পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিশীথ রাত্ৰে । আভুমিরাল মাকারিফ তাঁহার রণপোত গুলি প্ৰায় মেরামত "করিয়া ফেলিলেন। দুর্গ রক্ষারও কত প্ৰক্লার চেষ্টা হইতে লাগিল। আর দুৰ্গে নৈরাপ্ত নাই। মাকারিফ এক নূতন তেজ রুষ যোদ্ধাদিগের মধ্যে বিকীর্ণ করিয়াছেন। ৩১শে মার্চ গভর্ণর জেনারেল আডমিরাল আলোকজিফ হাববিন হইতে পোর্ট আর্থার দেখিতে আসিলেন। মহা সমারোহে তাহাব অভ্যর্থনা হইল। তিনি প্ৰধান প্ৰধান রুষ যোদ্ধাগণকে সম্রাটের নামে সন্মানিত ও খেলাত ও উপাধি প্ৰভৃতি দিয়া আবার হারবিনে প্ৰত্যাগমন কবিলেন। আর নিরুৎসাহ নাই! এই দুই মাস প্রায়ই যুদ্ধ চলিতেছে; কিন্তু তাহাতে জাপান পোর্ট আর্থবের কিছুই অনিষ্ট করিতে পারে নাই। রুষিয়া হইতে সমস্ত সেনা আসিয়া পড়িলে, তখন রুষের উদ্ধত জাপানকে পদদলিত করা বিন্দু মাত্র কঠিন হইবে না। পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ । निौर्थ ब्रां । ১২ই এপ্রিল নিশীথ বাত্রে সহসা রুষ কামান সকল গর্জিয়া উঠিল । কখন জাপানিগণ আইসে, তাহার কোনই স্থিবিতা ছিল না ; তাহাইরুষগণ৷ সর্বদা সতর্ক । তাহদের সার্চ লাইট বহু মাইল পৰ্য্যন্ত আলোকিত করিয়া রাখিয়াছে ! কাহারই লুকাইয়া বন্দবের নিকটে আসিবার সম্ভাবনা নাই। ১২ই এপ্রিল রাত্রে রুষগণ দেখিল যে কতকগুলি জাপানী টরপেডো বোট ও কতকগুলি ডেসট্রিয়ার বন্দবের দিকে আসিতেছে। তাহদের সঙ্গে অপেক্ষাকৃত এক খানি বড় জাহাজ আছে । এই জাহাজে স্বয়ং কাপ্তেন ওডিা ছিলেন। তিনি এক ভয়াবহ যুদ্ধ উপকরণ আবিষ্কার করিয়াছিলেন। ইহার নিকট ডিনামাইট প্রভৃতিকে নগণ্য বলিলে অত্যুক্তি হয় না । এই ভয়াবহ দ্রব্যে কাপ্তেন ওড়া “মাইন” প্ৰস্তুত করিয়াছিলেন ।