পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 রামেন্দ্রস্বন্দর রচনাসমগ্র প্যা কৃ পে কে । সংস্কৃত প স্ক (বাঙ্গালা পা ক) শব্দের সহিত এই ধ্বনির কোন সম্পর্ক আছে কি ? কীটের নাম েপা কা হইল কেন ? উহার অস্থিহীন প্যাকপেকে ফাপা শরীরের জন্য না কি ? হালকা ভঙ্গপ্রবণ কঠিন দ্রব্য ফাটিবার সময়ে বায়ু সেই ফাট দিয়া বাহির হইলে পটু শব্দ হয় ; উহার রূপান্তর প টা স ও প টা যাহা প ট করিয়া ফাটে, তাহ প ট কা ; প ট কা ছোড়া হইতে প টকা ন। সংস্কৃতে পি টক ও পেট ক শব্দ না থাকিলে বলিতাম, েপ ট, েপ ট র । প্রভৃতি শব্দও শূন্যগর্ভতার জ্ঞাপক। অন্ততঃ েপ | ট ল । পু টু লি র ভিতরটা ফাপা বটে। পু টি মাছ ও পু টি খু কি কি জন্য ঐ নাম পাইয়াছে ? পপ্পটি (সংস্কৃত) ও পা পড় (বাঙ্গালা) হালকা দ্রব্য। ফাটিবার শব্দ প টু প ট, পি ট, পি ট, পুট পু টু ইত্যাদি ; হালকা ভঙ্গপ্রবণ দ্রব্যের বিশেষণ পট পটে, পি টপি টে, পুট পুটে। প’য়ের পরবর্তী মূৰ্দ্ধন্য বর্ণ ট কাঠিন্তব্যঞ্জক পরে দেখা । কাপড ষ্টেডার শব্দ প ড প ড—উঙ্গ কর্কশ শব্দ , এখানে ড কার্কশ্যবোধক । & মুখের ভিতর হইতে থুথু ফেলিবার সঙ্গে সঙ্গে কতকটা বাতাসও বাহির হয়, প চ, পি চ পি ২ থুথু ফেলার শব্দ। পি চ শব্দ সহকারে পি চ কারি হইতে জল বাহির হয়। মুখ হইতে নিঃস্তত তাম্বলরসের নাম পানের পি ক। খুখুব মত যাহাতে ঘৃণ। জন্মায়, তাহা প চ প চ কবে, পি চ পি চ করে, পি ৎ পি ৎ কবে, পল পল, পি লপি ল, প্যাল প ল করে । প চ । জিনিস পচ পচ করে ও য়ণ জন্মায় ; পে tট , পা চ ড ও পি চুটিও ঐরূপ ঘৃণাকর। প চ ই মদ ভাত প চ t ই য় । প্রস্তুত হয়। প লু পোকা নিশ্চয় তাহার কোমল শরীব হইতে নাম পাইয়াছে। এই সকল শব্দে পায়ের সহিত যুক্ত চ, ত, লে বর্ণগুলি তারল্যের ব্যঞ্জক [পরে দেখ। প ন প নে, পি ন পি নে, প ন েপ নে শূন্যগর্ভ লঘুতার পরিচয় দেয়। ফ পয়ের তুলনায় ফ-বর্ণ মহাপ্রাণ; ফ উচ্চারণে হাওয়া আর একটু জোরে বাহির হয়। শেয়ালে সময় অসময়ে ফে উ ডাকে ; তজ্জন্যই কি শেয়ালের নাম ফে রু ? আগুনে ফু দেওয়া হয়; উহার সংস্কৃত নাম ফু ৎ কা র। ফাপা জিনিসের ভিতর হইতে বাতাস বাহির হইলেই শব্দ হয় ফ স্, ফি স্, ফু স্ ; ফ'য়ের পববৰ্ত্তী উন্মবর্ণ সকার বায়ুব অস্তিত্ব জ্ঞাপন করে। সাপের মুখের ভিতর হইতে বাহির হয় েফ t স্। লোকে ফু সফ স করিয়া বা ফি স ফি স করিয়া কথা কহে বা গোপনে পরামর্শ করে। গোপনভাবে কানের কাছে ফু স ফ t স করিয়া কোন ব্যক্তিকে বিপথে চালাইবার চেষ্টার নাম ফু স ল ৷ ন। বুকের ভিতর যে যন্ত্র হইতে শ্বাসবায়ু বাহির হয়, তাহার নাম ফু স ফু স । ষে জাদুবিদ্যা—ডাইনের বিদ্যা জানে, সে ফুসফাস মন্ত্র পড়িয়া অন্যকে বশীভূত করে—সেই জাদুকরের নাম েফু িক ল । িক ক ক’রে হাসিলে মুখের কিঞ্চিং বাতাস বাহিরে আসে। সে হাসি হে হে। হাসি নয়; উহা মৃদু হাসি, হালকা হাসি। কোন রঙ যখন হালকা হয়, তখন তাহাকে ফি কে বলে ; ফি কে রঙের গাঢ়তা নাই ; অত্যন্ত ফিকে হইলে উহ