পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিভাষণ ఫిస్సె দেশেই বা যে জাতিমধ্যেই তাহাদের জন্ম হউক, তাহারাই ঋষি। এ দেশের প্রাচীন দার্শনিকেরাই বলিয়াছেন, এ বিষয়ে আর্য্যে ও মেচ্ছে কোনরূপ লক্ষণভেদ নাই। যেখানেই আমরা আলোক দেখিব, সেইখানেই আমাদিগকে পতঙ্গবৃত্তি হইয়া দৌড়িতে হইবে, কিন্তু তাহাতে পতঙ্গের মত জীবনের নাশ না হইয়া জীবনের বৰ্দ্ধন হইবে। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, বিজ্ঞানমন্দিরে র্যাহারা সাধক, র্তাহারা যে ভাষা ব্যবহার করেন, তাহা অন্যের পক্ষে দুৰ্ব্বোধ্য। সাধনামন্দিরের বহির্দেশে আসিয়া প্রাকৃত জনের নিকট তাহদের বোধ্য ভাষায় আত্মপ্রকাশে তাহারা স্বভাবতঃ সঙ্কোচ বোধ করেন , অথচ তাহাদের সাধনালব্ধ ফলের আস্বাদনের প্রত্যাশায় অসংখ্য নরনারী মন্দিরের বাহিরে উদ্ধমুখে ও শুষ্কহদয়ে দাড়াইয়া রহিয়াছে, তাহা তাহারা দেখিতেছেন। তাহাদিগকে বঞ্চিত করিলে চলিবে না। বৈজ্ঞানিকেরা যাহা অর্জন করেন ও আহরণ করেন, জনসাধারণ তাহার ফলাকাঙ্খী এবং ফলভোগের অধিকারী। বৈজ্ঞানিকের ধৰ্ম্ম বস্তুতই নিষ্কামধৰ্ম্ম । কৰ্ম্মেই র্তাহাদের অধিকার ; ফলে তাহাদের একেবারে অধিকার নাই। যাহা কিছু র্তাহারা আহরণ করেন, মুক্তহস্তে তাহা তাহাদিগকে বিতরণ করিতে হইবে । বিতরণ বিষয়ে অধিকারী নির্বাচন চলিবে না। এই জন্যই দেখিতে পাই যে, বৈজ্ঞানিকগণের মধ্যে র্যাহারা প্রকৃতই ঋষি, র্যাহাদের দিব্যচক্ষু সত্যনিরীক্ষণে সমর্থ হইয়াছে, তাহাদের অনেকেই যেন প্রাণের তৃষ্ণায় বাহিরে আসিয়া আপামর সাধারণকে সেই সত্যের সহিত পরিচিত করিবার জন্য সময়ে সময়ে ব্যাকুল হইয় পড়েন। আমি জানি, বৈজ্ঞানিকগণের মধ্যে এমন অনেক মহাজন আছেন, যাহারা নির্জন-সাধনা ছাড়িয়া বাহিরে আসিতে চাহেন না। জ্ঞান অর্জন তাহাদের কার্য্য ; জ্ঞানের প্রচারও কার্য্য বলিয়। স্বীকার করিতে তাহারা কুষ্ঠিত। ইহার তাৎপৰ্য্য বুঝিতে পারি। সৰ্ব্বত্রই যেরূপ, এখানেও সেইরূপ শ্রমবিভাগের প্রয়োজন । আহরণ ও বিতরণ, উভয় কৰ্ম্মই একজনে গ্রহণ করিলে কোনটাই হয় ত স্বস্তৃরূপে সম্পাদিত হয় না। আহরণের শক্তি ও বিতরণের শক্তি ঠিক একজাতীয় নহে। যিনি অর্জনে নিপুণ, বিতরণে র্তাহার নৈপুণ্য না থাকিতেও পারে। নিতান্ত অনধিকারীর নিকট বিতরণ করিতে গিয়| বিদ্যার মাহাত্ম্যকেও খৰ্ব্ব করিৰার আশঙ্ক থাকে। ভূমি যেখানে নিতান্ত অমুর্বর, সেখানে বীজ ছিটান কেবল পরিশ্রমের অপব্যয়। এ সমস্ত যুক্তি স্বীকার করিলেও দেখিতে পাই, সত্যের অন্বেষণে র্যাহারা উজ্জল বত্তিক হস্তে করিয়া পুরোগামী হইয়াছেন, তাহারাই আবার আপনাদের মেরুদণ্ড ক্ষণেকের জন্য অবনত করিয়া, নিম্নতর সোপানে নামিয়া আসিয়া, জনসাধারণের মধ্যে জ্ঞানপ্রচারে আনন্দ লাভ করিতেছেন। বিজ্ঞানবিদ্যাকে সাধারণের উপভোগ্য করিতে পারা যায় কি না, এরূপ চেষ্টায় কোন লাভ আছে কি না, ইহা লইয়া যতক্ষণ ইচ্ছা বাদাতুবাদ চলিতে পারে। ইংরেজীতে বলিলে sciences popularise of 53 f al, of soil Torst airs fos vzkrītēs Lord Kelvin, word P. G. Tait, Hermann Helmholtz, William Kingdom Clifford orgsso o sfoggsfs cartfestos sticasso বিতরণ করিয়া ধরাধামের অজ্ঞানতিমির অপসারণে প্রবৃত্ত দেখিতে পাই। এই