্ত্রে করিবে, তাহাই বাঙ্গালা ব্যাকরণ। কিন্তু সেই বাঙ্গালা ব্যাকরণ এখন কোথায় ? প্রচলিত শিশুপাঠ্য বাঙ্গালা ব্যাকরণ খুলিয়া দেখিলে ঐ শ্রেণীর পদের ব্যুৎপত্তির কোন তথ্য পাওয়া যাইবে না । কোন ব্যাকরণকার যদি বাঙ্গাল শব্দের প্রতি কৃপাপরবশ হইয়া উহাদিগকে সাধিবার কোন চেষ্টা করিয়া থাকেন, তাহার সৎসাহসের প্রশংসা করি। কিন্তু বৰ্ত্তমান অবস্থায় তাহার চেষ্টা কত দূর সফল হইয়াছে, জানি না। কেন না, এই পদকয়টির ব্যুৎপত্তি নির্ণয়ের জন্য যে পরিশ্রম আবশ্বক, তাহ বাঙ্গাল দেশের সপ্তকোটি অধিবাসীর মধ্যে কেহ করিয়াছেন, তাহ বিশ্বাস করি না । যদি বলেন, ঐ সকল শব্দ অতি অকিঞ্চিৎকর, উহাদিগকে লইয়া ভাষার সৌষ্ঠব সাধিত হয় না, তাহা হইলে অবশ্য নিরুত্তর হইতে হইবে। উহারাই বাঙ্গালা ভাষার দেহ গড়িয়াছে ; উহাদিগকে বর্জন করিলে বাঙ্গালা ভাষা বাঙ্গালা হইবে না । হ ই য় ৷ পদ সংস্কৃত ভূ ত্ব ৷ পদ হইতে আসিয়া থাকিবে ; খুব সম্ভবই তাহাই। কিন্তু এই পরিণতি কখনই সহসা সাধিত হয় নাই। ভূ ত্ব ! পদ নানা রূপপরিবর্তের পর অবশেষে হ ই য় T-তে দাড়াইয়াছে। সেই সকল মধ্যবৰ্ত্তী রূপ কি ? কোন