পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q8 রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস। সেনাপতি সিমান্ড হত হইলেন । মাসাকির জাহাজ জলমগ্ন হইতে উত্মত DDBSDD DDDB DBBBDBBB DBDB DDDD BBDSDB BBDBS তাহার সিমান্ডার মৃত দেহের কথা স্মরণ হইল। তিনি রুষেয় গোলা, বৃষ্টিতে বিন্দু মাত্র দৃকপাত না করিয়া, আবাব জাহাজে উঠিলেন, কিন্তু দেখিলেন যে সিমান্ড তখনও জীবিত আছেন। তখন একদিকে রুষের । গোলাবৃষ্টি, অপরদিকে জাপানিদিগের জয়ধ্বনি, এই উভয়ের মধ্যে বীর মাসাকি সিমান্ডার দেহ স্কন্ধে লইয়া নৌকায় উঠলেন। তাহার মুখ রক্তে প্লাবিত হইতেছিল,-এক হস্ত ভগ্ন হইয়া গিয়াছিল। এই অবস্থায় তিনি সিমান্ডার মন্তক ক্ৰোড়ে রাখিয়া এক হন্তে দাড় টানিয়া অবশেষে জাপান যুদ্ধপোতে উপস্থিত হইলেন। এরূপ অতুলনীয় বীরত্ব না থাকিলে, জাপান এত শীঘ্ৰ এত উচ্চাসন লাভ করিতে পারিত না । ro এরূপ ভয়াবহ কাৰ্য্য করিয়া প্ৰাণ লইয়া কাহারও প্ৰত্যাগমনের আশা ছিল না, কিন্তু অতি আশ্চর্যের বিষয় অধিকাংশ জাপানী বীর এই বিষম কাৰ্য্য শেষ করিয়া অনাহত অবস্থায় প্ৰত্যাগত হইলেন। কেবল ৫৬ জন হত ও ৭৮ জন মাত্র আহত হইয়াছিলেন । এই সকল বীরকে রক্ষা করিবার জন্য জাপানী টবপেডো বোট গুলি সঙ্গে সঙ্গে ছিল। তাহারা বীবগণকে তুলিয়া লইয়া ভোর রাত্রে জাপানী যুদ্ধপোতের সহিত মিলিত হইল। বলা বাহুল্য, এই অদ্ভুত অসম সাহসিক বীরত্বে সমস্ত জাপান এক প্ৰান্ত হইতে অপর প্রান্ত পৰ্যন্ত উৎফুল্প হইয়া উঠিল। এমন কি রুষগণও শত মুখে এই বীরগণের প্রশংসা করিতে লাগিলেন। ২৭শে মার্চ জাপানী যুদ্ধপোত সকল আবার পোর্ট আর্থায়ের নিকটস্থ হইল ;-অমনই দুর্গ হইতে গোলা বৃষ্টি আরম্ভ হইল। কিন্তু জাপানিগণ তাহার উত্তর না দিয়া, ধীরে ধীরে দক্ষিণ পূৰ্ব দিকে চলিয়া গেলেন। জাহাজ গুলি ঠিক, যথা স্থানে ডুবিয়াছে কিনা, তাহাই লক্ষ্য করা এই আগমনের কারণ। এক সপ্তাহ আর জাপানিদিগের দর্শন নাই ! ইত্যাবসায়ে