পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১ ও রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র আমাদের শিক্ষিতদিগকে অভিভূত রাখিয়াছিল। সম্প্রতি সে ভ্রাস্তি কতকটা গিয়াছে বলিতে হইবে। তবে আজিও অকারণে ইংরাজী ভাষায় ব্যুৎপত্তি জাহির করিতে গেলে হাস্তাস্পদ ও অবজ্ঞাস্পদ হইতে হয় না। বাঙ্গালী সাহিত্য আমাদের সমাজ কতকটা সরগরম করিয়া রাখিতেছে সত্য। স্বখের বিষয় ও আশার বিষয় । কিন্তু সম্প্রতি বাঙ্গালা সাহিত্যে আছে কি ? উপন্যাস ও কাব্য ? তাই বা কয়খানা ? কাব্যরস আস্বাদনের শক্তি আমাদের কতকটা আছে স্বীকার করি । সৌন্দৰ্য্যবোধ আমাদের পুরাতন জাতীয় সম্পত্তি । প্রকৃতিতে ও মানবচরিত্রে সৌন্দৰ্য্য অনুভব করিবার ক্ষমতায় আমরা কোন কালে বঞ্চিত নহি। পূৰ্ব্বেও ছিলাম না, এখনও নহি । ইংরাজী শিক্ষা যে এই অনুভূতির" মাত্রা বা স্থঙ্কত বাডাইয়া দিয়াছে, তাহ প্রমাণসাপেক্ষ । তবে ইংরাজী সাহিত্য ও ইংরাজের চরিত্র এবং পাশ্চাত্যগণের জাতীয় জীবনের ঘটনাবহুল বিচিত্র অদ্ভুত ইতিহাস অনেক অপরিচিত সুন্দর প্রদেশ আমাদের সম্মুখে আনিয়া দিয়াছে ; আমরা এখন সেই নূতন ফুলের মধু আহরণে অধিকারী হইয়া কতকটা সৌভাগ্যবান হইয়াছি, এই পৰ্য্যস্ত। ষাটি বৎসরের ইংরাজী শিক্ষার ফলে আমরা ভাঙ্গিতে শিখিয়াছি, গড়িতে শিখি নাই , আমাদের আহারের দ্রব্য বাড়িয়াছে, কিন্তু পরিপাকের শক্তি বাড়ে নাই ; আমরা পরের কথার আবৃত্তি করিতে পারি, কিন্তু স্বয়ং বাক্য রচনা করিতে জানি না। আমাদের রাজনৈতিক পরাধীনতা হীন , আমাদের জ্ঞানজীবনে পরাধীনতা শোকাবহ । জ্ঞানালোচনায় আমাদের স্বতন্ত্রতা ও স্বাধীনতা নাই ; আত্মিনির্ভর ও আত্মমর্য্যাদা জানি না । চিরদিনই কি এমনই ছিল ? প্রকৃতই কি আমরা পিতৃপরম্পরাক্রমে পিতৃপিতামহ হইতে এই অস্থিহীন মাংসপিণ্ডবং কলেবর প্রাপ্ত হইয়াছি ? বস্তুতই কি আমাদের হীনত। ধাতুগত ও মস্তিষ্কগত ? বস্তুতই কি আমরা মানুষ ও বানরের মধ্যগত পৰ্য্যায়ভুক্ত জীব ? অতীতের ইতিহাস স্মরণ করিয়া নীরবে আশ্রমোচন র্যাহার অভ্যাস আছে, তিনি নিশ্চয়ই বলিবেন—না। চিরদিন ত এমন ছিল না । গুরুবাক্যে ভারতবাসীর অমেয় শ্রদ্ধা বিশ্বাস আছে সত্য ; এবং সেই আত্যস্তিক শ্রদ্ধা কখন কখন জ্ঞানবৃদ্ধির অন্তরায় হইয়া দাড়াইয়াছে, তাহাও সত্য। কিন্তু তাই বলিয়া প্রাচীন ভারতে জ্ঞানান্বেষণ ছিল না, এমন কথা বলিও না ; তাহারা জ্ঞানের রাজ্য প্রসারিত করিতে জানিত না, অথবা পুরাতন পরিচিত পরিধির বাহিরে পদক্ষেপ করিতে সেকালের ভারতবাসী সাহস করিত না, এ কথা বলিও না । কিরূপে প্রাচীনকে ধ্বংস করিয়া নূতনের প্রতিষ্ঠা করিতে হয়, কিরূপে জীৰ্ণ কুটার ভূমিসাৎ করিয়া অট্টালিকা গাঁথিতে হয়, কিরূপে সাহসের সহিত বিজয়-দুন্দুভি নিনাদিত করিয়া জ্ঞানবত্তিক হস্তে করিয়া অজ্ঞানের তিমিররাজ্যে প্রবেশ করিতে হয়, সেকালের লোকে জানিত। সাক্ষী—উপনিষদ, সাংখ্য, বেদাস্ত, দশমিকলিপি চিকিৎসা ও জ্যোতিষ, লীলাবতী, বীজগণিত ও গোলাধ্যায় ; সাক্ষী—বুদ্ধ ও শল্প, বঙ্গু ও ভাদ, গান ও স্কাৰ। कछ माम कब्रेिब ? छरक कि