পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ ২৬৭ নিদর্শন দেখান না চলে এমন নহে। সার আলফ্রেডের পরবর্তী অঞ্চযোগের উওর দেওয়া কঠিন— “In such subjects as general Physics and Mathematics, it is true, workers in India have no special advantages, Indeed, they are to that extent handicapped by the volume of scientific knowledge existing in the world and by the rate at which it progresses—a rate which they can hardly hope to overtake. But there are other subjects in which Indian students enjoy varying unique and ample opportunities. To take a single example. It has been said that on the fundamental question of the origin of the Indian people, European scholarship is at a standstill for want of local Indian research....Europe waits for a body of Indian workers to enter this utmost limitless field but it looks for them as yet in vain.” এ কথাটাও সত্য কথা । আমার স্বদেশীকে জিজ্ঞাসা করিতে পারি, আমাদের নিজের ইতিহাস অনুসন্ধানে আমরা এমন অক্ষম কেন ? ভারতবর্ষের জাতিতত্ত্ব অনুসন্ধান করেন রিজলি, ভারতবর্ষের ভাষাতত্ত্ব অনুসন্ধান করেন বীমদ, হরনলী, গ্রিয়ার্সন। এখানে ভারতবাসীর নাম দেখি না কেন ? উত্তর দেওয়া হইবে,—সাহেবদের, বিশেষতঃ উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারীর, এই সকল সংগ্রহে যে সুবিধা আছে, তাহা আমাদের নাই। ঠিক কথা। একজন মোট সাহেব কল টিপিলেই ভারত গবৰ্ণমেণ্ট সিমলা হইতে মাথা নাডা দেন। সমুদয় ভারতবর্ষে বৈজ্ঞানিক গবেষণার আন্দোলন উপস্থিত হয়। পাডায় পাড়ায় চৌকিদারগণ সমাজতত্বের অনুসন্ধান করেন, কন্‌ষ্টেবলের ভাষাতত্ত্বের আলোচনায় প্রবৃত্ত হন, ডেপুটিবর্গ comparative mythology fĪGI fiāfg fif-TRE GIR ; HIAR GHERGİN সমুদয় সরঞ্জাম সংগৃহীত হইয়া সরকারী মুদ্রাযন্ত্রে সরকার খরচে ভীমাকৃতি গ্রন্থে পরিণত হয়। আমাদের সে অর্থবল, লোকবল, তোড়জোড়, যন্ত্রতন্ত্র নাই । আমরা একায়েক এই বিপুল ভারতবর্ষের এক কোণে বসিয়া কতটুকু কাজ করিব ? ঠিক কথা, সেই ক্ষুদ্র কতটুকুর বেশী কাজ করিবার আমাদের সামর্থ্য নাই। কিন্তু সেই ক্ষুদ্র কতটুকুই বা করি না কেন ? কাঠবিড়ালীর সাগর বাধার গল্প ত আমাদের মধ্যেই আছে। কাজটা যদি কৰ্ত্তব্য হয়, তবে এতটুকুর বেশী পারি না— অতএব কিছুই করি না—এই সাফাই গাহিলে ধৰ্ম্মের দুয়ারে খালাস পাইব না। কিন্তু বাস্তবিকই কি এ স্থলেও আমরা এতটুকুর বেশী কাজ পারি না ? সহস্ৰ অন্ধবিধা সত্বেও আমাদের নিজের ইতিহাস সঙ্কলনে আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে, তাহা মোট সাহেবদের নাই, তাহা সিমলাশৈলবাসী ভারত গবৰ্ণমেণ্টের নাই। অন্তত: চৌকিদারের ও ডেপুটির চেয়ে বেশী কাজ করিবার আমাদের সামর্থ্য আছে। নাই বলিলে মিথ্যা বলা হইবে – পাপ হইবে। সাহেবেরা আমাদের ভাষা বোঝেন না ; আমাদের চরিত্র বুঝেন না ; লর্ডকৰ্জনের ভাষায় এশিয়াটিকের চরিত্রই সাহেবের দুরধিগম্য। এক পক্ষে আমাদের অসুবিধ।