পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শব্দকথা ঃ কারক-প্রকরণ tూల অন্বয় নাই ; হি মা লয় পদের সহিত সম্পর্ক হই তে পদের ; কাজেই form of fosso in the objective case governed by the postposition হ ই তে ; কিন্তু সংস্কৃত হিসাবে উহা কারক নহে। কারক নামটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ধরিলেই বুঝা যাইবে যে, ক্রিয়ার সহিত উহার অব্যবহিত সম্পর্ক থাকা আবশ্বক ; নতুবা কারক নামের সার্থকতা থাকিৰে না। যেখানে মাঝে একটা অব্যয় পদ বা অন্য কোন পদ থাকিয়া ক্রিয়ার সহিত সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করিয়া দেয়, সেখানে কারক নাম প্রযোজ্য হইতে পারে না । হি মা লয় হই তে, এখানে হিমালয়কে যদি কারক বলিতে হয়, তাহ হইলে ‘রাম সী ত স হি ত বনে গিয়াছিলেন, এই বাক্যে সী তাও কারক হইয়া বসেন । সে যাহা হউক, বাঙ্গালায় সম্প্রদান কৰ্ম্মের সহিত অভিন্ন ও অপাদানের অস্তিত্বই নাই। এই দুইটিকে উঠাইতেই হইবে। থাকে করণ আর অধিকরণ ; উভয়েরই একই বিভক্তি চিহ্ন এ’ এবং তে । আকারান্ত শব্দের পর এ’ বিকৃত হইয়া য়' হয় মাত্র ; যথা নৌ ক য়, বি ছা না য়। প্রাচীন পুথিতে নেী ক ! এ, বি ছা ন ? এ, এইরূপ বানান দেখা যায় । করণ ও অধিকরণ উভয় স্থলেই বিভক্তি এক ; তবে অর্থ দেখিয়া কোনটা করণ, আর কোনটা অধিকরণ, বিবেচনা করিয়া লইতে হইবে। হা তে গড়’ এ স্থলে হাত করণ, আর 'হ i তে রাখা এ স্থলে হা ত অধিকরণ । কিন্তু সর্বত্র এইরূপ বিচার চলে কিন সন্দেহ। এমন অনেক দৃষ্টান্ত আছে, যেখানে অর্থ দেখিয়া করণ, কি অধিকরণ, নির্ণয় করা দুঃসাধ্য হয়। সংস্কৃত ব্যাকরণ ‘অলং বি বা দে ন , ‘কোহর্থঃ পুত্রে ণ জাতেন,’ ‘ম ! সে ন ব্যাকরণমধীতম্ ‘জ টা ভি স্তাপসমদ্রাক্ষম এই সকল বাক্যে তৃতীয়ান্ত পদগুলিকে করণ কারক বলিতে সাহস করেন নাই, উহাদের তৃতীয় বিভক্তির জন্য বিশেষ বিধির স্বষ্টি করিয়াছেন। কোথাও বারণার্থ, কোথাও প্রয়োজনার্থ শব্দের যোগে তৃতীয়া, কোথাও অপবর্গে তৃতীয়া, কোথাও লক্ষণবোধক শব্দের উত্তর তৃতীয়, এইরূপ বিশেষ বিধির প্রণয়ন করিয়াছেন। বাঙ্গালায় এইরূপ বিশেষ বিধির প্রয়োগ করিতে গেলে দিশাহারা হইতে হইবে । বি বা দে কাজ নাই, মূখ পুত্রে দরকার নাই, এক মা সে ব্যাকরণ সারিয়াছি, জ টা য় তাপস চিনিয়াছি, এই সকল বাঙ্গালা বাক্যে বিভক্ত্যন্ত পদগুলিকে কারক বলা চলিতে পারে ; কেন না, ক্রিয়ার সহিত উহাদের অন্বয় আছে । কিন্তু কোন কারক বলিব ? বোধ হয় না যে, সকল পণ্ডিতে একই উত্তর দিবেন। তার পরে আর কতকগুলি বাঙ্গালা প্রয়োগ আছে, সংস্কৃতে তাহার তুলনা পাওয়া যায় না। সী তা সঙ্গে বন গেলেন, আনন্দে ভোজন করে, অস্ত ের দুঃখিত হইয়া, “স চ্ছ েনা তে অগ্রভাগ করিলা ভোজন,” “কি ক র ৭ে জীয়াইলে না গেলে যমঘর,” “তুঞি পু েত্র লজ্জা আমি লভিলাম,” “ক্রে । ধে দুইগুণ বীৰ্য্য বাড়িল শরীর,” “আপনার বলে বীর করিল টঙ্কার” “বহয়ে ধারা প্রেমের ভয়ঙ্গে,” “উচ্চ স্ব ের ডাকে রাধামাধব বলিয়া,” “চারি হস্তে ভোজন করিলা