পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રજીિ8 রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র পীত্ব সুদক্ষিণায়ৈতৎ পীতশেষং প্রদাস্ততি । ভবিষ্কৃতি কুমারস্তে বংশকৰ্ত্ত মহীপতিঃ ॥ 赛 嶺 水 অথমিম্ব্য মহাত্মানং বশিষ্ঠং যমিনাং বরম্। স্বং পুরং প্রাযয়ে যানমারুহা স্বগণৈবৃত: ॥ আর উদ্ধৃত করিবার প্রয়োজন নাই ; ইহাই যথেষ্ট । তৎপরে রঘুর জন্ম, অশ্বমেধে অশ্বহারী ইন্দ্রের সহিত যুদ্ধ, রাজ্যপ্রাপ্তি ও দিগ্বিজয় (দিগ্বিজয়ের সবিশেষ বর্ণনা নাই), সৰ্ব্বস্বদক্ষিণ-যজ্ঞসমাপ্তি, কেীতসাগমন, অজের জন্ম, অজের বিবাহাৰ্থ যাত্রা, পথে হস্তিবধ, ইন্দুমতীস্বয়ংবর ( সভfবর্ণনা নাই ), রাজাদের সহিত যুদ্ধ, রাজ্যশাসন, ইন্দুমতীর মৃত্যু ও অজবিলাপ । কালিদাস গ্রন্থারম্ভেই স্বীকার করিয়াছেন, তিনি পূৰ্ব্বস্তুরিদের বর্ণনা আশ্রয় করিয়া রঘুবংশ, রচনা করিয়াছেন। রামকথা ভিন্ন পূৰ্ব্বকালীন বা পরকালীন রঘুবংশবর্ণনার মূল রামায়ণে পাওয়া যায় না। অথচ কালিদাসের কাব্যের কোন পৌরাণিক মূল ছিল। সে মূল কোথায় ? পদ্মপুরাণ–পাতালখণ্ডে যখন ‘অজবিলাপ পৰ্য্যন্ত সকল কথাই পাওয়া যাইতেছে, তখন স্বতই মনে হইবে, মূল এইখানে । কিন্তু কেবল একখানা পুথির উপর নির্ভর করিয়া এরূপ সিদ্ধান্তে উপস্থিত হওয়া যায় না । পাতালখণ্ডের পুথি বোম্বাইয়ে, পুনায় ও কলিকাতায় ছাপা হইয়াছে। কলিকাতায় কেদারনাথ ভক্তিবিনোদের ও বঙ্গবাসীর প্রকাশিত পাতালখণ্ড আছে । আনন্দশ্রমের বহি দেখি নাই। অন্য তিন খানিতেই ঠিক এই অংশটিরই অভাব। এই সংস্করণগুলি কোন কোন পুথি দেখিয়া প্রকাশ করা হইল, তাহ প্রকাশকের লেখা আবখ্যক বোধ করেন নাই । কলিকাতার সংস্করণ দুইখানি একরূপ। বোম্বাইয়ের সহিত ইহাদের কিছু তফাত আছে। আমার পুথির ১ – ৩ অধ্যায় ভূমিকা, ৪ অধ্যায়ে মন্ত্র হইতে খটাঙ্গ, ৫—১১ অধ্যায়ে দিলীপ হইতে অজ, ১২—২৮ অধ্যায়ে দশরথ হইতে বামেব স্বৰ্গারোহণ পৰ্যন্ত । আমার পুথির যাহা ২৯ অধ্যায়, বোম্বাই যন্থের পুস্তকের ও বঙ্গবাসীর পুস্তকের তাহা প্রথম অধ্যায়। এই স্থলে রামেব অশ্বমেধ যজ্ঞের কথার পুনরায় সবিস্তারে আরম্ভ। এই অশ্বমেধের বর্ণনা আমার পুথিতে ২৯-৯৬, বোম্বাই পুস্তকে ১–৬৮ ও বঙ্গবাসীর পুস্তকে ১–৩৭ অধ্যায়ে সমাপ্ত হইয়াছে। কাজেই মনে হইতে পারে, অামার পুথিতে রঘুবংশের যে বর্ণনাটুকু আছে, অর্থাৎ উহার প্রথম ২৮ অধ্যায় প্রক্ষিপ্ত। বলা আবশ্বক, আমার পুথির কাগজ দেখিয়া উহার বয়স খুব অধিক বোধ হয় না । ১০০ বৎসরের কমই হইবে। তিন পুস্তকেই রামের অশ্বমেধবর্ণনা এইরূপে আরম্ভ হইয়াছে । বাংল্ডায়ন শেষকে জিজ্ঞাসা করিড়েছেন, “সূর্য্যবংশের রাজাদের কথা ত শুনিলাম, তন্মধ্যে রামেব অশ্বমেধের কথা ও সংক্ষেপে শুনিলাম, এখন ঐ অশ্বমেধের কাহিনী সবিস্তারে শুনিতে ইচ্ছা করি।” ইহাতে বোধ হইতেছে, রঘুবংশের বর্ণন কেবল আমার পুথির নিজস্ব নহে। উহ