পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শবদ কথা \מס Liberale technical f^sffF ENT c^ *fféffR, library, museum, laboratory workshop of oo, Witol Federation Hall & কিয়দংশে স্থান পাইতে পারে। তজ্জন্য স্বতন্ত্র গৃহনিৰ্ম্মাণ আবশ্যক না হইতেও পারে। এই তিন কাজকে এক কাজের অঙ্গ করিয়া লওয়া আবশ্যক । ( 'বঙ্গদর্শন, অগ্রহায়ণ ১৩১২ ) শবদ-কথা [ ১৯১৭ সনে প্রকাশিত প্ৰথম সংস্কবণ হইতে } মুখবন্ধ ‘সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা’য় বাঙ্গালা ভাষাব বাকবণ ও শব্দতত্ত্ব এবং বাঙ্গালায়, বৈজ্ঞানিক পরিভাষা সম্পকে কতকগুলি প্রবন্ধ লিথিয়াছিলাম , প্রবন্ধগুলি এত কাল পরিষদ-পত্রিকায় ছড়াইয় ছিল ; শব্দ-কথা নাম দিয়া প্রবন্ধগুলি একত্র করিযা প্রকাশ করিলাম। প্রায় সকল প্রবন্ধই সংশোধন করিয়াছি। ধ্বনি-বিচার নামে প্রবন্ধটির কলেবর বাড়িয়া গিযাছে। ধ্বনি-বিচাব প্রবন্ধটিব প্রতি আমার একটু মমত্ব আছে। বোধ হয়, আমি উহাতে কিছু নুতন কথা বলিয়াছি। এইরূপে বাঙ্গালা শব্দেব আর কেহ আলোচনা করিয়াছেন কি না, জানি না । শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুব মহাশয়েব লিখিত এবং সপ্তম বর্ষের চতুর্থ-সংখ্যক পরিষৎ-পত্রিকায় BBBB BBB BBBB BBB BSBBSBBBS BBS BBBBS BBS BBB BB BBBS রবীন্দ্রনাথ প্রশ্ন তোলেন, টুক টু কে শব্দটি নিশ্চয় ধ্বস্তাত্মক শব্দ। যাহা টু ক্ টুক্ ধ্বনি করে তাহাই টু ক্ টু কে । কিন্তু যে দ্রব্য রাঙ টুকটুকে, তাহা ত কোনরূপ টু ক টু ক শব্দ করে না ; —তবে তাহাকে টুক টু কে বিশেষণ দিই কেন ? রবীন্দ্রনাথ ইহার উত্তরে বলিয়াছিলেন, "ট ক টক শব্দ কাঠের স্থায় কঠিন পদার্থের শব্দ । যে লাল অত্যন্ত কড়া লাল, সে যখন চক্ষুতে আঘাত কবে, তখন সেই আঘাত-ক্রিয়ার সহিত টক টক শব্দ আমাদের মনে উহ থাকিয়া যায় ।" রবীন্দ্রনাথের এই স্পষ্ট ইঙ্গিতের নিকট আমি ঋণী –আর কাহারই বা কাছে এমন ইঙ্গিত পাইতে পারি ? এই ইঙ্গিত না পাইলে বোধ করি, ধ্বনি-বিচার প্রবন্ধের উৎপত্তি হইত না । ঐ ইঙ্গিত লইয়াই বাঙ্গালায় প্রচলিত ব্যঞ্জনবর্ণের ধ্বনিগুলিকে আমি শ্রেণিবদ্ধ করিয়া সাজাইয়াছি। দেখিয়াছি যে, প্রতোক ধ্বনির একটা নৈসর্গিক তৎপরতা আছে—এই তৎপরতা প্রত্যেক ধ্বনির উৎপাদক বস্তুর স্বাভাবিক গুণে প্রতিষ্ঠিত । কঠিন দ্রব্যের আঘাতে ট-বগের ধ্বনি জন্মে ; কোমল দ্রব্যের আঘাতের সহিত ত-বগের ধ্বনির সম্পর্ক ; ফাপা জিনিষের ভিতর হইতে বায়ু নি:সরণে প-বগের ধ্বনি জন্মে ; ইত্যাদি। প্রত্যেক ধ্বনি স্বভাবতঃ কাঠিন্ত, তারল্য, কোমলতা, শূন্তগর্ভতা প্রভৃতি এক-একটা বস্তু ধৰ্ম্মের সম্পর্ক রাখে ও সহকারিত রাখে ; এবং প্রত্যেক ধ্বনি শ্রুতিগত হইব মাত্র ঐ ঐ ধৰ্ম্ম স্মরণ করায় বা ব্যঞ্জন করে। যাহা টুক টু কে লাল, তাহ চোখে এমন কঠোর আঘাত দেয় যে, সেই আঘাত টুক টু ক ধ্বনির কানে আঘাতের কঠোরতা স্মরণ করায় ; দৃষ্টিগত আঘাতটাও যেন কঠোরতায় প্রতিগত আঘাতের অনুরূপ। প্রত্যেক বগের অন্তগত ধ্বনিগুলির এইরূপ এক-একটা