পাতা:রাশিয়ার চিঠি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 ভারতবর্ষের রাজত্বে লজ্জা প্রকাশের চলন নেই, গৌরব প্রকাশেরও রাস্তা দেখা যায় না।

 এই লজ্জা স্বীকারের উপলক্ষ্যে একটা কথা পরিষ্কার করে দেওয়া দরকার। বুলেটিনে আছে সমস্ত তুর্কমেনিস্তানে শিক্ষার জন্য জন-পিছু পাঁচ বল খরচ হয়ে থাকে। রুবলের মূল্য আমাদের টাকার হিসাবে আড়াই টাকা। পাঁচ রুবল বলতে বােঝায় সাড়ে বারাে টাকা? এই বাবদ কর আদায়ের কোনাে একটা ব্যবস্থা হয়তো আছে, কিন্তু সেই কর আদায় উপলক্ষ্যে প্রজাদের নিজেদের মধ্যে আত্মবিরােধ ঘটিয়ে দেবার কোনাে আশঙ্কা নিশ্চয় সৃষ্টি করা হয় নি। ইতি ৮ অক্টোবর, ১৯৩০।


১২
ব্রেমেন্ জাহাজ

 তুর্কমেনদের কথা পূর্বেই বলেছি, মরুভূমিবাসী তারা, দশ লক্ষ মানুষ। এই চিঠি তারই পরিশিষ্ট। সােভিয়েট গবর্মেণ্ট সেখানে কী কী বিদ্যায়তন স্থাপনের সংকল্প করেছে তার একটা ফর্দ তুলে দিচ্ছি।

 Beginning with October 1st, 1930, the new budget year, a number of now scientific institutions and Institutes will be opened in Turcomenia, namely:

 1. Turcomen Geological Committee;

 2. Turcomen Institute of Applied Botany;

 3. Institute for study and research of stock breeding;

 4. Institute of Hydrology and Geophysics;

 5. Institute for Economic Research;

৭৭