পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Oе о রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র অধৰ্ম্ম । প্রকৃত পক্ষে উভয়ের সামঞ্জস্তে ধৰ্ম্মের স্থিতি । আপনার প্রতি কৰ্ত্তব্য ও পরের প্রতি কৰ্ত্তব্য ছাড়িয়া দিয়া আর একটা কৰ্ত্তব্য মহন্তজাতি স্থষ্টি করিয়া লইয়াছে, দেখিতে পাওয়া যায়। মানুষ জগতের খানিকট বুঝে, খানিকট বুঝে না । খানিকট তাহার জ্ঞানের পরিধির অন্তর্গত ; খানিকটা সেই পরিধির বাহিরে। এই সীমাবিভাগ চিরকালই ছিল, এবং চিরকালই থাকিবে। মানুষ যেটুকু বুঝে, তাহার আবার কতকটাকে ভালবাসে ; কতকটা ভালবাসে না ; অথবা অগত্য ভালবাসে। আর যেটুকু বুঝে না, সেইটুকুকে ভালবাসিতেও পারে না, না বাসিতেও সাহস করে না সেইটুকুকে ভয় করে। জগতের এই জ্ঞানাতীত অংশটুকু মানুষের চক্ষে বিভীষিকাময়। অকস্মাৎ, অতকিতে, এমন ভাবে মানুষের জীবনের উপর ইহা প্রভাব বিস্তার করে যে, মাহুষের জীবন শৃঙ্খল সহসা ছিড়িয়া যায়। ইহা মানুষের শক্তির অধীন নয়। মানুষের ক্ষমতার আয়ত্ত নহে, তাই মানুষ বড়ই সাবধানে, অসহায়ভাবে, কাতরনেত্রে জগতের এই জ্ঞানাতীত অংশের প্রতি চাহিয়া থাকে; স্তুতি করে, তোষামোদ করে, এবং সময়ে সময়ে নিতান্ত ক্ষীণপ্রাণ দুর্বল অসহায়ের মত উৎকোচ দিয়া বশ করিতে চায়। এই স্তুতিবাদ, এই তোষামোদ দুৰ্ব্বলের একমাত্র গতি, অসহায়ের একমাত্র বল, আত্মরক্ষার উদ্দেশে এই একমাত্র অবলম্বন । অসহায় মানুষ জগতের সেই জ্ঞানাতীত পরাক্রান্ত শক্তি হইতে আত্মরক্ষার নিমিত্ত এই হীন উপায় অবলম্বন করিয়াছে, ইহাকে আপনার জীবনের প্রধান কৰ্ত্তব্যমধ্যে গণ্য করিয়াছে। উপায়টাকে হীন বল, কাপুরুষোচিত বল, আর যাহাই বল, রুদ্ধশ্বাসে ভয়ে ভয়ে বলিও। মুক্তকণ্ঠে বলিলে মনুষ্যসমাজের সমবেত শক্তি বজের ন্যায় তোমার উপর আপতিত হইবে । স্বতরাং স্বার্থ ও পরার্থ ছাড়িয়া মনুষ্যজীবনের অার একটা অর্থ আছে, আর একটা কৰ্ত্তব্য আছে ; সেইটা মানুষের রিলিজন। জগতের অজ্ঞেয় শক্তিকে যেন তেন সন্তুষ্ট রাখিতে পার, তোমারই মঙ্গল ; তবে কিসে সন্তুষ্ট রাখিতে পারা যাইবে, তাহাতে মতভেদ রহিয়াছে। বোধ করি—ষত মানুষ, তত মত। সস্তুষ্ট রাখা বড় সহজ নহে! ইহজীবনে সকল সময়ে ফললাভ হয় না । না হউক, পরলোক আছে । সেখানে ফল পাইবে । দুৰ্ব্বলের এইরূপ সাজুন, অথবা আত্মপ্রবঞ্চন । বৈদিক সময়ে মানুষের জীবনের প্রতি প্রবল আসক্তি ও অনুরাগ ছিল ; আপনার শ্রীবৃদ্ধি, স্বাস্থ্যবৃদ্ধি, যশোবৃদ্ধির নিমিত্ত প্রভূত চেষ্টা ছিল, এবং আত্মরক্ষণের কামনায়, শত্রু নিপাতের কামনায়, ইন্দ্রের প্রতি, বরুণের প্রতি, রুদ্রের প্রতি স্তুতি প্রয়োগ ও উৎকোচ প্রয়োগেরও অভাব ছিল না। পরার্থে আত্মোৎসর্গ বৈদিক সময়ে ধর্শের অন্তর্গত হয় নাই। হয় নাই—তাই ভারতবর্ষ ভারতবর্ষ হইয়াছে, আর্য্যাবৰ্ত্ত আৰ্য্যাবৰ্ত্ত হইয়াছে। জাতি মাত্রেরই অভু্যদয়ের এই ইতিহাস । বেদের পর উপনিষদ ও দর্শন। এখন আর শত্ৰুভয় নাই, জীবন-সংগ্রামে কঠোরতা নাই, বস্থদ্ধর স্বজলা স্বফলা শস্তষ্ঠামলা ; অন্নকষ্ট নাই। প্রচুর অবকাশ, আর্ধ্যজাতির ধীশক্তি জীবনের রহস্তের, জগতের রহস্তের তন্ন তন্ন বিশ্লেষণে নিযুক্ত। विद्वअषट्न हिङ्ग एहेज, औदन झूथमग्न, ७ऊ शरथव्र७ "ब्रिप्तांब छूःथ, फूःथषइष्ठांझे