পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চরিত-কথা : উমেশচন্দ্র বটব্যাল ૨૨૭ so এই স্থান নহে, আমি কেবল একটা দৃষ্টান্ত দ্বারা দেখাইতে চাহি যে, বড় লোকে ছোট কাজকে অবজ্ঞা করেন না ; তাহাদের যত্নে ছোট বীজ হইতে বড় গাছ উৎপাদিত হয়। বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের জন্মকালে ভারতবাসীর হিতৈষী জম্মনদেশোদ্ভব আচাৰ্য্য মক্ষমূলর নবীন পরিষৎকে ক্ষুদ্র কাৰ্য্যে অবজ্ঞা না করিতে উপদেশ করিয়া গিয়াছেন। আমরা যদি সেই পরলোকগত মহাত্মার পদাঙ্ক অতুসরণ করিয়া ক্ষুদ্র কার্য্যের মাহাত্ম্য বুঝিয়া চলিতে পারি, তাহা হইলে সেই মহাত্মার উপদেশ ও তাহার ভক্তি প্রকাশার্থ আহত অদ্যকার এই সভা নিতান্ত নিস্ফল হইবে না। উমেশচন্দ্র বটব্যাল আমার যখন পঠদ্দশ, তখন প্রেমচাঁদ-রায়চাদ-বৃত্তিধারী উমেশচন্ধ বটব্যালের নাম ছাত্রসমাজে অপরিচিত ছিল না , কিন্তু তিনি তখন বঙ্গায়-সাহিত্য-সমাজে বোধ হয় অপরিচিত ছিলেন। ‘সাহিত্য পত্রে “বৈদিক কালে গোহত্য” বিষয়ক যে কয়েকটি প্রবন্ধ বাহির হয়, বোধ হয়, তাহাই তাহার প্রথম বাঙ্গালা বচন । বাঙ্গাল সাময়িক পত্রিকায় প্রাচীন ইতিহাসঘাটত গবেষণাপূর্ণ যে সকল প্রবন্ধ সৰ্ব্বদা বাহির হয়, সাধাবণ পাঠকের অন্তঃকরণে তাহ কি রকম একটা ভীতির সঞ্চার করে , বোধ করি, সেই ভীতির বশব গ্ৰী হইয়ই আমি তখন সেই বৈদিক প্রবন্ধগুলি পাঠ করিতে সাহস পাই নাই । ‘সাধন|’ পত্রিকায় সা-খাBBBBB BBBS BBB BBB BBB KBSBB BBB BBB BBB BB তাহার রচনায় আকষ্ট হত, এবং তখনই বুঝিতে পাণ, বঙ্গেব সাহিত্যক্ষেত্রে এক জন মহারথের আবির্ভাব হইয়াছে। তদবধি বাঙ্গাল সাময়িক-পত্রে তাহার যত প্রবন্ধ বাহির হইয়াছে, প্রায় সকলষ্ট আগ্রহের সহিত পডিয়াছি, এবং পডিয়া প্রচুর আনন্দ উপভোগ করিয়াছি। অথচ, এই সকল প্রবন্ধের অধিকাংশই ঐতিহাসিক গবেষণায় পরিপূর্ণ। ইহাও স্বীকার করিতে দোষ দেখি না যে, ‘সাহিত্য পত্রের মলাটের উপর উমেশচন্দ্র বটব্যালের নাম মুদ্রিত দেখিলেই মনে একট হর্ষ উপস্থিত হইত। আশা হইত যে, এমন একট। কিছু তাহার রচনামধ্যে দেখিতে পাইব, যাহা অন্যত্র দুর্লভ। কখনই সে আশা হইতে বঞ্চিত হইতে হয় নাই । কিন্তু তখন জানিতাম না যে, এত শীঘ্র এই আনন্দের জনয়িত বঙ্গের সাহিত্যক্ষেত্র হইতে অন্তহিত হইবেন, এবং যে আকাঙ্ক্ষার সহিত মাসের পর মাস উমেশচন্দ্রের নাম মাসিকপত্রের মলাটে অঙ্কিত দেখিবার জন্য প্রতীক্ষা করিয়া থাকিতাম, তাহা এত শীঘ্র চিরদিনের জন্য নিৰ্ব্বাণ প্রাপ্ত হইবে । র্তাহার স্মৃতির প্রতি বঙ্গীয়-সাহিত্য-সমাজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভার আমাকেই গ্রহণ করিতে হইবে, তাহাও কখন মনে করি নাই। বটব্যাল মহাশয়ের সহিত আমার কখনও সাক্ষাৎ সম্বন্ধে পরিচয়ের সৌভাগ্য ঘটে নাই ; এবং তিনি সাহিত্যের যে অংশের প্রধানতঃ আলোচনা করিতেম,