পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৪১৬

*8》 8 রামেন্দ্রস্বন্দর রচনাসমগ্র কালেজ সেকেও গ্রেড, কালেজ, সেগুলাকেও লজিকের খাতিরে একদম উঠাইয়া দাও। ভাল কথা ; এইরূপ কুঠার চালনার পর যে সকল কালেজ থাকিবে, তাহ নিশ্চয়ই উচ্চ অঙ্গের বিদ্যালয় হইবে। তাহদের অবস্থা বৰ্ত্তমান কালেজগুলির সাধারণ অবস্থা অপেক্ষ উচ্চ হইবে সন্দেহ নাই। আবার কমিশন বলিতেছেন, এনট্রান্সে ছাত্রদের বয়স বাডাইয়া দাও ; তাহদের পরীক্ষা আরও শক্ত কর ; তাহাদিগকে, ফেল হইলে, বারে বারে পরীক্ষা দিতে দিও না ; সকলের উপর গরাবের ছেলেকে, বিশেষ ক্ষমতা না থাকিলে পড়িতে দিও না, এবং এনট্রান্স পাসের পর চাকরির প্রলোভন দিও না ; তাহ হইলে অধিক ছাত্র পাস করিতে পরিবে না ; যাহার। পাস করিবে, তাহার। অপেক্ষাকৃত বুদ্ধিমান বিচক্ষণ মানুষের মতন হইবে। ইহাও ঠিক কথা। এখন জিজ্ঞান্ত, তবে কি এইরূপেই আমাদের বিশ্ব পদ্যালয়গুলি পাশ্চাত্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমকক্ষ হইবে ? এইরূপেই কি ভারতসন্তান অর্থাম্বোণে ও অন্নাম্বোণে বিমুখ হইয়। জ্ঞানান্বেষণে প্রবৃত্ত হইলে ? এই ggSYB BB BBB B BB BBBS BBB BBB BSB BBBS BBBS BBB BB BB BBBBB DDBS BBB BB S BB BBBS B BBB BB BBBBB DDDS KK EBB BBBS BBBBS BBBBB BB BBB BBBBS BBBB BBBBBB BBBS gBBB BBBB BB BBBBB BB BBB হইতে পাবে ; ও বলষ্টের বল আর ও বাড়িতে পারে। কিন্তু এত দ্ভন্ন আর একটা উপায় আছে। যে শিশু দেীৰ্ব্বল্য লইয়৷ ভূমিষ্ঠ হয়, তখনই তাহাকে BB BBBBB BS gg BBB BSBB BBS BB BBBB BBBB BBB BBS যাহাণের হাড়ে দোষ, তাহীর মূলেই নষ্ট হইবে ও সমাজ আচরে বীরের সমাজে পরিণত হইবে । শুনা যায়, পুবাকালে স্পার্টানেরা আপনাদের জাতীয় শক্তিবদ্ধনের জন্য এই দ্বিতীয় ব্যবস্থা অবলম্বন করিয়াছিল। এখন ৪ যাহার। গরু ঘোড়ার breed তৈয়ার করে, তাহারাও এই ব্যবস্থার আশ্রয় লয়। ডারুইন ইহার নাম দিয়াছেন artific l selection । প্রকৃতির হাতে এই ব্যবস্থার নাম natural selection। কোন ব্যবস্থাটাতে বেশী ফল হয়, বলিতে পারি না ; কিন্তু আমাদের কমিশন এই artificial selection এর ব্যবস্থাই গ্রহণ করিয়াছেন। দু হাতে কুঠার ধরিয়া সঙ্গোরে প্রয়োগ কর ; যে দুর্বল, সে মীরা যাউক ; যে বঁচিবার উপযুক্ত, সে বাচিয়! আহক। কমিশন আমাদের পরীক্ষালয়গুলিকে বিদ্যালয়ে পরিণত করিতে বলেন নাই ; পরীক্ষা কাৰ্য্যকেই আরও কঠিন করিয়া তুলিতে বলিয়াছেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে যথোচিত অর্থসাহায্য করিবার জন্য গবর্মেণ্টকে বলেন নাই ; তং প্রতি শিক্ষাভার অর্পণের কথা অতি সন্তৰ্পণে তুলিয়াছেন ; প্রতিভাবান অধ্যাপক সংগ্ৰহ করিবার কথা তুলেন নাই, শিক্ষক ছাকিয়া লইবার জন্য নূতন একট পরীক্ষা প্রবর্তনের উপদেশ দিয়াই ক্ষাস্ত রহয়াছেন ; দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানে নগরাবদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা তোলেন নাই ; দেশীয় ভাষার সাহায্যে বিজ্ঞান দর্শন ইতিহাস দি শাস্ত্র শিক্ষার ব্যবস্থা দিতে সাহস না করিয়া প্রচলিত শিক্ষাপ্রণালীর গোড়ায় গলদ রাখিয় দিয়াছেন। আমাদের কিন্তু আশা ছিল অন্যরূপ , বোধ হয়, লর্ড কর্জনের ইচ্ছাও ছিল অন্যরূপ। লোকে বলতেছে, কমিশন নিজের কথা বলেন