পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীরাম দাসের বংশপরিচয় ও কালনির্ণয় ૨ 8 જ অখেতে মহিষাসুরে কৈল শির ছেদ । হৃদে শূল দিয়া বক্ষে করিলেন ভেদ । রক্ত বিস্ফুরিতাস্বর বিকট দশন । নাগফাসে বান্ধি চুলে করিল ধারণ ॥ দক্ষিণে চরণ সম সিংহের উপরে। কিছু উদ্ধে পাদাঙ্গুষ্ঠ মহিষে বিহরে । ( 'সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা’, ১৩০৩, ১ম সংখ্যা ) কাশীরাম দাসের বংশপরিচয় ও কালনির্ণয় গত জ্যৈষ্ঠ মাসে গদাধর দাসের জগন্নাথমঙ্গল নামক একখানি পুথি কিছু দিনের জন্য আমার হাতে আইসে। আমার শ্রদ্ধেয় বন্ধু রচবিহার কলেজের গণিতধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত উপেন্দ্রনাবায়ণ সিংহ ঐ পুথিখানি তাহার এক প্রতিবেশীর নিকট সংগ্ৰহ করিয়া দেখিতে দিয়াছিলেন। ঐ প্রতিবেশীর নিবাস আমার স্ব গ্রাম জেমো ; মুরশিদাবাদ জেলায় কান্দির অন্তর্গত। এই পুথিকে বৰ্ত্তমান প্রবন্ধে জেমোর পুথি বলিয়া উল্লেখ করিব। এই পুথি দেখিয়া আমি জানিতে পারি, গ্রন্থকার গদাধর দাস মহাভারত প্রণেতা কাশীরাম দাসের কনিষ্ঠ ভ্রাতা। পুথির মধ্যে গদাধর বংশপরিচয় ও গ্ৰন্থরচনার কাল বিস্তৃতভাবে নির্দেশ করিয়াছেন। আষাঢ় মাসের প্রথমে কলিকাতায় আসিয়া ১৩০৬ বৈশাথের সাহিত্য-পরিষৎপত্রিকা পাইয়া দেখিলাম, পত্রিকায় বিশ্বকোষ কাৰ্য্যালয়ে সংগৃহীত যে পুথির তালিকা প্রকাশিত হইয়াছে, তন্মধ্যে এই পুথির উল্লেখ আছে। পত্রিকার ৫৭ পৃষ্ঠে ২৬০ সংখ্যক পুথি গদাধব দাসকুত জগৎমঙ্গল, ও পূৰ্ব্বোক্ত জগন্নাথমঙ্গল’ অভিন্ন গ্রন্থ। গ্রন্থের মধ্যে কোথাও জগন্নাথমঙ্গল’, কোথাও বা সম্ভবতঃ ছন্দের অন্তরোধে 'জগৎমঙ্গল’ এই নামের ব্যবহাব আছে। গ্রন্থের বিষয়—উৎকল খণ্ডাহুসারে জগন্নাথদেবের ইতিবৃত্ত ও মাহাত্মাবর্ণনা । বিশ্বকোষ অফিসের পুথি হইতে যে যে অংশ উদ্ধত হইয়াছে, তাহার সহিত জেমোর পুথির তত্তৎ অংশের কোন বিশেষ প্রভেদ নাই। এক আধটুকু যা প্রভেদ আছে, তাহ লিপিকারের দোষে উৎপন্ন। বিশ্বকোষ কার্য্যালয়ের পুথির তারিখ সন ১১৬৫ সাল ২২শে আষাঢ়, লেখকের নাম অতুপচন্দ্র ঘোষ, সাকিম ঝেঞা, পরগণে বারহাজারী, চৌকি কোতলপুর। জেমোর পুথির বিবরণ এইরূপ—‘ইতি শ্রীস্কন্দপুরাণোক্ত উংকলখণ্ডে শ্রীজগন্নাথমঙ্গল সংপূর্ণঃ সন ১২০৯ বারসত্ত নয় সাল ,তারিখ ২৪ রাশাঢ় মোকাম মামুদপুব পরগণে নলদী চাকলে ভূসন ॥ জিলা জসহর লিখিতং শ্ৰীনবকিশোর সিংহ সাকীম বহড়ান পরগণে মোনহরসাহী জিলা বৰ্দ্ধমান ।” পুথিখানি অত্যন্ত যত্নের সহিত রক্ষিত থাকায় কোথাও খণ্ডিত, ছিন্ন বা অসম্পূর্ণ হয় নাই। পত্রসংখ্যা ১-২ ; প্রতি পত্র দুই পুষ্ঠে লেখা । শ্লোকসংখ্যা আনুমানিক ছয় হাজার। ‘ইস্রাণী নামেতে গ্রাম পূৰ্ব্বাপর স্থিতি। দ্বাদশ তীর্থেতে যথা বৈসে ভাগীরথী ”