পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শবাকখা ঃ কারক-প্রকরণ b-> দানপাত্র, তখন সংস্কৃত ব্যাকরণের রীতিতে চলিলে তাহার সম্প্রদানত্ব যাইবে কিরূপে ? ক্রিয়ার সাধক যদি বিভক্তি-নিবিবশেষে সর্বত্রই করণ হয়, দানক্রিয়ার পাত্র তখন সৰ্ব্বত্র সম্প্রদানই হইবে । কাজেই এক পক্ষের বক্তব্য, সংস্কৃত ব্যাকরণের পন্থা অবলম্বন করিতে হইলে সম্প্রদানকে কৰ্ম্মের বিভক্তিযুক্ত দেখিলেও কৰ্ম্ম বলা চলিবে না। কেন না, বিভক্তি দেখিয়া কারক স্থির করিতে হইলে ‘সা পে কাটে, বা েঘ খায়’ এ সকল স্থলে সাপ কে ও বা ঘ কে কৰ্ত্ত না বলিয়া অধিকরণ বা ঐরূপ কিছু একটা বলিতে হয়। এই পক্ষের উত্তরে এইরূপ বলা চলিতে পারে। সংস্কৃত ব্যাকরণে সাধাবণ বিধি অনুসারে দানপাত্রের জন্য একটা নিদিষ্ট বিভক্তি রহিয়াছে—চতুর্থী বিভক্তি। সাধারণতঃ কৰ্ম্মে দ্বিতীয় ও সম্প্রদানে চতুর্থী বিভক্তি নির্দিষ্ট আছে। এই নির্দিষ্ট লক্ষণ আছে বলিয়াই কৰ্ম্ম হইতে ভিন্ন একটা সম্প্রদান-কারক বৈয়াকরণের খাড়া করিয়াছেন । নতুবা কেবল দানক্রিয়ার পাত্র বলিয়াই উহাকে একটা স্বতন্ত্র কারক বলা হয় নাই । রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছেন, তাহ হইলে ভোজনক্রিয়ার পাত্রকে সম্ভোজন কারক, তাড়নক্রিয়ার পাত্রকে সন্তাড়ন কারক, এইরূপে ক্রিয়া মাত্রেরই জন্য এক-একটা বিশিষ্ট কারক স্থির করিতে হইত। ফলে সংস্কৃত ব্যাকরণ মতে ক্রিয়া যাহাকে আক্রমণ করিয়া রহে, তাহার নাম কৰ্ম্ম ; উহার নিদিষ্ট বিভক্তি দ্বিতীয় ; ক্রিয়া মাত্রের পক্ষেই এই বিধি । কেবল দানক্রিয়ার বেলায় ভিন্ন বিভক্তি চলিত থাকায় উহার জন্য একটা স্বতন্ত্র কারক কল্পনা হইয়াছে মাত্র। নতুবা দানক্রিয় পরম পুণ্য হইলেও বৈয়াকরণের নিকট উহাকে অন্যান্য ক্রিয়া হইতে স্বাতন্ত্র্য দিবার কোন প্রয়োজন ছিল না। বাঙ্গালায় যখন দানক্রিয়ার পাত্রের জন্য কোন স্বতন্ত্র লক্ষণ নাই, তখন উহাকে অন্যান্য ক্রিয়ার সমতুল্য মনে করাই যুক্তিসঙ্গত। সেই জন্য দানক্রিয়া যে ব্যক্তিকে সবেগে আক্রমণ করিয়াছে, তাহাকে দানক্রিয়ার সম্প্রদান না বলিয়া, কৰ্ম্ম বলিলে এমন ক্ষতি কি হইবে ? এই যুক্তিতে যাহারা সন্তুষ্ট না হইবেন, তাহাদের জন্য সংস্কৃত ব্যাকরণেরই দোহাই দিয়া অন্য একটা যুক্তি দেখান যাইতে পারে। সংস্কৃত ব্যাকরণের কারকগুলি যে কেবল অর্থ দেখিয়াই সৰ্ব্বত্র স্থির হয় এমন নহে। একটু জোর করিয়া নানা অর্থে একই কারক ঘটান হয় । যেমন অপাদানের মূল অর্থ, যাহা হইতে বিশ্লেষণ ঘটে বা সরান যায়। যেমন, অ শ্ব পতিত:, গৃহ ' ত প্রস্থিত:, জ লা ও উখিতঃ, এই সকল উদাহরণে অ শ্ব, গৃহ, জল স্পষ্টতঃ অপাদান। কিন্তু তদ্ব্যতীত, যাহা হইতে লোকে ভয় পায়, যাহা উৎপত্তির হেতু, যাহা হইতে বিরাম হয়, যাহার নিকট হইতে গ্রহণ করা যায়, তাহারা সকলেই অপাদান ; তাহাদের সাধারণ লক্ষণ পঞ্চমী বিভক্তি । পুনশ্চ দেখ। ভূ ত য় ক্রুদ্ধতি, শত্র বে ক্রহতি, এই সকল স্থলে সংস্কৃত ব্যাকরণ ভূ ত f কে ও শ ক্র কে সম্প্রদানের কোঠায় ফেলিয়াছেন। এই দুই দৃষ্টাস্তে ভৃত্যকে ও শক্রকে কিছুতেই দানের পাত্র বলা যাইতে পারে না ; তবে প্রহার-দানটা যদি ধান হয়, তাহা হইলে উহারা সম্প্রদান বটে। অথচ من صد tية