পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*蛤心急 রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র স্বরূপ ফতেসিংহের জমিদারী প্রাপ্ত হয়েন । তদবধি ফতেসিংহ পরগণা সবিতাটাদের বংশধরগণের অধিকারে আছে। ফতেসিংহের অৰ্দ্ধাংশ জেমোর রাজবংশের ও অপরাদ্ধ বাঘডাঙ্গ রাজবংশের সম্পত্তি। বাঘডাঙ্গার অৰ্দ্ধাংশ সম্প্রতি হস্তান্তরিত হইয়া মুর্শিদাবাদের মহামান্য নবাব বাহাদুরের অধিকারে আসিয়াছে। রাঙ্গামাটি অতি প্রাচীনকালে কোন সমৃদ্ধ রাজ্যের রাজধানী ছিল, তাহ রাঙ্গামাটির সম্বন্ধে স্থানীয় প্রবাদ হইতেই বুঝা যায়। রাঙ্গামাটির নৈসৰ্গিক অবস্থান প্রকৃতই একটা রাজধানীর উপযুক্ত। পূর্বে ভাগীরথী ও পশ্চিমে একটা বহুক্রোশবিস্তৃত নিম্ন জলাভূমি বা বিল এই গ্রামকে একটা নৈসৰ্গিক দুর্গে পরিণত করিয়াছে। ঐ বিলের মধ্য দিয়৷ প্রবাহিত বাকি নদী ও দ্বারকা নদী পরিখার আকাবে রাঙ্গামাটি ও সন্নিহিত গ্রামগুলিকে উত্তর ও পশ্চিম দিকৃ হইতে দুর্গম করিয়া রাখিয়াছে। রাঙ্গামাটি অতি উন্নত রক্তবর্ণ মৃত্তিকার উপর অবস্থিত ; এই রক্তবর্ণ মৃত্তিকাকে ছোটনাগপুর ও বীরভূম প্রদেশের রক্তমৃত্তিকার পূর্ব সীমা বলিয়া গ্রহণ করা যাইতে পারে। রাঙ্গামাটিই যে প্রাচীন কর্ণসুবর্ণ রাজ্যের রাজধানী, সে বিষয়ে সন্দিহান হইবাব আর সম্যকৃ কারণ নাই। কর্ণসেনের সহিত কর্ণসুবর্ণের নাম কিরূপে জড়িত হইল বলা যায় না । সম্ভবত: কর্ণসুবর্ণ নাম হইতেই কর্ণসেনের প্রবাদ উৎপন্ন হইয়। থাকিবে। চাদপাড়া ব্যতাত নিকটবর্তী অন্যান্য স্থানের সহিত চাদ সদাগরের প্রবাদ জড়িত আছে। দ্বারকা নদীর তীরবর্তী পাটনের বিল বাহিয়া ময়ূরাক্ষী পাশ্বস্থ নবদুর্গ গোলাহাট গ্রামের পাশ্ব দিয়া চাদ সদাগরের নৌকা গিয়াছিল, এরূপ কিংবদন্তী আছে। কান্দির অন্তর্গত বাঘডাঙ্গ গ্রামের নীচে যেখানে চাদ সদাগরের নৌকা বাধা হইয়াছিল, এখনও লোকে সে স্থান দেখায়। দীঘপাতিয়া রাজবংশধর কুমার শরৎকুমার রায় কত্ত্বক সংগৃহীত একখানি পদ্যে রচিত বাঙ্গালা হিতোপদেশ আমার নিকট আছে। সংস্কৃত হিতোপদেশে যে সকল উপাখ্যান আছে, তদ্ব্যতীত অনেকগুলি লেখকের স্বরচিত অথবা সংগৃহীত নূতন উপাখ্যান এই বাঙ্গালা হিতোপদেশের মধ্যে স্থান পাইয়াছে। পুথিখানি ১৫৯ পত্রে সম্পূর্ণ, ১৫° হইতে ১৫২ পত্র মধ্যে একটি রাজনীতিঘাটত উপাখ্যান আছে। দুর্ভাগ্যক্রমে ১৫১ পাতাটা না থাকায় উপাখ্যানাট সমস্ত পাওয়া গেল না । গল্পটির প্রথম ও শেষ ভাগ, যাহা পাওয়া গেল, তাহা এইরূপ : মদন পাল গেল রণে হইল হড়বড় । বেড়িয়া লইল দলে কর্ণসিংহের গড় । করিল অনেক যত্ন যুদ্ধ অতশয়। কদাচ তাহার গড় নহে পরাজয় ॥ মরিল অনেক সৈন্য না হইল কাজ । তাহা দেখি মদন পাল মনে পায় লাজ ॥ চাপাকৰ্ণ নামে পাত্ৰ কহিল তাহায় । কিরূপে লইব গড় চিন্তহ উপায় ॥