পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানাকথ। : সামাজিক ব্যাধি ও তাহার প্রতিকার ○○載 ইংবাজরাও আপনাদের উনবিংশ শতাব্দীর উন্নতির ও ঐশ্বর্গ্যের ও পর কমের অঙ্কুর সাৰ্দ্ধ সহস্রবৎসর পূর্বের জাৰ্ম্মান জলদস্য ও বনদস্যব সমাজমধ্যে বিকশিত দেখিয়া কতই গৰ্ব্ব ও আনন্দ অনুভব করেন, আর আমাদের এই পুবাতন সভ্যতার স্রোত মানবেতিহাসেব অজ্ঞাত কোন পুরাকাল হইতে সিন্ধুতটবাসী হিন্দু সমাজ হইতে, কাস্পীয়তটবাসী আৰ্য্য সমাজ হইতে বা কোন অজ্ঞাত মহাসিন্ধু-তটবাসা কোন, অজ্ঞাত সমাজ হইতে আজ পর্য্যস্ত একই ধাবীয় কখনও খরস্রোতে কখনও মন্দপ্রবাহে প্রবাহিত হইয়া আসিতেছে, তাহাব আলোচনা কি অনুরাগ ও পতির উৎপাদনে অসমৰ্থ ? ভাবের উদ্দীপনা মন্ত্যকে সকল সময়ে ঠিক পথে লতথা যায না, কিন্তু মহুয়ার্জীবন ভাবকর্তৃকই মূলতঃ নিয়ন্ত্রিত হয়। ইংবাজীতে যাহাকে feeling 3 emotion wo, সেই অর্থে ভাব শবদ প্রয়োগ কবিতেছি । জ্ঞান অবকাশমত ভাবকে সংযত কবে, সংহত কবে, গঠন প্রদান করে, সংশোধিত করে, প্রকৃতপক্ষে মতুয়ুজীবন ভাবই ক বুকই পরিচালিত হয় ও নিয়ন্ত্রিত হয়। জ্ঞান চেষ্টাব প্রস্থতি নহে, ভাবই চেষ্টাব প্রস্তুতি ; চেষ্টা হইতে কৰ্ম্ম উৎপন্ন হয়, যে কৰ্ম্মসমষ্টি লইস মহন্তোর জীবন । শুধু মনুষের ব্যক্তিগত জীবন কেন, সমাজের জীবন ও মুখ্যতঃ ভাব কত্ত্ব কষ্ট নিয়মিত হইযা থাকে । সমাজেব ইতিহাস মুখ্যতঃ ভাবে ইতিহাস, অথবা ভাব কর্তৃক প্রণোদিত ও পরিচালিত কৰ্ম্মেব ইতিহাস । সমাজের জ্ঞানসম্প্রদায় কথন ও ব৷ উদামগতি ভাবের বেগবত্তা কমাইয়া দেন, কখনও ভাবেব স্রোতে ভাট পড়িলে তাহাব বেগবত্ত বাডাঙ্গয়৷ দেন, ভাবেব স্রোতকে অপসবমত ও ক্ষমতামত নূতন থাতে পরিচালিত করিবাব চেষ্টা কবেন , কিন্তু ভাব যখন প্রবাহিত হইতে থাকে, তখনই ভাবের স্রোতে মহন্তাসমাজ চলে , কখনও বা মন্দবেগে চলে , কখনও বা খবশোতে বাধ ভাঙ্গিয়া কূল ছাপাইয়া ধুইয়া ভাসাইয়। চলিতে থাকে। উদাহরণ, ইউরোপে খ্ৰীষ্টান প্রচাপ, chivalryĀ TĒJITH, renaissance 8 reformatıon 8 ফরাসী রাষ্ট্রবিপ্লব । ভাবেব প্রবাহ সময়ে সময়ে এইরূপ খরস্রোতে চলতে থাকে, তখন সমাজের নূতন জীবন লাভ হয়, সমাজ তখন নূতন মূৰ্ত্তি গ্রহণ করে, যাহাকে এতদিন মৃতকল্প বলিয়া বোধ হইত, সে এখন জীবনেব স্রোতে তরঙ্গ উঠাইয়। কলকল নাদে ছুটিতে থাকে। সমাজের মধ্যে র্যাহারা জ্ঞানিশ্রেষ্ঠ, সমাজের মধ্যে র্যাহাব উচ্চ পদবীতে সমাসীন, সমাজের র্যাহাবা নেতা, তাহাব! এই ভাবের স্রোতের স্বষ্টি করিয়া দেন, আবার সমগ্র সমাজ, যাহা এত দিন জডভাব, নিশ্চেষ্ট ভাব অবলম্বন করিয়াছিল, সমগ্র সমাজ যখন সেই দুৰ্দ্দম প্রবাহে নীয়মান হয়, জ্ঞানিগণ ও নেতৃগণও তখন সেই স্রোভেব মুখে ভাসিয়া চলেন। আমাদের জাতীয় জীবনের যে স্রোত এখন অল্পবেগে চলিয়াছে, সেই শোতে বেগ উৎপাদনের জন্য এইরূপ ভাবের উদ্দীপন প্রয়োজন। আমার বিশ্বাস, স্বজাতিপ্রেম ও স্বদেশবাংসল্য সেই উদ্দীপনা প্রদানে সমর্থ। এবং এই স্বজাতিপ্রেম ও স্বদেশবাৎসল্য জন্মাইবার জন্য সমাজের সহিত ঘনিষ্টতর পরিচয় স্থাপন আবতক । সমাজের কোথায় কি আছে, সমাজশরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুজিয়া দেখিতে হইবে, কোথায় কয়খানা হাড আছে, কোথায় কয়টা শিরা আছে, কোন, খাতে রক্ত চলে, কোন স্বায়ু দিয়া