পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীরাম দাসের বংশপরিচয় ও কাল নির্ণয়: নামগুলির সম্বন্ধে উভয় পুথিতে স্থানে স্থানে একটু পাঠভেদ আছে। জেমোর পুথিখানি অপেক্ষাকৃত আধুনিক হইলেও উহার পাঠ অধিক সঙ্গত বোধ হইতেছে। কাশীরামের বংশতালিকা এইরূপ দাড়ায়।-- শাণ্ডিল্যগোত্রীয় ‘দেব’ উপাধিধারী দৈত্যাবি। তার নাতির নাতি ধনঞ্জয়। তার নাতির বড়ো নাতি কমলাকান্ত। তার দ্বিতীয় সন্তান শ্ৰীকাশীদাস। কাশীদাসের বংশের এত সুবিস্তৃত পরিচয় ইহার পূর্বে সাধারণের অগোচর ছিল। কাশীরাম দাস কোন সময়ের কবি, কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে তাহ নিৰ্দ্ধারণের বড় সুবিধা ছিল না। Uবামগতি ন্যায়রত্ন কেবল অনুমানমাত্র বলে কাশীদাসের সময় ১৯৭৫ সনের নিকটবর্তী স্থির করেন। শ্ৰীযুত দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয় তৎরত বঙ্গভাষা ও সাহিত্য গ্রন্থে কাশীদাসেব আনুমানিক সময় নির্ণয়ে চেষ্টা করিয়াছেন। জগন্নাথমঙ্গল গ্রন্থে দেখা যাইতেছে, ইহাদের উভয়ের নিদ্ধারিত কাল কাশীদাসের প্রকৃত সময় হইতে অধিক দূরবত্তী নহে । দীনেশ বাবু লিখিয়াছেন – “কাশীরাম কবির প্রপিতামহের নাম প্রিয়ঙ্কর ; পিতামহের নাম স্নধাকর ও পিতার নাম কমলাকান্ত দেব , কমলাকান্তের ৩ পুত্র ছিল ; কৃষ্ণদাস, কাশীদাস ও গদাধর। এই হস্তলিখিত সমগ্র মহাভারত রাইপুব রাজবাড়তে এখনও আছে, তাহ ১০৩৯ সালের লেখা, সে আজ ২৬৩ বৎসরের কথা । গদাধর কাশীদাসের কনিষ্ঠ ভ্রাত ;. সুতরাং কাশীদাস নূ্যনাধিক ৩০০ বৎসর পূৰ্ব্বে জন্মগ্রহণ করেন ; এবং সম্ভবতঃ ২ • বৎসর পূর্বে মহাভারতের অনুবাদ সাঙ্গ করেন। ভরামগতি ন্যায়রত্ব মহোদয় বলেন, কাশীরাম দাসের পুত্র আপন পুরোহিতদিগকে যে বাস্তুভিট দান করেন, সেই দানপত্র পাওয়া গিয়াছে ; তাহা ১০৮৫ সালের লিখিত। বলা বাহুল্য, এই দানপত্রোক্ত সন আমাদের সনের অনুকূল।” (বঙ্গভাষা ও সাহিত্য প্রথম সংস্করণ, পূ: ৩১০-৩১১ )। পরপৃষ্ঠে দীনেশ বাবু লিখিয়াছেন, “গদাধরলিখিত পুথি আমরা দেখি নাই।” কিন্তু