পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8$s রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র হইয়াছে, এবং প্রসঙ্গক্রমে দেবদেবীর মাহাত্ম্য, তীর্থমাহাত্ম্য, উপাসনাপদ্ধতি প্রভৃতির সহিত রামায়ণ মহাভারতের কাহিনী ও ক্লষ্ণলীলা প্রভৃতি বিবিধ বিষয় গ্রন্থমধ্যে স্থান পাইয়াছে। সমগ্র গ্রন্থে ৪১৯ অধ্যায় আছে। গ্রন্থ পাচ খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডের নাম দেবখণ্ড । দেবখণ্ডে মঙ্গলাচরণ ও দেবদেবী বন্দনার পর সনাতন পদ্ধতি অনুসারে স্বষ্টি হইতে আরম্ভ করিয়া দক্ষযজ্ঞ, শিবের বিবাহ, কাত্তিকেয়ের জন্ম ও শিবগেীরীর কলহ পৰ্য্যন্ত যথারীতি বর্ণনায় কোন অংশে ফাক পড়ে নাই। এই খণ্ডমধ্যে নারদ হিমালয়ের কথোপকথনছলে কৃষ্ণলীল এবং গৌরর কলহান্তে পিত্ৰালয় যাত্রাপ্রসঙ্গে দুর্গোৎসব পদ্ধতির বর্ণনা আছে। পরবত্তী চারি খণ্ডে অবন্তীনগরের রাজ শালবান বা শালিবাহন ও তৎপুত্র জীমূতবাহনের উপাখ্যান। উত্তরদেশ হইতে মদ্রসেন রাজা আসিয়৷ শালবানকে রাজ্যচ্যুত করেন। শালবান পত্নীর সহিত অরণ্যযাত্রা করেন। পেপানে শালবানের মৃত্যু হয়। এই স্থলে গৰ্গমুনি রাণীর সাস্তুনার্থ রামায়ণ মহাভারতের কাহিনী বিবৃত করেন। অরণ্যবাসকালে রাণী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পরবর্তী যুদ্ধখণ্ডে জীমূতবাহনের জন্ম, গৰ্গমুনির নিকট জীমূতবাহনের শিক্ষালাভ ও তান্ত্রিক মতে দীক্ষাগ্রহণ, পরে বিবিধ তীর্থ পৰ্য্যটনfন্তর তারাপুর নামক তার্থে ভগবতীর দর্শনলাভ, ভগবতী কর্তৃক বর প্রদান ও তৎপরে ভারতবর্ষীয় নৃপতিগণের সাহায্যে মদ্রসেনের পরাজয় ও জীযুতবাহনের রাজ্যপ্রাপ্তি বর্ণিত আছে। এই খণ্ডে প্রসঙ্গক্রমে গ্রন্থের মুখ্য উদ্বেগু. তান্ত্রিক ধর্মের মাহাত্ম্যবর্ণনা যথাযথ স্থান পাইয়াছে। বৈদ্যনাথ, বক্রনাথ, তারাপুর প্রভৃতি প্রাদেশিক তীর্থস্থলের প্রতি গ্রন্থকৰ্ত্তার বিশেষ পক্ষপাতিত্ব প্রদশিত হইয়াছে। পাঠকগণের অবগতির জন্য বলা আবশ্বক, তারাপুর গ্রাম রামপুরহাটের নিকটবৰ্ত্তী। তারাপুরে তারাদেবীর মন্দির অবস্থিত এবং এই প্রদেশে উক্ত সিদ্ধপীঠের মধ্যে পরিগণিত। ভারতবর্ষীয় রাজগণের বিবরণ এইরূপ ;– চন্দেলে চয়েনসিংহ মহাসেনাপতি । সহস্র সর্দার সঙ্গে অযুত পদাতি ॥ বয়সে বক্তারসিংহ বড় বলবন্ত । যোজনেক যুড়ি থাকে যাহার সামন্ত ॥ চোহানে চতুরসিংহ বড় বল ধরে। যাহার সামন্ত অস্ত না হইতে পারে । রাঠোরে রাঘব রায় বড় ধনুর্ধর। দেবতা দেখিতে ইচ্ছা যাহার সমর ॥ পোয়ারে পর্বত সিংহ যেন যমদূত। যার সঙ্গে অসংখ্য থাকয়ে রাজপুত । কছোয়। কৃলের কৰ্ত্ত কিষণ ভূপতি। যার সঙ্গে রক্ষি ক্ষত্রি যুদ্ধে দিবারাতি । -- ইত্যাদি। মদ্রসেন অতিশয় অধাৰ্ম্মিক রাজ ছিলেন। তিনি রাজ্যমধ্যে গোহত্যা ও বিবিধ ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ আচারের প্রচলন করেন ও প্রজার প্রতি নিতান্ত নিপীড়ন আরম্ভ করিয়াছিলেন । তাহার রাজ্যচ্যুতির পর জীমূতবাহন কত্ত্বক ধৰ্ম্মরাজ্য সংস্থাপন ও সন্নীতি প্রতিষ্ঠা ও জীমূতবাহনের বিবাহ ও ঘরকন্নার বর্ণনায় নীতিখণ্ড সমাপ্ত। স্বৰ্গখণ্ডে জীমূতবাহনের বাদ্ধক্যে বনবাস ও গর্গমুনির নিকট বিবিধ উপদেশলাভের পর পাৰ্ব্বতীর অনুগ্রহে সশরীরে কৈলাস প্রবেশে গ্রন্থের সমাপ্তি । গৰ্গমুনি জীমূতবাহনকে কলির মাহাত্ম্য সম্বন্ধে যথাশাস্ত্র উপদেশ দিয়া কলিকালে জীবের নিস্তারের উপায় এইরূপ বলিয়াছেন ;–