পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 & 8 রামেন্দ্রস্বন্দর রচনাসমগ্র আমাদিগকে অন্য পন্থা দেখিতে হইবে। বিজাতীয় শব্দগুলির শ্রুতিকটুতা-দোষ সৰ্ব্বতোভাবে বর্জন করিতে হইবে। কঠোর শব্দগুলিকে কোমল ও মোলায়েম আকার দিয়া বাঙ্গালীর সম্মুখে আনিতে হইবে। পুরাকালে এ দেশেও এই পদ্ধতি অবলম্বিত হইয়াছিল। যাবনিক Helios শব্দ হেলি এবং Aphrodite আস্ফজিৎ আকারে সংস্কৃত জ্যোতিষশাস্ত্রে দেখা দেয়। Heliocentric শব্দ হেলিকেন্দ্রক আকার গ্রহণ করিয়া ঠিক আত্মীয় ও পরিচিতের ন্যায় শুনায়। অথচ উভয় শব্দের ঐক্যনির্ণয়ে কোন কষ্ট হয় না । সংস্কৃত কাস্তীর শব্দ যাবনিক kassiteros শব হইতে গৃহীত হইয়াও কেমন সংস্কৃতের সহিত মিশিয়া গিয়াছে। যাবনিক ভাষার জ্যোতিষিক শব্দ সংস্কৃত জ্যোতিষ-শাস্ত্রে গৃহীত হইয়া কিরূপ আকার প্রাপ্ত হইয়াছে, স্থানান্তরে তাহার একটি তালিকা দিয়াছি, এ স্থলে পুনরুল্লেখের প্রয়োজন নাই। বলা বাহুল্য, আমরা সেই প্রাচীন কালের জ্যোতিষীদের অবলম্বিত পদ্ধতি অবলম্বন করাই শ্রেয়ঃকল্প বোধ করি । পাশ্চাত্য ভাষায় মূল পদার্থের নাম করণ ব্যাপারে কোন একটা নিদিষ্ট নিয়ম অবলম্বিত হয় নাই । র্যাহার যাহা ইচ্ছা, তিনি সেই নাম দিয়াছেন ; এবং সেই নামই সৰ্ব্বত্র গৃহীত হইয়াছে। পদার্থের গুণানুসারে নামকরণের চেষ্টা কয়েক স্থলে দেখিতে পাওয়া যায়। উদাহরণ, Oxygen=অস্লোৎপাদক, Hydrogen=জলোৎপাদক, Rubidium = লোহিতক ( যাহা বাপাবস্থায় লোহিত বর্ণের আলো উৎপাদন করে ) ইত্যাদি । কিন্তু অধিকাংশ স্থলে নামকরণ ব্যাপারে কেবল ব্যক্তিগত অভিরুচি ও খেয়াল ভিন্ন আর কিছু দেখা যায় না। নামকরণ ব্যাপারই সৰ্ব্বত্র খেয়ালের উপর স্থাপিত ; কাণ পুতের নাম পদ্মলোচন রাখিতে কোন আইনে নিষেধ নাই। উদাহরণ ;–পারদের নাম Mercury, বুধগ্রহের সহিত উহার একটা কাল্পনিক অথচ অমূলক সম্বন্ধ অনুসারে এই নাম । ধাতুবিশেষের নাম Cerium , সেই বৎসর Ceres নামক গ্রহ আবিষ্কৃত হইয়াছিল, এই স্থত্রে। ধাতুবিশেষের নাম Cobalt অর্থাৎ একজাতীয় উপদেবতার নামানুসারে । ফল কথা, নামের সহিত পদার্থের গুণের বা ধৰ্ম্মের কোন সম্বন্ধ থাকিবার দরকার নাই ; সুতরাং সেই সেই নামের অর্থ ধরিয়া অনুবাদের চেষ্টা ব্যর্থ পরিশ্রম। Oxygen ও Nitrogen এর অনুবাদে অম্লজান ও যবক্ষারজান, এই দুই নামের কল্পনা কেন হইয়াছিল বলিতে পারি না । ঐরুপ অনুবাদের কোন বিশেষ উপযোগিতা ছিল না । পদার্থ-সকলের ইংরেজী নামের ইতিহাস আলোচনা করিলে তাহাদিগকে কয়েক শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। ১। কতকগুলি যৌগিক পদার্থ রসায়ন-বিজ্ঞানের উৎপত্তির বহু পূৰ্ব্বেই জনসমাজে বিশিষ্ট্ররূপে পরিচিত ছিল। তাহাদের খাটি ইংরেজী নাম বিজ্ঞানের ভাষাঁড়েও গৃহীত হইয়াছে। फेनाँश्द्रभं-gold, silver, sulphur, ironằęfs কিন্তু ষে লকম বৌগিক পদার্থে তত্ত্বং মূল পদার্থ বর্তমান আছে, তাহাজের